somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৌদী প্রবাসীদের চরম দুর্দিনঃ কিছু জাতীয় ভ্রান্তির অনিবার্য্য মাশুল

১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভদ্রলোকের বাসাটা নীচ তলায়। মহল্লার রাস্তার সাথে লাগোয়া এ বাসাতে তিনি থাকেন সপরিবারে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে। চার তলা বিল্ডিংটার বাইরের গেইটটা খোলাই থাকে সাধারনত। সকাল তখন সাড়ে আটটা। অফিসের উদ্দেশে বের হচ্ছেন। বাসার মেইন দরজা খুলে বাইরে পা দিতেই ৩ জন লোক তাকে ঘিরে ধরল। ছোরা হাতে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজাটা লক করে দিল। তাদের সাথে ধস্তাধস্তির কারনে ভদ্রলোক কিছুটা আহত ও হয়েছিলেন। তিনি দেখলেন ৩ জন’ই বাংলাদেশী। ভেতরে ঢুকেই তারা তাকে বেঁধে ফেলে তার কাছ থেকে মোবাইল, চাবি সব কিছু নিয়ে তার স্ত্রীকে ও ছোরা উঁচিয়ে চুপচাপ থাকতে বলল, না হয় জানে মেরে ফেলার ভয় দেখাল এবং তার মোবাইলটাও নিয়ে ফেলল।পরে দেখা গেছে বাসার ল্যান্ড লাইনের ক্যাবলটাও তারা বাইরে থেকে আগেই কেটে দিয়েছিল। তারপর শুরু করে লুটপাট। ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে ৩ জনের ডাকাত দলটি এ পরিবারের স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ বাংলাদেশী টাকায় আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এটা কোন নাটক বা সিনেমার গল্প নয়। আবার ঢাকা শহরের নিত্যনৈমিত্তিক কোন ঘটনা ও এটি নয়। সৌদীআরবের রাজধানী রিয়াদের জনবহুল এলাকা ‘হারা’ তে বিগত দিনে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ডাকাতি ঘটনার একটি বাস্তব ঘটনা এটি। শুধু গত রমজান মাসেই মোট ৭/৮ জনের এ ডাকাত দলটি আরো দু’টি বাংলাদেশী পরিবার এবং এক ব্যবসায়ীর বাসায় হানা দিয়ে তাদের সর্বশ্ব লুট করে নেয়। এর আগেও আরো কয়েকটি এ রকম ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল, যাতে ডাকাত কর্তৃক ঘরের লোক খুন হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যপার হচ্ছে এ ডাকাতদলের সবাই’ই বাংলাদেশী; বাংলাদেশী নামের কলঙ্ক। স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের সক্রীয় তৎপরতা ও দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তাদের ৩ জন ইতিমধ্যে ধরা পড়ে এখন জেলে আছে। বাকীদের কেও ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে।
গত শুক্রবার রিয়াদে আট বাংলাদেশীর শিরচ্ছেদের ঘটনায় দেশব্যপী ভীষন হৈ চৈ পড়ে গেছে। বিবৃতির পর বিবৃতি। কিন্তু বাছবিচারহীন এ রকম বিবৃতি আবার নতুন কোন সমস্যার জন্ম দিচ্ছে কিনা সেটাও আমাদের একটু ভেবে দেখা দরকার। ২০০৭ সালে এ বিচার কার্য্যটি শুরু হয়ে দীর্ঘ প্রায় চার বছর পরে এটার রায় কার্য্যকর করা হল। এ শাস্তিটা যদি আরো আগে হতো তাহলে বিগত মাস গুলোতে ডাকাতির যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা নাও ঘটতে পারতো। প্রাণহানী ও লুটপাটের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বা ব্যক্তিগুলো যেমন রক্ষা পেত, তেমনি যারা অপরাধী হিসেবে ধরা পড়েছে বা ধরা পড়ার আশংকায় তারাও হয়তো এ জঘন্য পথে পা বাড়ানো থেকে বিরত থাকতো। আসলে যে কোন অপরাধের শাস্তি বিধানের স্বার্থকতা তো এখানেই।
