সকল আলোচনা সমালোচনা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, মানুষজন সবাই একরকম নিশ্চিত যে, যেহেতু ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হয়েছে সেহেতু আর্মি করেছে, যেহেতু আর্মি করেছে সেহেতু সেনা কর্তৃপক্ষ চুপ, আর যেহেতু সেনা কর্তৃপক্ষ চুপ তাই পুলিশ বাবাজিরাও চুপটি মেরে বসে আছে আর ধামাচাপার চেষ্টা করছে। মজার ব্যাপার হল, আমরা খুনি বের করে ফেলেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো, পুলিশ এখনও ফরেন্সিক রিপোর্টই হাতে পায়নি! ফরেন্সিক রিপোর্ট ছাড়াই পুলিশ আসামী ধরবে! এখানেও আর্মিকে দোষ দেবেননা, কারন জ্ঞ্যাতার্থে জানাই, ফরেন্সিক টেস্ট সিএমএইচ এ করতে দেয়া হয়নি। সরকারী এবং সিভিল মেডিকেলেই করতেক দেয়া হয়েছে। আর্মিকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? আর কেনইবা এত ক্ষোভ? ক্যান্টনমেন্টে ঢুকতে দেয়না বলে? ও তো পুলিশ লাইনেও দেয়না। গনমানুষের ভোটে নির্বাচিতদের সংসদেও গনমানুষ ঢুকতে পারেনা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা সচিবালয়েও পারেনা। স্থাপনার তো অভাব নাই যেখানে access limited. কিসের জন্য? জলপাই রঙা গাড়ির জন্য? আর সব সরকারি অফিসাররাও তো সরকারী গাড়িতে চড়ে। তাহলে কি? জলপাই রঙের জন্য? ইউনিফর্মের জন্য? ভাই সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম থাকতে হয়, নইলে সিভিলিয়ানরা সব কচুকাটা হবে যুদ্ধের সময়। আর্মি কি কখনও কারও কোন পাকা ধানে মই দিয়েছে? আর্মির সাথে তো আপনাদের লেনদেনও নেই যে ঘুষ দিতে হয় তাই বেজার হয়ে আছেন।ঘুরে ফিরে তাই এক জায়গাতেই আসবেন, সবচাইতে বড় আপত্তি, যুদ্ধ নেই তো বাহিনী কেন? আজকে ২৫ শে মার্চ এর উত্তরটা কি। আর্মি যদি নাই থাকে, তবে রানা প্লাজা ধসে পরলে উদ্ধার করবে কে? সিডোরের প্রকোপে যখন সব মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছিল, ঝড় থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল, আর্মি ইউনিট ঝড় ঠেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যাচ্ছিল মানুষজনকে উদ্ধার করতে। গাছগুলো সব রাস্তায় আছড়ে পরছিল,আর আমার ইউনিট ওগুলো পরিষ্কার করে করে এগুচ্ছিল। ঝড় থামার জন্য অপেক্ষা করেনি তো। পরোয়া করেনি তো নিজের জীবনের? কে করবে এসব? ন্যাশনাল আইডি কার্ড থেকে ফ্লাইওভার, দুর্গম সব জায়গার রাস্তাঘাট, কে করবে এই বাহিনী ছাড়া?সেনাবাহিনী ছাড়া কোন অর্গানাইজেশন সময়মত কোন অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করেছে? যেখানে আর সবাই থেমে যায়, ব্যার্থ হয়, আর্মি শুরু করে সেখান থেকেই।।আর এই আর্মি সাফল্য আর সম্মান ছাড়া দেশকে আর কিছু দেয়নি। এই আর্মি দেশের আর্মি, দেশের জন্য জান লড়িয়ে দেয়ার আর্মি।দেশের জন্য এই বাহিনীর প্রতিটা দিন কাটে উদয়াস্ত কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে। কারণ এই বাহিনী প্রস্তুত, এরা লাশ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশ ও দেশের মানুষদের রক্ষা করবে।সুতরাং রেপ কে না বলুন, হত্যা কে না বলুন, সেনাবাহিনী কে নয়। আর্মিকে নিয়ে এই অপপ্রচারের নেপথ্য কারা? সেনাবাহিনীর সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এই সুশৃঙ্গল বাহিনীর উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তাই অপপ্রচার না করে সঠিক জিনিষটা বের করার চেষ্টা করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫২