somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রেকিং সিরিজঃ অপারেশন কির্সতং

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক…।

দক্ষিন-পূর্ব বাংলার ছোট্ট একটা পাহাড়ী কসবা, আলীকদম। বান্দারবান জেলার অন্যতম উপজেলা। বাংলাদেশের আর ১০টা গ্রামের হাটের মতই বাজারে হাতে গোনা ১০টি দোকান ঘর। তার মধ্যে ৩টি ই ঔষধের, আর ৩টি সেলুন। এখানকার ছেলেপুলেরা বোধ হয় ঘন ঘন চুল দাড়ি কাটে। এই মুহুর্তে কারেন্ট চলে গেছে। খেলার কারনে এতক্ষন দোকান গুলো জমজমাট ছিল। এখন এক এক করে ঝাঁপি ফেলে দিচ্ছে। আবহাওয়া টা খুবই চমৎকার। ঠান্ডা ঠান্ডা মৃদু বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যাচ্ছে। পিচ ঢালা পাহাড়ী রাস্তায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে হেঁটে চলছে কথন আর রাইন। আজকে পূর্নিমা না। তবুও চাঁদের আলোয় রাস্তার দুপাশের বিস্তীর্ণ তামাক ক্ষেতগুলো রেডিয়ামের মত জ্বলছে। কালভার্টের রেলিং এ বসে আয়েশ করে একটা বেনসন ধরিয়ে কথন বলল, আচ্ছা রাইন ভাই কি মনে হয় আপনার? পিক টা কি তিন হাজার হবে?
রাইন তার স্বভাবজাত খুব গম্ভীর ভঙ্গিতে বলল, হতেই হবে। চৌধুরী যাচ্ছে সামিট করতে। আর জানোই তো তিন হাজারের নীচু পিক চৌধুরী সামিট করে না।
হাহাহাহা…তা যা বলেছেন চৌধুরী সাহেব।তিন হাজার হলে খুবই ভালো হয়। পিক সামিট করে এক ধরনের মেন্টাল স্যাটিসফেকশন পাওয়া যায়। তবে, তিন হাজার হোক না হোক, পিক টা কিন্তু অসাধারন। ৩ বছর আগের স্যাটেলাইট ইমেজের সাথে যদি কিছুটাও মিল থাকে এখন তবে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, জায়গা টা অস্থির হবে।
কথন তোমার বিড়ি তাড়াতাড়ি শেষ কর, অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমানো দরকার। কালকে গুহায় সারারাত ঘুমাতে পারি নি।পাথরের ঢালে বারবার নীচে গড়িয়ে পরে যাচ্ছিলাম। তারপর আবার ইঁদুরের উৎপাত। পুরো শরীর এখন ম্যাজম্যাজ করছে। কালকে সকাল থেকেই আবার ট্রেকিং শুরু হবে।
এই তো ভাই আর দুটা টান বলে কথন বলল, কালকে গুহায় রাত্রি যাপন টা খুব অসাধারন ছিল।অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল এভাবে আদিম যুগের মানুষের মত গুহায় থাকব। উফফ…গতকালের কথা ভাবতেই আবার রোমাঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি।
গতকালের কথা ভাবতে ভাবতে তারা হাঁটা শুরু করল ডাক বাংলোর দিকে, মনের ভাবনায় হারিয়ে গেল কথন আর রাইন-



আর্মির চোখকে ফাঁকি দিয়ে, মুগ্ধ ভাইয়ের সেই খরস্রোতা* মাতামুহুরী পার হয়ে, পাহাড়ের সরু খাঁজের মধ্য দিয়ে অনেক কষ্টে শরীর গলিয়ে, ২০ ফিট খাঁড়া দেয়াল ফ্রি হ্যান্ড ক্লাইম্ব করে পৌছে ছিল সেই গুহায়। মোমবাতির আলোর ভুতুরে আর রহস্যময় লাগছিল গুহাটি। গুহা মুখ থেকে আসা বাতাসে মোমের আলো যখন তিরতির করে কাঁপে তখন পাশের পাথুরে দেয়ালে নিজেদের কিম্ভুত ছায়া দেখে নিজেরাই ক্ষনিকের জন্য ঘাবড়ে যায়।ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সাদাটে পাথর চুঁইয়ে পানি পরছে চারদিক দিয়ে।তাই গুহাটি অসম্ভব রকমের ঠান্ডা। মাঝ রাতের পাহাড় কে তুচ্ছ করে গলগল করে চাঁদের আলো ঢুকে পরে গুহা মুখ দিয়ে।ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটা নিভিয়ে দেয় কথন। অপার্থিব রুপালী বন্যায় ভেসে যায় গুহার পাথুরে দেয়াল। আলো-ছায়ার খেলায় মেতে উঠে তারা দুজন- পাথুরে দেয়ালে পায়রা উড়তে থাকে, পাশ থেকে রাইনের সাপের ছায়া গিলে ফেলে কথনের পায়রাকে। খেলার মাঝেও ফুটে উঠে প্রকৃতির নিষ্ঠুর নিয়ম।



