আন্তর্জাতিক নারী দিবস কারও মনগড়া নয়। এর পিছনে আছে ইতিহাস, আছে নানা ত্যাগ। বিশেষ করে এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নারী শ্রমিক ও কর্মজীবীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে চলে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এরপর থেকে পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি। নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে, এবারও দিবসটি উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নানা কর্মসূচী। আন্তর্জাতিক এই দিবসকে সফল ও সার্থক করে তোলার জন্য এবারের শ্লোগান ‘নারী-পুরুষ সমতা গড়ে তোল একতা।’ নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের পাশাপাশি ছাত্রীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান। এর মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদে নারীর অবস্থান বহির্বিশ্বে প্রশংসিত। নারী পুরুষ সমতা রক্ষা বাংলাদেশের অবস্থাকে সুদৃঢ় করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