somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশেষে টিকিট নামক সোনার হরিনকে জব্দ করে ফিরছি আমার প্রানের নগরীতে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবশেষে টিকিট নামক সোনার হরিনের সন্ধান করে শত যানযট কোলাহলের ঢাকা সিটি থেকে ফিরছি আমার প্রানের নগরীতে ।

[বিঃদ্রঃ যদিও একটু দুর্নীতি করে টিকিট সংগ্রহ করছি তাই মনের দিক দিয়ে একটু খারাপ লাগছে এইটা ভেবে যে শত শত লোক নাড়ীর টানে ঘরে ফিরবার টিকিকের জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে কিন্তু আমি বিনা লাইনে C4 এর মত ভি.আই.পি সিট পেয়েছি কিন্তু এই দূর্নীতির :) সাঁজা আমি পেয়েছি , মাওয়া ঘাট দিয়ে লঞ্চ দিয়ে উপার থেকে এপার পার হয়ে দেখি কোন গাড়ি নেই, ঈদের জন্য পুলিশ মেইন রোডের পাঁশে গাঁড়ি পার্কিং করতে দিচ্ছে না, কোথায় পুরানো রাস্তার মোড়ে গাড়ি দাড়িয়ে তো আমরা যাত্রীরা সবাই অজানা উদ্দেশ্য পথচারীদের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের কাঙ্খিত বাসের উদ্দেশে যাত্রা করলাম এদিকে ঘাঁড়ে আমার ১ মোন ওজনের বোঝা যদিও প্রকৃতপক্ষে এটা এক মন হবে না রুপক অর্থে বললাম আর কি :D , ল্যাপটপ,বই খাতা,জামা কাপড় ইত্যাদি দিয়ে ওজনটা একেবারে কম হবে না, ঈদের যানজটের কথা ভিড়ের কথা চিন্তা করে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক দুইটি ব্যাগ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র আমার কলেজ ব্যাগে সবকিছু একেবারে ঠেসে ঠুসে কানায় কানায় ভর্তি করে নিয়ে এসেছি ।

তো এই বোঝা পিঠে নিয়ে আমি হাঁঠছি তো হাঁঠছি কিন্তু পথ আর শেষ হয় না এর মধ্যে আবার শুরু হল আবার বৃষ্টি । অনেকের কাছে ছাতা নেই তারা বৃষ্টিতে ভিঁজে যাবে আর আমি ছাতার নিচে রিলাক্সে যাবো তাই মনে মনে একটু মুচকি হেঁসেছিলাম কারন আমার পিঠে এই বোছা দেখে তারাও হেঁসেছিল কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আল্লাহ এই শেষ হাঁসিটুকু আমাকে আর হাঁসতে দিল না কারন আমার ব্যাগে এত লোড হয়ে গেছে আর এত বড় হয়ে গেছে বৃষ্টি থেকে আমি রক্ষা পেলেও আমার ব্যাগ রক্ষা পাবে না অপরদিকে আমার ব্যাগে রয়েছে আমার জানের চেয়ে প্রিয় আমার ল্যপটপ, তাই এখন আমি যে কোন একটিকে রক্ষা করতে পাবর তত্‍ক্ষনাত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমি ভিজলে খুব বেশি হলে আমার জ্বর হবে কিন্তু ল্যপটপটা ভিজলেতো একবারে ডাইরেক্ট কবরে চলে যাবে এর মধ্যে আবার ট্যাবটাকেও হারিয়ে ফেলছি তাই আগে ল্যাপটপ পরে আমি । এভাবে ভিজে পুড়ে প্রায় ৩০ মিনিনের মত এই বোঝা ঘাড়ে নিয়ে অবশেষে সেই পুরানো রাস্তার মোড়ে এসে পোছালাম কিন্তু আফসোস অন্য সব কোম্পানির বাস ঠিকই আছে কিন্তু আমাদেরটা নেই ঐ খানে প্রায় ১৫ মিনিটের মত দাড়িয়ে থাকার পর আমাদের বাসের ঐ কোম্পানির একটি বাস আসল বাসটি আসা মাত্রই যাত্রীরা বাস কোম্পানিকে ড্রাইভারকে, সুপারভাইজারকে গালাগালি করতে সবাই ঐটাতে হুমড়ি দিয়ে ওঠা শুরু করল কিন্তু যাত্রীরা সবাই আছে কিন্তু আমাদের বাসের সুপারভাইজার সাহেব এখনও পৌছায় নি ঐ বাসের ড্রাইভার বলল ১২.৩০ এ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রীদের এপারের বাস এটি নয় এদিকে সবার চাঁন্দি গরম হয়ে গেল ড্রাইভারের উপর কেউ কেউ তেড়ে গেলেন তার উপর বাইরে প্রচুর বৃষ্ট হচ্ছে সবাই বাস থেকে নামতে নারাজ তারকিছু সময় পর দেখা মিলল আমাদের বাসের সুপারভাইজার সাহেবের তিনি অন্য একটি বাস নিয়ে এসে বললেন ১২.৩০ এর গাড়ির যাত্রীরা এই গাড়িতে উঠুন যাত্রীগনের রক্তচক্ষু করিয়া অঝরে তাকে গালালাল দিতে থাকলেন, অতপর বৃষ্টতে আবার ভিজে আমরা সকলে অন্য বাসে এসে যাত্রা শুরু করলাম । এত কষ্টর পরও ঘরে ফেরার আনন্দটাও কম না ।
এক কথায় আনন্দের কাছে কষ্টটা কিছুই না ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×