তবে আজ তিনি জাতীয় সরকারের একটি রূপরেখা দিয়েছেন। জাতীয় সংসদকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে তার এই বক্তৃতা হয়তো অনেকেই গুরুত্বের সাথে নেবেন, অনেকে পাত্তাই দেবেন না। তবে তার বক্তৃতায় তিনি দু'দলের নেতাদের মধ্যে একটি দল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও একটি দল থেকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হতে বলেছেন। তবে উভয় দল একজন প্রেসিডেন্ট বাছাই করবেন। এরকম জাতীয় সরকারের আয়ু হবে 2 বছর। তারা নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করবেন ও ভোটার কার্ড প্রবর্তন করবেন।
এখানে জাতীয় সরকারের প্রেসিডেন্ট পদে আমরা ইউনুসের ছায়া দেখতে পাই। তবে সেটি বড় কথা নয়। মূল কথা হলো, তার এই প্রস্তাব মানতে হলে আগে নির্বাচন হতে হবে, সংসদ বসতে হবে, তারপর সংবিধান সংশোধন হতে হবে। নির্বাচনে জয়ী দল কেন 5 বছরের জায়গায় 2 বছরের সংসদ মানবে, তার কোনো যুক্তি দেখছি না। বরং মনে হচ্ছে বর্তমান নির্বাচনের শিডিউল মেনে নেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি পরোক্ষে পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইউনুসের এই কল্প-সরকার তার ফাইল-র্যাকেই মৃতু্যবরণ করবে নিশ্চিত। যদিও আমরা আশংকা করে থাকি যে তিনি বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদ ও ইঙ্গিতধন্য।
বাস্তবায়িত হোক বা না হোক ইউনুসের এই প্রস্তাব থেকে একটা বিষয় নিশ্চিত হলো, জাতীয় সরকার সংক্রান্ত গুজবটা ঢাহা মিথ্যা ছিল না। এখন বরং আশংকা থেকে গেলো যে, তিনি যে ফর্মে বলেছেন সে ফর্মে না হয়ে অন্যভাবেও আসতে পারে জাতীয় সরকার। আর এই গুজবের সত্যতা মানে আরেকটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া, উন্নত দেশগুলো আমাদের মত দেশগুলো নিয়ে নানা ফমর্ুলার খেলা খেলে, নানা যনত্দরমনত্দরের চাল দেয়। নিজেদের দেশে, নিজেদের শাসন কার্যেও এখনও আমরা চালের গুঁটি হয়ে রয়েছি? মনে কি হয় না, ঔপনিবেশিকতার রূপ বদলেছে, আমরা এখনও অন্যের খেলা খেলছি। আর সেসব খেলার ছক কাটতে ইউনুসরাও পরোক্ষে কলকাঠি নাড়েন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


