somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে কে বেশি সফল, যীশু না মুহম্মদ ?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খ্রিষ্টানরা বলে থাকেন যীশুর পুনরুত্থান ঘটবে; আর কোনো কোনো মুসলমান বলে থাকে যীশু অর্থাৎ ঈশা নবী হযরত মুহম্মদের উম্মত হিসেবে আবির্ভূত হবেন। বিষয়টিকে যেভাবেই নিই না কেনো এর মূল কথা হচ্ছে পৃথিবীতে আবার যীশুর আগমন ঘটবে। যীশুর- হযরত মুহম্মদের উম্মত হিসেবে আগমনের কারণ হিসেবে মুসলমানগণ ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে যে, যীশু নাকি নবুয়ত প্রাপ্তির পর জানতে পারেন যে, তার পরে আর একজন নবীর আবির্ভাব ঘটবে; যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বশেষ। এই কথা জানতে পেরেই নাকি যীশু, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হিসেবে আবার জন্ম গ্রহণের জন্য আল্লার কাছে ফরিয়াদ করেন এবং আল্লা তার প্রার্থনা কবুলও করেন। এই যদি ঘটনা হয়, তাহলে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত নবী হিসেবে যীশুর খাঁটিত্বের প্রমাণ মেলে; কারণ, তার ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী একজন নবীর আবির্ভাব ঘটেছে যিনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।

কিন্তু, যীশুর তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার হযরত মুহম্মদের-ভবিষ্যৎ বক্তা হিসেবে- অবস্থানটা কোথায় ? তার ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী ইমাম মাহদী নামে একজনের আবির্ভাব ঘটবে। ভালো কথা। কিন্তু ইমাম মাহদীর আবির্ভাব যে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘটবে বলে ইসলামে বলা হয়েছে তা পৃথিবীতে আদৌও ঘটবে বলে মনে হয় না। যেমন অনেক কণ্ডিশনের মধ্যে বলা হয়েছে- (১)পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠবে। (২) চাঁদটি দু টুকরা হয়ে পরস্পর নিকটবর্তী থাকবে। (৩) পূর্ব দিকে একটি নক্ষত্র উঠবে যা চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে। (৪) একটি আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে যা সাতদিন অথবা তিনদিন থাকবে। (দ্রষ্টব্য: কে ইমাম মাহদী ( আঃ) - সাইয়্যেদ সাদরুদ্দীন আল সাদর)

এগুলোর একটু ব্যাখ্যা দেওয়া যাক; সৌরজগত সম্পর্কে যাদের অল্প কিছু জ্ঞান আছে তারাও জানে যে, কখনোই পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠা সম্ভব নয়। এটা যদি কখনো ঘটে তাহলে আমাদের এই সৌরজগত ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তারপর ইমাম মাহদীর কাণ্ডকারখানা দেখার জন্য পৃথিবীতে কেউ জীবিত থাকবে না।

চাঁদটি দু টুকরা হয়ে পরস্পর নিকটবর্তী থাকবে- সৌরজগতের নিয়মানুযায়ী এটাও কখনো সম্ভব নয়। কারণ মহাজাগতিক কোনো কিছুর ধাক্কায় চাঁদ টুকরো টুকরো হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে চাঁদের টুকরোগুলো পুরো সৌরজগত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর রিয়্যাকশন পড়তে পারে পৃথিবীতেও। সুতরাং দুটুকরো হয়ে চাঁদের কাছাকাছি থাকার এবং তা পৃথিবী থেকে মনোরম দৃশ্য হিসেবে অবলোকন করার কোনো সুযোগ নেই।

পূর্ব দিকে একটি নক্ষত্র উঠবে যা চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে - সৌরজগত সম্পর্কে যাদের জ্ঞান কম, একমাত্র তাদের পক্ষেই এরকম হাস্যকর কথা বলা সম্ভব। সূর্যই আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র এবং আমরা জানি একেকটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করেই একেকটি সৌরজগত গঠিত হয়। পৃথিবীর আাকাশে মিটমিট করে জ্বলা তারাসদৃশ যে নক্ষত্রগুলো আমরা দেখতে পাই সেগুলো পৃথিবী থেকে হাজার হাজার কোটি মাইল দূরে। সেগুলোকে যদি পৃথিবীর আকাশে চাঁদের মতো দেখতে হয় তাহলে সেগুলোকে আমাদের সৌরজগতের অনেক কাছাকাছি আসতে হবে। এটা ঘটলে মহাবিশ্ব ওলটপালট হয়ে যাবে। এতে আমাদের সৌরজগত এবং পৃথিবীও ধ্বংস হয়ে যাবে।

একটি আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে যা সাতদিন অথবা তিনদিন থাকবে- সাতদিন না তিন দিন থাকবে সেটাই যখন ইসলামী পণ্ডিতরা ঠিক মতো বলতে পারছে না, তখন তাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য হয় কিভাবে ? তাছাড়া আগুন দেখা যাবে পূর্ব দিকে, এটা আকাশে না পৃথিবীতে ? যদি পৃথিবীতে হয় তাহলে সেই আগুন কোন দেশে লাগবে ? আর যদি আকাশে হয় তাহলে সেই আগুন লাগবে কিভাবে ? কারণ আকাশ তো কোনো বস্তু নয়, আর বস্তু ছাড়া আগুন লাগাও তো সম্ভব নয়।

ইমাম মাহদীর আগমনের নিদর্শন স্বরূপ এরকম অনেক আজগুবি কথা - ‘সাইয়্যেদ সাদরুদ্দীন আল সাদর’ এর লেখা “কে ইমাম মাহদী ( আঃ)” নামক বইটিতে দেওয়া আছে। আমি কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করলাম মাত্র। কৌতূহলী পাঠকগণ চাইলে বইটি দেখে নিতে পারেন। তাহলেই বুঝবেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে হযরত মুহম্মদের সফলতা বা গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু ?

অবশ্য আল্লা সব পারে- একথা বিশ্বাস করলে অন্য কথা। আসলে আল্লা কিন্তু কিছুই করতে পারে না। যেমন পারে না তার পেয়ারের দেশ সৌদি আরবকে ভারতের মতো সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বানাতে। তেমনি পারে না পৌত্তলিকতার দেশ ভারতকে মরুভূমিময় আরবের মতো বানাতে। অথচ সৌদি আরবই আল্লার প্রিয় দেশ ।

একটু ভাবুন।
তারপর মন্তব্য করুন।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×