যে কোন মৃত্যুই বেদনাদায়ক, নিঃসন্দেহে তা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্যই। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ আজ থেকে চার বছর আগে যখন ঐ ডাকাত দল কর্তৃক মিশরী দারোওয়ান খুন হলো, তা তার পরিবারের কাছেও সমান বেদনাদায়ক ছিল। তার পিতামাতা স্ত্রী পরিজনও এই ভাবে আহাজারী করেছিল সেদিন। সে দিকটা কিন্তু কেউ একবার ও ভেবে দেখছিনা। বাংলাদেশী বলে খুনী হলেও তার পক্ষ নেব আর ভিন্ দেশী বলে আরেকজনের খুন হওয়ার নির্মমতাকে পাত্তাই দেব না, এটা মানবাধিকার এবং ন্যায় বিচার দুটোর’ই সম্পুর্ণ পরিপন্থী একটি দ্বীমুখী নীতি বৈকি। জাতীয় পর্যায়েও আমরা এরুপ দ্বীমুখী নীতির অনেক নমুনা দেখতে পাই, যে নিজের দলের এবং মতের লোক হলে সে যত জঘন্য অন্যায়’ই করুক না কেন তাকে কিভাবে কোন্ কৌশলে সবধরনের অভিযোগ এবং শাস্তি থেকে বাঁচানো যায় তার জন্য আরো কোন জঘন্য অন্যায় যদি করা লাগে তা করতেও অনেকে পিছ পা হন্ না। নিজের স্বজন খুন হলে খুনিকে ফাঁসিতে চড়ানোর জন্য সব শক্তি নিয়োগ করি, পক্ষান্তরে নিজেদের লোক কর্তৃক অন্য মত বা দলের লোক খুন হলে তা নিয়ে একটুও মর্মবেদনা অনুভব করি না, বরং আদালত কর্তৃক শাস্তি ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পরে অবলীলায় তাকে ক্ষমা করে দিয়ে মহানভূবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। অন্যদিকে আমার সুদীর্ঘ প্রায় ১৯ বছরের প্রবাস জীবনে দেখে আসছি - অনেকেই আছে যারা মনে করে – এত টাকা খরচ করে বিদেশে এসেছি, টাকা রোজগার করার জন্য। সুতরাং যে কোন উপায়ে টাকা নিজের পকেটে আসলেই হলো। তা কার টাকা, কিভাবে কোথ্থেকে আসল, বৈধ না অবৈধ, এটার জন্য কোন জবাদিহি করা লাগবে কি না – এসব যেণ কোন দেখার’ই বিষয় না। অবশ্য এটা আমাদের একটি প্রধানতম জাতীয় ব্যাধিও বটে, যা সংক্রমনের মাধ্যমে কম বেশী সবার মধ্যেই দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার নাম দুর্নীতি। দেশে জাতীয় পর্যায়ে যেমন লুটেপুটে খাওয়ার একটা মহোৎসব চলে আসছে, প্রবাসে এসেও তাদের বংশবদরা যেন সেই এক’ই ধারা বজায় রাখার মহড়ায় নেমেছে। স্বৈরাচারী এরশাদ এর আমলের একটা মজার ঘটনা আমার মনে পড়ছে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত একদল পরীক্ষার্থী একবার রাস্তায় মিছিল বের করেছিল আর তাদের স্লোগান ছিল এই রকম “নির্বাচন হইছে যে ভাবে, পরীক্ষাও হবে সে ভাবে”। জাতীর কলঙ্ক কিছু দুবৃ্ত্ত এ প্রবাসেও সেই এক’ই ধারা বাস্তবায়নে নেমেছে আর যেণ তাদের স্লোগান হচ্ছে – ”লুটপাট আর সন্ত্রাসের মহোৎসব দেশে চলছে যে ভাবে প্রবাসেও চলবে সে ভাবে”। সেই আট জন বাংলাদেশী তো নিছক অর্থ লোভেই ডাকাতি করতে গিয়ে একজন মানুষ পর্যন্ত খুন করতে এতটুকু পিছপা হয় নাই। আর আমাদের সুশীল সমাজ তাদের সেই ঘৃণ্য অপরাধের কথা বেমালুম ভূলে গিয়ে নিন্দার ঝড় তুলে চলেছেন। কারন তো একটাই, যে তারা আমার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করার জন্য সেই সুদূর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিল, আর সেই অর্থ কামাই করতে গিয়েই আজকে সেই বিদেশ বিভুঁইয়ে তাদের প্রাণ বিসর্জন দিল। পারলে যেণ জাতীয় বীর খেতাব দিয়ে বসে আর কি!