[খরস্রোতা*: মুগ্ধ ভাইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, “এইডা বহুত খরস্রোতা নদী, উঁচআ-উঁচআ ঢেউ।পা রাখতে পারবা না। ভাসায়া লইয়া যাইব গা। দড়ি লাগব, দড়ি ছাড়া কিছুতেই পার হইতে পারবা না। আর লাইফ জ্যাকেট তো মাস্ট”। পরে গিয়ে দেখা গেল একটা ছোট্ট নালা, হাটুর নীচে পানি মৃদুলয়ে বয়ে যাচ্ছে]

চারিদিক থেকে ভেসে আসছে রাতের বনের নানা রকম আওয়াজ। তারপরেও প্রকৃতিতে এক অদ্ভুত নিঃস্তব্ধতা।গুহার ঠিক মুখেই একটা বিরাট পাথর অদ্ভুতভাবে শুন্যে ঝুলে আছে। দেখে মনে হয় এখনি বুঝি গড়িয়ে নীচে পরে যাবে। সেই পাথরের উপর বসে এক চিলতে আকাশের তারা দেখছে কথন। এমন নির্জনতার মাঝে আসলেই কথন কে ভাবে পায়। আপন চিন্তায় ডুবে যায় সে। কে আমি? কেন আমি? কেনই বা জন্মেছি? মরবই বা কেন? …প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরে প্রকৃতির কাছে। সময় কেটে যায়। চাঁদ ডুবে যায়, অন্ধকার পাহাড়ের খাঁজে বসে একা একাই চিন্তা করতে থাকে এসব হাবিজাবি।উত্তর খুঁকে পায় না।
গুহার পিছনে পাথুরে মেঝে শক্ত করে আঁকড়ে শুয়ে আছে রাইন ভাই। কোন এক সময় চোখ লেগে এসেছিল।হঠাৎ এক গগন বিদারী আর্তনাদে চমকে তন্দ্রা ছুটে গেল কথনের। তাকিয়ে দেখে অদৃশ্য কাকে যেন ফুটবল কিক মারছে ঢাকা আন্ডারগ্রাউন্ড ফুটবলের দুঁদে খেলোয়ার রাইন চৌধুরী।
কি হল রাইন ভাই?
রাইন ক্ষেপে গিয়ে বলল, চিকা আমার গায়ের উপর হামলা করছে।ইয়া বড়, সাদা চিকা।লাইট নিভাও তাইলে আবার বের হয়ে আসবে।
টর্চ নিভিয়ে দুজনই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকল গুহার পিছনের ফোঁকরের দিকে।একটু পরেই তারা দেখল দুটো সাদা লোমশ ইঁদুর গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। রাতের খাবার খেতে আমাদের আধোয়া পাতিলে মুখ দিচ্ছে। শহুরে ইঁদুরের মত ত্যাদোর মনে হল না তাদের। বেশ শান্ত আর কিউট ইদুর।হুশ হুশ করে ভয় দেখালে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। এক্টু ও ভয় পায় না।
এরা থাকলে আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারব না। সারারাত জেগে থাকব, বলে আধা ঘন্টার মধ্যেই রাইন গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরল। কথন ও তার কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পরল সেই ঝুলে থাকা পাথরের উপর।



