২৫ জানুয়ারি ২০১৩ তে তামিম ইকবাল মাদা**চো** বলে গালি দিয়েছিলেন অটোগ্রাফ চাওয়া এক নারী দর্শক কে। ভিডিও পর্যন্ত ইউটিউবে আছে, নিষেধাজ্ঞা হয়নি।
০২ জানুয়ারি ২০১২ তে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মাঠের মধ্যেই ওল্ড ডিওএইচএস এর আশরাফুলের উপর চড়াও হন তামিম, নিষেধাজ্ঞা ১ ম্যাচ।
২২ অক্টোবর ২০০৭ এ তামিম ইকবাল বোলার তালহা জুবায়ের কে গালি দিয়ে ক্ষান্ত হননি, হেলমেট দিয়ে আঘাত করেন, নিষেধাজ্ঞা ২ ম্যাচ।
২২ আগস্ট ২০১০ এ চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে বিজনেস ক্লাসের টিকিটের জন্য বিসিবি স্টাফদের সামনে ভিসা ফর্ম ছিঁড়ে তামিম তুলকালাম করেন। কোন শাস্তি হয়নি।
২০১০ নিউজিল্যান্ডের বিরম্নদ্ধে সিরিজে ইনজুরির কারনে তামিম না খেলেও দাবি করেন ড্রেসিংরম্নমে প্রবেশাধিকারের জন্য এ্যাক্রিডিটেশন কার্ড, সেটি পেতে দেরি হওয়ায় বিসিবি স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণ। কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফর ও এশিয়া কাপে জাতীয় দলের বোলিং কোচ বাবুল মিরপুরের ইনডোরে তামিমকে কিছু বোঝাতে যান, তাকে অপমান করে, শাসিয়ে দিয়ে তামিম বলেন যেন ভবিষ্যতে তাকে যেন বোঝাতে না আসে। এরপর কোনকিছুই হয়নি।
০৫ মার্চ ২০১২, আকরাম খান পদত্যাগ করলেন তামিম ইকবালের জন্য, বোর্ড সভাপতি মুস্তফা কামাল অনুমোদন দেননি তামিমের দলে থাকা। এর আগে দল নির্বাচন নিয়ে হস্তক্ষেপ হলেও তখনই প্রথম তিনি পদত্যাগ করেন। আকরাম খানের আচরন বিসিবির নিয়ম বহির্ভূত বরং তাঁকে স্বপদে ফিরিয়ে আনা হয় খেলার স্বার্থে।
এই লেখাটি তামিম ইকবাল কে উদ্দেশ্য করে নয় কিন্তু বিসিবির আচরন বিধি মালা এখানে ভঙ্গ হয় না, এতসব কিছুর পরও তামিম দলে ঠিকে থাকে। ফর্ম নেই সেই কবে থেকেই, তবুও একমাত্র চাচা (পড়ুন মামা) আকরাম খানের সুবাদে সাতখুন মাফ।
আর যে ছেলেটির কোন মামা চাচা নেই, ভালো খেলে দলে ঠিকে থাকার যোগ্যতা নেই, অভিমানের সুরে প্রেমিকাকে ভালবাসিনা বলাও যাবে না, বললেই অবুঝ প্রেমিকার মত ঘটা করে ৬ মাসের ব্রেক আপ করে ফেলবে বিসিবি।
আমি বলছিনা সাকিব অন্যায় করেনি, অন্যায়ের শাস্তিরও একটা সীমা থাকে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিটা যত না সাকিবের হলো তারচেয়েও বেশী তো হলো দেশের। এ যেন আমরা এমন দেশের কর্তা যে থালায় ভাত খাই, সেই থালা ফুটো করতেই আনন্দ পাই।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের গর্ব। অতি সামান্য অন্যায় গুলো মিডিয়া হাইলাইট করে অনেক বড় করে তুলেছে। এবং তার জন্য আগে থেকেই সে বিচারের সম্মুক্ষিন হয়েছে।
কিন্তু এবার শুধু মাত্র একটি অফিসিয়াল একটা স্বাক্ষর এর জন্য ছয় মাসের ব্যান, দেশের বাহিরে দেড়বছর নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না।
সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের ভালো করার সময় এখনি। আর এখন ৬ মাস বসে থাকা মানে তার পুরো ক্যারিয়ার ধংস করে দেওয়া। আমরা চাই না ধংস হোক এই লিজেন্ডের ক্যারিয়ার।
দরকার প্রতিবাদের। আমরা থাকব, আপনি থাকবেন তো?
ফেইসবুকে প্রতিবাদের ইভেন্টের লিংকঃ
Click This Link