কিন্তু আমরা একবারও কি ভেবে দেখেছি এ সৌদিআরবেই কর্মরত আরো প্রায় ২০ লক্ষ বাংলাদেশী’র কথা! যারা দীর্ঘ দিন নানা প্রকার সমস্যার ঘুর্ণাবর্তে নিষ্পেষিত হচ্ছে অনেকটা লাওয়ারিশ এর মত। অনেক লেখালেখি আবেদন নিবেদন সত্ত্বেও সেই সব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কার্য্যকরী কিছুই আজ পর্য্যন্ত তো করা হয়’ই নাই, উপরন্তু ঐসব ডাকাতির ঘটনা সহ, বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটা অনেক মারামারি কাটাকাটি আর সন্ত্রাসী ঘটনার কারনে সার্বিক পরিস্থিতি বাংলাদেশীদের জন্য আরো চরম প্রতিকূলে যাচ্ছে দিন দিন। আর আমাদের সুধী সমাজ সেই সব কলঙ্কজনক ঘটনার নায়কদের জন্য মায়াকান্না করে প্রকারান্তরে তাদের অপকর্মের প্রতি নিরব সমর্থন প্রদর্শন করে – বাকী বিশ লক্ষ লোকের ভাগ্যকে আরো অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমানে সৌদিআরবে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে প্রধান সমস্যার ব্যপারে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই। অনেক সমস্যার মধ্যে প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে ‘কফিল পরিবর্তন’ বন্ধ হওয়া। প্রধানতমঃ বললাম কারন এটি আরো অনেক সমস্যার উৎসও বটে। ‘কফিল পরিবর্তন’ করা কে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় “নক্বল কাফালা” বা “Transfer of sponsorship”। অর্থাৎ যদি কারো বর্তমান কফিলের কাছে কাজ না থাকে কিংবা কাজ আছে কিন্তু বেতন বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম। অন্য কোম্পানীতে আরো ভাল সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরীর অফার পাওয়ার পর বর্তমান কফিল বা নিয়োগর্তার সাথে একটা সমঝোতার মাধ্যমে তার সম্মতি নিয়ে অন্য কোম্পানী বা কফিলের কাছে স্থায়ী ভাবে transfer বা স্থানান্তর হয়ে যাওয়াকে বলা হয় “নক্বল কাফালা” বা “Transfer of sponsorship”। এ সুযোগ বর্তমানে সৌদিআরবে কর্মরত অন্যান্য সব দেশের নাগরিকদের জন্য বহাল আছে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য এ সুযোগ সৌদি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে – কতিপয় বাংলাদেশী দুবৃত্তের কিছু সন্ত্রাসী এবং আইনশৃংখলা বিরোধি কর্মকান্ডের কারনে, যা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কর্মরত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ সমুহের নাগরিক কিছু সাংবাদিক কর্তৃক অতিরঞ্জিত রুপে ফলাও করে প্রচারীত হওয়ার কারনে। এসব সংবাদ সৌদিআরবের নীতিনির্ধারনী মহলের নজরে আসে এবং অনেকটা অঘোষিত ভাবে বাংলাদেশীদের “নক্বল কাফালা” বন্ধ করে দেয়া হয়। সবাই আশায় বুক বেঁধেছিলাম নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে যথাযথ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে, কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। বরং এখন সমস্যার আরো নতুন নতুন জট তৈরী হচ্ছে, যা থেকে মুক্তি পাওয়া কি ভাবে সম্ভব, আদৌ সম্ভব হবে কি না এসব ভেবে আমরা চরম ভাবে হতাশ এবং উদ্বিগ্ন।
এই “নক্বল কাফালা” বন্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশী নাগরিকরা কি সব মারাত্মক সমস্যার মধ্যে প্রতিনিয়ত হাবুডুবু খাচ্ছে আর কি চরম পরিস্থিতির সাথে রাতদিন যু্দ্ধ করে টিকে আছে তার কিছুটা বর্ণনা এখানে না দিলেই নয়ঃ
যাদের বর্তমান কফিল এর কাছে কাজ নেই তাদের সামনে সাধারণতঃ চার টা পথ খোলা থাকে – এক, অন্য কফিলের অধীনে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়া। দুই, বর্তমান কফিলকে মাসিক বা বাৎসরিক একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করা হবে মর্মে রাজি করিয়ে তার বিনিময়ে ট্রান্সফার হওয়া ছাড়াই অন্য কফিলের অধীনে কাজ করা। তিন, Final Exit বা চুড়ান্ত ভাবে দেশে চলে যাওয়া। চার, কফিলকে না জানিয়ে তার কাছে পাসপোর্ট ফেলে রেখেই অন্যত্র চলে যাওয়া বা পালিয়ে যাওয়া।
এক নম্বর পথটা বাংলাদেশীদের জন্য সম্পুর্ণরুপে বন্ধ এবং অনেক কফিল তাদের নিজস্ব কিছু জটিলতার কারনে দুই নম্বর উপায় অবলম্বনের ব্যপারে কখনো সম্মত হয় না। তাছাড়া ট্রান্সফার না হয়ে অন্য কফিলের অধীনে কাজ করাও কিন্তু এখানে আইন সম্মত নয়। সেই ক্ষেত্রে কফিল তিন নম্বর পথ অর্থাৎ Final Exit এ তার বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়। স্বাভাবিকতঃই চুড়ান্ত ভাবে দেশে চলে যাওয়াটা খুব’ই দুর্ভাগ্যজনক। কারন অনেকে অনেক টাকা খরচ করে ভিসা কিনে সৌদিতে আসে, হয়তো তখনো তার খরচ তো দূরে থাক ঋন ও শোধ হয় নাই। এ অবস্থায় Final Exit এ দেশে যাওয়াটা অনেকে মেনে নিতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে এ সকল শ্রমিকেরা চার নম্বর পথটি বেছে নেয়, অর্থাৎ কফিলের কাছ থেকে পালিয়ে যায়, চুড়ান্ত ভাবে অবৈধ হয়ে যায়। আবার যে সকল কফিল তার শ্রমিকদেরকে দ্বিতীয় পথটি গ্রহণ করার সুযোগ দেয়, তারাও এ সুযোগের অসৎ ব্যবহার করে অতি মাত্রায় অর্থ্ দাবী করে। বিশেষ করে প্রতি বছর আকামা বা work permit নবায়নের সময় তারা মাত্রাতিরিক্ত অর্থ্ দাবী করে বসে। তখন অতিরিক্ত অর্থ দেয়ার মত সামর্থ্য যাদের থাকে না, তারা আকামা নবায়ন না করার কারনে অবৈধ হয়ে যায়। অনেকে আবার কফিলের দাবী অনুযায়ী মাত্রাতিরিক্ত অর্থ্ দেয়ার পরে ও মাসের পর মাস চলে যায়, কিন্তু ঐ অর্থ লোভী কফিল তার আকামা নবায়ন করে দেয় না। হয়তো বা সেই কফিল নিজের’ই লাইসেন্সগত কোন সমস্যা বা মামলা থাকার কারনে তার শ্রমিকদেরকে এমন সমস্যায় পড়তে হয়। তখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও এ লোকগুলোকে অবৈধ হয়ে যেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে কফিলরা সাধারনতঃ নিজেদেরকে যে কোন অনাহুত ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখার জন্য পালিয়ে যাওয়া বা অবৈধ হয়ে যাওয়া শ্রমিকের বিরুদ্ধে থানায় তার শ্রমিক পালিয়ে গেছে মর্মে জিডি করে দেয়। এর পর ঐ সকল শ্রমিক কে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে যে পর্য্যন্ত সম্ভব একেক দিন বা মাস একেক জায়গায় সাময়িক ভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে নিজে চলতে হয় এবং দেশে পরিবারের জন্যও অর্থের যোগান দিতে হয়ে। এরকম অবৈধ অবস্থায় প্রতি মুহুর্তে অনেকটা সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মত লোকদের কে তটস্থ থাকতে হয়, কখন জানি পুলিশের চেক আসে এবং ধরা পড়ে ২-৩ মাসের জন্য জেলে মানবেতর জীবন পার করে দেশে চলে যেতে হয়। এই যে কষ্টের জীবন কেবলমাত্র ভুক্তভোগি ছাড়া কারোর পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব না। কিন্তু “নক্বল কাফালা” চালু থাকলে এ রকম অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখিন বাংলাদেশীদের হতে হতো না।
অন্যদিকে যারা বর্তমান কফিল এর অধীনে বৈধ ভাবে কাজ করছে, তাদের জন্য আগে সুযোগ ছিল, যদি অন্যত্র ভাল অফার পাওয়া যায়, তাহলে “নক্বল কাফালা”র মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার এবং অধিক বেতনের চাকুরী করার, উপার্জন বাড়ানোর, প্রকারান্তরে নিজের পরিবার এবং দেশের আয় বাড়ানোর। কিন্তু “নক্বল কাফালা” বন্ধ থাকার কারনে যে সে সুযোগ বন্ধ হয়েছে শুধু তা নয়, বরং আজকে অনেকে তাদের বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছে এক ধরনের জিম্মি হয়ে গেছে এবং নানারুপ বৈরী আচরনের স্বীকার হচ্ছে।
সর্বশেষ, এখানে গত মাস থেকে চালু হওয়া একটা নতুন সিষ্টেম বাংলাদেশীদের জন্য এখন মড়ার উপর খড়ার মত হয়ে দেখা দিয়েছে। সৌদি সরকার তাদের বিশাল বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থানের জন্য একটি দীর্ঘ্ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখানকার ছোট বড় সব গুলো কোম্পানীকে চারটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করে নিয়েছে। ক্যাটাগরীগুলো হচ্ছে – Blue, Green, Yellow and Red. যে সব কোম্পানীতে মোট কর্মচারীর ৮০% বা তার উপরে সৌদী নাগরিক রয়েছে, তারা Blue, যাদের ৩০% এর উপরে সৌদী নাগরিক রয়েছে তারা Green, যাদের ৩০% এর কম কিন্তু ১০% এর বেশী সৌদী নাগরিক রয়েছে তারা Yellow, এবং যে সব কোম্পানীতে ১০% এর কম সৌদী নাগরিক রয়েছে তার Red ক্যাটাগরীর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। Blue and Green ক্যাটাগরীর কোম্পানীগুলোর বিদেশী কর্মচারীদের ব্যপারে তেমন কোন সমস্যা আপাততঃ নাই। কিন্তু এই দুই ক্যাটাগরীর কোম্পানীর সংখ্যা হাতে গোনা ১০% এর বেশি হবে না। আর Yellow ক্যাটাগরীর কোম্পানীগুলোতে যে সকল বিদেশী কর্মচারীর চাকুরীর মেয়াদ ইতিমধ্যে ৬ বছর পূর্ণ্ হয়েছে, তাদের আকামা নবায়ন করা হবে না। আর Red ক্যাটাগরীর কোম্পানীগুলোর বিদেশী কর্মচারীদের চাকুরীর মেয়াদ যাই হোক না কেন, তাদের আর আক্বামা নবায়ন করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে Yellow and Red ক্যাটাগরী কোম্পানীগুলোর বিদেশী কর্মচারীদের জন্য একটা সুযোগ রয়েছে। তা হচ্ছে এদের কেউ যদি Blue and Green ক্যাটাগরীর কোন কোম্পানীতে চাকুরী নিশ্চিত করতে পারে, অর্থাৎ Job offer arrange করতে পারে তাহলে ঐ সকল বিদেশী নাগরিকরা যে কোন সময় তার বর্তমান Yellow or Red ক্যাটাগরীর কোম্পানী ত্যাগ করে উক্ত Blue and Green ক্যাটাগরীর কোম্পানীতে Parmenently Transfer হয়ে যেতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য এ সুযোগ গ্রহনের কোন অবকাশ নেই, যেহেতু বাংলাদেশীদের নকল কাফালা বন্ধ।