আলীকদমের এই গুহা আর সুড়ঙ্গ প্রাকৃতিক না কৃত্রিমভাবে মানুষের দ্বারা তৈরী এই নিয়ে নানা মুনীর নানা মত রয়েছে। তবে জনশ্রুতিতে জানা যায় অনেক কাল আগে এই অঞ্চলে আলী নামে একজন সুফি দরবেশ আসেন।দ্বীনের শিক্ষা দিতেন তিনি মানুষকে। খুব দ্রুত তিনি সাধারন মানুষের মনে জায়গা করে নেন। সেটা দেখে তৎকালীন রাজা ভয় পেয়ে আলী দরবেশকে গৃহবন্দী করে তার চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আলী এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার শিষ্যদের নিয়ে এই সুড়ঙ্গ খোদাই করেন।অনেকেই বিশ্বাস করেন এই সুড়ঙ কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।বিগত শত বছরের ভুমিকম্প আর বন্যায় সেই আলীর সুড়ঙ বিলীন হয়ে গেছে।এখনো দূর দূরান্ত থেকে সাধারন মানুষেরা এই গুহায় এসে আলীকে স্মরন করেন।আলীর গুহায় নানা রকম খাওয়া-দাওয়া, আগরবাতি আর মোমবাতি জ্বালিয়ে তার কাছে দোয়া চাইতে আসেন।
গত রাতের স্মৃতি তাজা করতে করতে তারা চলে আসে সরকারী ডাক বাংলোয়।শান্ত-ছোট্ট-ছিমছাম ডাক বাংলো। সামনে এক টুকরো মাঠ। মাঠের দক্ষিনে একটি বিশাল পুকুর।ডাক বাংলোর সামনে পতাকা টানানোর তিনটা পোল।পোলের নীচে ছোট একটা বেদি।
রাইন বলল, কথন চল শুয়ে পরি। ওদের আসতে বেশী দেরী হবে না। ভোরেই চলে আসবে।
ডাক বাংলোর ঘর এতটা সুন্দর হবে কল্পনাও করি নাই রাইন ভাই। একদম ফাইভ স্টার ফেসিলিটি। মাথার উপর ফ্যান, ইয়া বড় টয়লেট। শাওয়ার, অবাক করা বিষয় কলে পানিও আছে।কম্বল আর কোল বালিশ তো পুরা বোনাস খুশিতে বিগলিত হয়ে গেল কথন।
গতকাল রাতে পাথরে শুয়ে পিঠ ব্যাথা করার পর নরম বিছানায় কাত হতেই দুজন গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।



