শুভ্র
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
অঝোর ধারায় আকাশ কাঁদছে। আকাশের কান্না ভেঙে পড়েছে নদীর উপর। সাদা কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে আঁছে। শুভ্র এক দৌঁড়ে সমিলের চালের নিচে আশ্র্য় নিল। নদীতে হালকা ঢেউ। বৃষ্টির ফোঁটা গুলো টপটপ করে পড়ছে ঢেউয়ের ডগায়। শুভ্র নদীর দিকে মুখ করে বসল। সে কিছুটা প্রকৃতি প্রেমিক। উদাস ভাব ভর করে তার উপর। মা ভাবে তার ছেলেটার মাথায় সিট আছে। না হলে এই বয়সের ছেলে কেন এরকম হবে। কিন্তু লেখাপড়ায় তো ভাল। অনেক বছর ধরেই সে স্কুলের পরিক্ষায় পুরস্কার পেয়ে আসছে। পাড়ার সবাই তার ছেলের প্রশংসা করে। কেউ কখনো তার ছেলেদের নিয়ে একটা বাজে কথা বলতে পারবে না। ছেলেদের নিয়ে তার অনেক গর্ব।
শুভ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিয়েছে। এক রঙীন জীবনে ঢুকে গেছে। সে অনেকটা অন্তর্মুখী স্বভাবের। তাই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। ছুটিতে বাড়ী এসেছে। খুলনা জেলার ছেলে বড় হয়েছে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা এক নদীর মোহনায়। এই নদী শেষ হয়েছে পশুর নদীতে। পশুর নদী গিয়ে মিশেছে সাগরে। পশুর নদীর আরেক মাথা রুপসায়। রুপসার তীরে খুলনা শহর, সাজানো গোছানো ছোট্ট একটা নিরিবিলি শহর। নদীর পাশেই কেটেছে শুভ্র’র শৈশব কৈশোর। যৌবনে পা দিয়েও তাই সে নদীর প্রতি দূর্নিবার আকর্ষণ বোধ করে। বাড়ী এলেই তাই সে বিকেলের আলো ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে ছুটে যায় নদীর কাছে।
ঢেউ গোনা। ওপারের আকাশে মেঘেদের রঙের খেলা দেখা। নৌকা চলাচল। সন্ধ্যা আকাশে কাকেদের ঘরে ফেরা। দূরের মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের সুর। সব কিছু তাকে পাগল করে রাখে এক অজানা বন্ধনে। স্কুলের বন্ধুদের কাউকে পেলেই মন খুলে গল্প শুরু করে। সে গল্পের কোন আগামাথা থাকে। একেক জন যেন জ্ঞানের জাহাজ। সব কিছুই জানে এমনটি ভাব। জ্ঞান-বিজ্ঞান-ধর্ম-সমাজ-রাজনীতি কি থাকেনা তাদের আলোচনায়। বন্ধুরা কেউ না থাকলে সে মোবাইলে ডুব মারে। মা বলে কি আছে তোর মোবাইলের ভিতর। সারাদিন এত কি টিপিস। আম্মাকে সে কিভাবে বোঝাবে এই মোবাইল তার সামনে খুলে দিয়েছে বন্ধুত্বের এক নতুন জগৎ। হাজার হাজার বন্ধু খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের সাথে মন খুলে সব কথা বলা যায়। যদিও তার এখন খুব বন্ধু নেই। অল্প কজন বন্ধু। তাদের সাথেই সারাদিন পুটুর পুটুর করে। তার স্কুলফ্রেন্ড তরুনের কাছ থেকে শিখে নিয়েছে কিভাবে মিগ৩৩ দিয়ে চ্যাট করতে হয়। সে তার দিনের বেশীরভাগ সময় মিগ৩৩ তেই পড়ে থাকে। সুদানী এক বন্ধু জুটেছে। ওমর আলকাতিব। তার সাথেই সে চ্যাট করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ভারতীয় অন্যতম গজল শিল্পীদের তালিকায় তালাত আজিজের নাম অবশ্যই থাকবে বলে আমার ধারনা। তার বেশ কিছু গান আমার শোনা হয়েছে অনেক আগেই। জগজিৎ সিং, পঙ্কজ উদাস ও গুলাম আলী সাহেবের...
...বাকিটুকু পড়ুন১.০
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে শায়েখ নিজাম উদ্দীনের প্রভাবে এই উপমহাদেশে জনজীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল তা বর্ণনা করেছেন। তার আকর্ষণে মানুষ দলে দলে পাপ থেকে পূণ্যের পথে যোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
সোনাগাজী, ১৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
গড়ে ৩০ জনের মতো ব্লগার এখন ব্লগে আসেন, এঁদের মাঝে কার পোষ্ট নিয়ে আপনার ধারণা নেই, কার কমেন্টের সুর, নম্রতা, রুক্ষতা, ভাবনা, গঠন ও আকার ইত্যাদি আপনার জন্য...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
বিষাদ সময়, ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ একটা অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন - সোনাবীজের গান এবং একটি অকেজো ম্যান্ডোলিন - এই শিরোনামে। গল্পে তিনি আমার 'মন তার আকাশের বলাকা' গানটির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং এ... ...বাকিটুকু পড়ুন