মোটকথা বর্তমানে সৌদিআরবে “নক্বল কাফালা”গত এ সমস্যার কারনে একদিকে যেমণ প্রতি সাপ্তাহেই কেউ না কেউ এখানে অবৈধ হচ্ছে এবং সৌদিতে অবৈধ বাংলাদেশীদের সংখ্যা এবং অবস্থা প্রকট আকার ধারন করছে। অন্যদিকে কর্মরত বাংলাদেশীরা চরম অনিশ্চয়তা, উৎকন্ঠা আর ঝুঁকির মধ্যে দিনাতিপাত করছে, শতকরা ৪০ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রার এ গুরুত্বপূর্ণ উৎসটি দিন দিন সংকুচিত শুধু নয়, হাত ছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারন বাংলাদেশীদের ট্রান্সফার বন্ধ হওয়ার সুবাদে অন্য দেশীরা; বিশেষ করে ভারতীয়রা অধিক হারে চাকুরীতে ঢোকার সুয়োগ পাচ্ছে। এই ভাবে দেখা যাবে এক সময় বাংলাদেশীরা সব জায়গাতে অবাঞ্চিত এবং সংখ্যায় নগন্য হয়ে পড়েছে শ্রমবাজারের এ বিশাল ক্ষেত্রটিতে।
আর দুঃখজনক হলেও সত্য হচ্ছে – সৌদীআরবে বাংলাদেশীদের এ অস্তিত্ত্ব টিকে থাকা না থাকার বিষয় নিয়ে কারোর’ই কোন মাথা ব্যথা নেই। সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার বা দূতাবাস কারো কাছ থেকেই কোন প্রকারের কোন তৎপরতা তো নাই’ই, বরং কয়েকজন খুনিকে শাস্তি দেয়ার কারনে লজ্জিত বা অনুত্প্ত না হয়ে বরং উল্টো এরুপ শাস্তি বিধানের জন্য সমালোচনার ঝড় তুলে চলেছে। যার প্রতিক্রিয়া জানাতে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসকে সাংবাদিক সম্মেলন পর্যন্ত করতে হয়েছে।
এবার আমি যে শাস্তি তথা শিরচ্ছেদ নিয়ে এত হৈচৈ তার ব্যপারে কিছু কথা পেশ করতে চাই। প্রত্যেক দেশেই অপরাধী মাত্রই প্রচলিত আইনে বিচারের রায় অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে, এটি একটি প্রথাসিদ্ধ ব্যপার। আমাদের দেশেও হত্যাকান্ডের জন্য মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে এবং যথারীতি মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর ও হচ্ছে। কই সেটা নিয়ে তো কোন উচ্চবাচ্য করে না কেউ। কেন করে না? কারন এটা আইনসিদ্ধ পন্থায় যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরন করে করা হয়। এর ব্যতিক্রম হলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ আসতেই পারে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর সৌদিআরবেও এটা কোন নতুন ঘটনা নয়, নতুন আইনও নয় এটি, কিংবা শুধু যে বাংলাদেশী হওয়ার কারনে এ শাস্তি প্রয়োগ করা হয়েছে তাও নয়। বরং এক’ই দিন এক’ই স্থানে এক সৌদি নাগরিকেরও এক’ই কায়দায় মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করা হয়েছে। সৌদিআরবে রাষ্ট্রিয় ভাবে কোআনের আইন অনুসরন করা হয় এটা আমরা জেনে বুঝে সেই আইন সম্পুর্ণ রুপে মেনে চলার অঙ্গিকার করেই এখানে এসেছি। আর নির্দোষ কাউকে তো শাস্তি দেয়া হয় নাই। তারা যে খুন করেছে তার স্বাক্ষ্য প্রমান এবং স্বীকারোক্তি সব কিছু পাওয়ার পরে দীর্ঘ্ চার বছরাধিককাল ধরে বিচার কাজ চলার পরে আল্লাহর আইন অনুযায়ী’ই শাস্তি কার্য্যকর করা হয়েছে। আল্লাহর