দুই…।


তিন মাস আগে শাহবাগের আড্ডায় হাসি হাসি মুখ নিয়ে প্রবেশ করল রাব্বি। এসেই ইমনকে একটা বেনসন আর রঙ চায়ের অর্ডার দিয়ে বলল- রাহাত ভাই, জটিল একটা জিনিস পাইসি।
কি পাইলেন? রাহাত জিজ্ঞেস করল।
আজকে নাসার SRTM ডাটা নামালাম।খুশি খুশি গলায় বলল রাব্বি।
SRTM কি জিনিস রাব্বি ভাই, কথন বেকুবের মত প্রশ্ন করেই বুঝতে পারল বিরাট একটা ভুল করে ফেলেছে। রাব্বি এখনি তার জ্ঞান ভান্ডারের ঝাঁপি খুলে বসবে। আর হলও তাই-
বেশ ভাব নিয়ে রাব্বি বলা শুরু করল, SRTM মানে হচ্ছে শাটল রাডার টপোগ্রাফি মিশন। এটা একটা আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট যার মাথা হিসেবে আছে আমেরিকার ন্যাশনাল জিওস্প্যাসিয়াল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (NGA) আর এরোস্পেস এজেন্সি বা নাসা। এই প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে ৫৬° দক্ষিন-৬০° উত্তর থেকে পুরো পৃথিবীর একটি ডিজিটাল এলিভেশন মডেল তৈরী করে পৃথিবী একটি সম্পুর্ন ডিজিটাল টপোগ্রাফিক ডাটাবেস বানানো।এই ডাটা নেওয়ার জন্য ২০০০ সালে ১১ দিনের মিশনে স্পেস শাটল এন্ডেভার এ একটি বিশেষ ভাবে তৈরী রাডার সিস্টেম সংযুক্ত করা হয়। এই টেকনিক টার নাম ইন্টারফেরোমেট্রিক সিনথেটিক এপারচার রাডার। এই বলে থামল রাব্বি।
বহুত হইসে রাব্বি ভাই, এই বার মাফ করেন। একটা শব্দ ও বুঝি নাই, সব মাথা উপর দিয়া গেল। নন-টেকি কোন টার্ম নাই এটার?
মুচকি হেসে রাব্বি আবার শুরু করল, বাংলাদেশের যত পিক (পাহাড় চুঁড়া) আছে তার সব কয়টার লিস্ট আর তার প্রমিনেন্স ই হল SRTM ডাটা।
কথন বলল, অনেক অনেক ধন্যবাদ রাব্বি ভাই, আপনি আমার জ্ঞান চক্ষু খুলে দিলেন।
অনেক জোশ জিনিস নামাইসেন রাব্বি ভাই, আজকে পেন ড্রাইভ টা দিয়েন। গুতাগুতি করব। উত্তেজিত হয়ে বলল রাহাত।
সেদিন রাতেই রাহাত আর মৃদুল ডাটার ১২ টা বাজানোর কাজে লেগে গেল। অনেক গুতাগুতির পর তারা বাংলাদেশের পিক গুলোর একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলে। গুগল আর্থ থেকে স্যাটেলাইট ইমেজ দেখে দেখে তাদের এপ্রোক্সিমেট উচ্চতা বের করে। হঠাৎ রাহাতের চোখ আঁটকে যায় একটি বিশেষ পিকে। পাহাড় টার গড়ন বান্দারবানের অন্যান্য পাহাড় থেকে একদমই আলাদা। তা ছাড়া চিম্বুক রেঞ্জে এই উচ্চতার পিক সে আশা করেনি।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই পিক টা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রমিনেন্ট পিক। গুগল আর্থে পিক টার ইমেজ দেখে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। একদিকে একদম নব্বই ডিগ্রি খাঁড়া দেয়াল প্রায় ৭০০ ফিটের মত নেমে গেছে।তার উপরে আর নীচে ঘন জঙল। পূর্ব দিকে তার ঠিক নীচ দিয়েই বয়ে গেছে সাঙু। কোন রকম গিয়ার ছাড়া এদিক থেকে পিক সামিট করা অসম্ভব ব্যাপার হবে । পিকের পশ্চিম দিক থেকে সামিট করা গেলেও যেতে পারে। সারারাত ধরে রাহাত গুগল আর্থে পিক সামিট করার রাস্তা খুঁজতে থাকে। সেদিন রাতেই মোটামোটি একটি খসড়া প্ল্যান করে নেটে আপ করে দেয় রাহাত। বাকী সবাইকে আকৃষ্ট করার জন্য পিক টার ছবিওই যথেষ্ট ছিল।
পুরো ভার্চুয়াল কমিউনিটি ঝাপিয়ে পরে ঐ ইভেন্টে।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রমিনেন্ট পিক বলতে আসলে কি বুঝানো হচ্ছে অনেকেই সেটা প্রথমে বুঝতে পারেনি। তাই এটা নিয়ে অনেক কথা চালাচালি হয় ভার্চুয়াল জগতে।
শাহবাগ থেকে বাসায় ফিরতে সেদিন কথনের অনেক রাত হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া করে ফেসবুকে বসেই দেখে রাহাত ভাই নতুন একটা ইভেন্ট দিয়েছে। ইভেন্টে পিক টার ছবি দেখেই লাফিয়ে উঠে কথন- “এই পাহাড় তা তো আমি চিনি। গত তিন বছর থেকে এই পাহাড়ে ইঠার স্বপ্ন দেখে আসছি আমি”। কথন সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে রাহাত ভাইকে ফোন দিল। ভাই জায়গা টা আমি চিনি।নীচ থেকে পিক টার ছবি তুলসিলাম। এখনি আপ করে দিচ্ছি।
রাহাত গম্ভীর ভাবে বলল, পাথ গুলো মেইল করে দিয়েছি, চেক করে জানা আমাকে। আর দেখ অল্টারনেট কোন রুট পাস কিনা।
-ওকি ডকি বস…আই এম অন এন আলফিনিসড মিশন।
-ফোন রাখ শালা।
-ওভার এন্ড আউট।
কথন ভিতরে ভিতরে খুব অস্থিরতা অনুভব করছে। শেষ পর্যন্ত ঐ উদ্ধত খাঁড়া পাহাড় টাকে বশে আনা যাবে।
তিন বছর আগের এক শীতের দিনে সে এই পাহাড় টা নীচ থেকে দেখেছিল। কি অহংকার তার, তেজী পুরুষের মত রাগ রাগ ভঙ্গি নিয়ে তাকিয়ে আছে। একটা কথাই সে প্রতিধ্বনি করছে-আমার দিকে তাকিও না হে মানব, তুমি বড়ই তুচ্ছ আমার কাছে। আমি অপারাজেয়, আমি দূর্বিনীত। তুমি পারবে না, কিছুতেই না।
তখন একধরনের জিদ চেপে গিয়েছিল। পাক্কা তিন বছর অপেক্ষার পর এই সুযোগ টা আসল। স্বাভাবিকভাবেই তার রক্তে এড্রিনালিন এর পরিমান বেড়ে যাচ্ছিলো। পুরানো এলবাম ঘেঁটে পিক টার ছবি বের করল। আবার দেখল সেই অহংকারী চুঁড়াকে। মনে মনে বলল-আসছি আমি, তৈরী থাক।



চলবে...

লেখাটি দুখী মানবের ব্লগ এ পূর্বে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৫
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×