আইনের ব্যপারে কেউ কেউ চরম ঐদ্ধৈত্যপূর্ণ্ মন্তব্য করেছেন, যাদের নাম দেখে মুসলিম’ই মনে হয়। কিন্তু এ নাম পরিচিতি যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া, তা বুঝা যায় মুসলিম হয়েও আল্লাহ, তার রাসূল (সাঃ), কোরআন এবং সর্বোপরী ইসলাম এর ব্যপারে তাদের চরম অজ্ঞতা আর ঔদ্ধৈত্য দেখেই। প্রকৃত অর্থে মুসলিম মানে তো হচ্ছে আত্মসমর্পণকারী, আল্লাহর আইন বা হুকুমের কাছে এবং কোন দ্বিধাহীন চিত্তে। সাধারনতঃ একজন মানুষ যখন অন্য মানুষ কর্তৃক অত্যাচারের স্বীকার হয়, তখন এটা তার ন্যায্য দাবী বা হক হয়ে যায় যে তাকে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে এবং এর কারনে সে যে রকম কষ্ট পেয়েছে, সেই অত্যাচারকারীও যেণ ঠিক তেমনি শাস্তি পায়, যাতে সে তেমনি কষ্ট পায়। মানুষের প্রতি মানুষের এ দাবী বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তো দেশে দেশে এত আইন আদালত, কোর্ট্ কাচারী, জর্জ্ ব্যারিষ্টার। মানুষের তৈরী করা আইনে অসম্পুর্ণতা ও অসংগতি থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহ্ পাকের প্রিয় এবং শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মানুষের জন্য কোন্ ধরনের আইনে সুবিচার নিশ্চিত হবে, কি শাস্তি প্রযোজ্য হবে, সর্বোপরী সমাজে বির্শৃংখলা ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী দুষ্ট ক্ষতগুলোকে কি ধরনের শাস্তির মাধ্যমে নির্মুল করে সমাজে শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে তা স্বাভাবিকতঃই সৃষ্টিকর্তা হিসেবে একমাত্র আল্লাহ্ই যে সর্বাপেক্ষা নির্ভুল ও সন্দেহাতীত ভাবে বলতে পারবেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আল্লাহ্ পাক এ কথাটাই সূরা ত্বীন এর মধ্যে কি ‍সুন্দর ভাবেই না ব্যক্ত করেছেন – “আমি মানুষকে পয়দা করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয়। তারপর তাকে উল্টো ফিরিয়ে নীচতমদেরও নীচে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। তাদেরকে ছাড়া, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করতে থাকে। কেননা তাদের রয়েছে এমন পুরস্কার যা কোনদিন শেষ হবে না। কাজেই ( হে নবী !) এরপর পুরস্কার ও শাস্তির ব্যাপারে কে তোমাকে মিথ্যাবাদী বলতে পারে? আল্লাহ কি সব বিচারকের চাইতে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন ?” মানুষ হত্যার মত জঘন্য অপরাধের ব্যপারে আলকোরআনের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে - “নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো। আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো।" সূরা মায়েদা ৩২
আর যেহেতু মানুষের সাধারণ প্রবণতা তথা চাহিদাই হচ্ছে একজন অত্যাচারী বা অন্যায়কারীর শাস্তি তাই’ই হোক, যে কষ্ট তার অত্যাচার বা নিপীড়নের কারনে অন্য একজনকে ভোগ করতে হয়েছে, সেই হিসেবে ‘প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ’ নেয়ার জন্য আল্লাহর যে নির্দেশ তা অবশ্যই যথার্থ। এর আর কোন বিকল্প হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে একজন অপরাধী বা খুনী ক্ষমা পেতে পারে কেবল সেই নিপীড়িত বা নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকেই। কোন বিচারক বা রাষ্ট্রপ্রধান কে এ ক্ষেত্রে ইসলাম কোন এখতিয়ার দেয়নি। কারন এ দাবী বা অধিকার নিপীড়িত বা নিহত ব্যক্তির হওয়াই যুক্তিযুক্ত যা মানুষের হক্ব হিসেবে ইসলাম গণ্য করে। আর শেষ বিচারের দিনেও কোন মানুষের হক বা অধিকার স্বয়ং আল্লাহ ও ক্ষমা করবেননা যতক্ষণ না তার হক্বদার বা দাবীদার ক্ষমা না করবে। এ হিসেবে ‍উক্ত আট ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড ক্ষমা করার এখতিয়ার ছিল সম্পুর্ণরুপে সেই নিহত মিশরী ব্যক্তির পরিবারের’ই। দীর্ঘ চার বছরে এ ক্ষমা আদায় করার ব্যপারে আসামীদের পক্ষ থেকে সরকার বা স্থানীয় দূতাবাস প্রয়োজনে মিশরস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের মাধ্যমে ঐ পরিবারের কাছ থেকে ক্ষমা আদায়ের ব্যপারে আরো জোরালো তৎপরতা চালাতে পারতো। প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করার যৌক্তিকতাও অনেক। এখানে এর একটা মাত্র প্রত্যক্ষ এবং তাৎক্ষনিক সুফল আমি উল্লেখ করতে চাই। বিগত কয়েক মাসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনা গুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশী পরিবার ও ব্যবসায়ীরা তো বটেই, অবাংলাদেশী পরিবার গুলো পর্যন্ত একটা আশংকা আর আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছিল। অনেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিল বাইরের গেইটে তালা লাগানো, ঘরের দরজায় অতিরিক্ত লক লাগানো, গেইটে সিসিটিভি ক্যামরা লাগানো ইত্যাদির মাধ্যমে। গত শুক্রবারের শিরচ্ছেদের মাধ্যমে ঐ ডাকাত দলের মৃত্যুদন্ড কার্য্যকরের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর সবার মধ্যে একটা স্বস্তি এবং হাঁফ ছেড়ে বাঁচার একটা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারন আগামী কয়েক বছর এ শাস্তির ঘটনা যারা নিজ কানে শুনেছে বা মিডিয়াতে প্রচার হতে দেখেছে তাদের কেউ’ই একান্ত মস্তিষ্ক বিকৃতি না ঘটলে কিংবা নিতান্ত আত্মাহুতি দেয়ার সিদ্ধান্ত না নিলে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হওয়ার সাহস পাবেনা। এখানেই আল্লাহর আইনের ব্যাপকতা, কার্য্যকারীতা, কল্যাণ এবং স্বার্থকতা।
সুতরাং এসব ব্যপার নিয়ে অনভিপ্রেত কোন মন্তব্য বা বক্তব্য দেয়ার পূর্বে এর সুদূর প্রসারী প্রভাব মাথায় রাখা উচিৎ। সর্বোপরী এ রকম সমস্যার মূল উৎস যেখানে সে জাতীয় জীবনে আমাদের সঠিক শিক্ষা এবং তার চর্চার ব্যপারে আরো সিরিয়াস হতে হবে, বিশেষ করে জাতীর কর্ণধারদের। তাহলেই কেবল এ ধরনের জীবন বিধ্বংসি ঘটনার পূনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব। সাথে সাথে জাতীয় স্বার্থে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের চলমান সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের ব্যপারে কার্য্যকর কূটনৈতিক তৎপরতা ও পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
১৪টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×