বাংলাদেশে একটি নতুন প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত তৈরী করার জন্য লেখার শুরুতে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনাব তোফায়েল আহমেদ এবং রাশেদ খান মেনন কে। গতকাল যখন খবরে দেখতে পেলাম যে বাংলাদেশের দুজন রাজনীতিক মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তখন সত্যি খুব অবাক হয়েছিলাম।
ছোটবেলা থেকে এই দেখে বড় হয়েছি যে, পারফর্মেন্স যাই হোক না কেন বাংলাদেশে একবার যারা মন্ত্রীত্ব পান হাজারো অভিযোগ থাকলেও তারা স্বেচ্ছায় তাদের পদটি ছাড়তে চান না। রাজনৈতিক কারণে হোক বা নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করার কারণেই হোক সরকার প্রধাণদের অনেকটা বাধ্য হয়েই অভিযুক্ত মন্ত্রীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে এই ব্যপারটিও যে খুব সচরাচর হয় তাও কিন্তু না।
পার্শ্ববর্তী দেশ সহ অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যখন সরকারের অংশ হয়ে কাজ করা সবাই কোন কারণে অভিযুক্ত হলে সৎ সাহস নিয়ে পদত্যাগ করাটাকে অনেক বেশী সম্মানের মনে করে তখন আমাদের দেশে যে কোন মূল্যে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে থাকাটাই যেন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে হয়।
এমন দেশে একজন নয়, দুই দুইজন রাজনীতিক ব্যাক্তিত্ব যখন মন্ত্রীত্ব পাওয়ার অফারকে না বলতে পারেন তখন তাতে কেউ যদি অবাক হয় তাহলে এটিকে খুব অযৌক্তিক বলা যাবেনা।
আজকে একটা পেপারে পড়লাম যে, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে এমন ঘটনা নাকি আর ঘটেনি। সেই হিসেবে ওনারা বাংলাদেশে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন এ ব্যপারে কারও কোন দ্বিমত পোষণ করার সু্যোগ নাই।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওনাদের পছন্দ বা অপছন্দ কিছুই করিনা। আমার মতো আরো অনেকেরও হয়তোবা ওনাদের সম্পর্কে ভাল বা খারাপ কোন মতামত নেই। তবে ওনারা নিজেদের রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় মন্ত্রীত্ব কে ফিরিয়ে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে গতকালের পর থেকে শুধু আমি না হয়তোবা দেশের অনেক মানুষ ওনাদেরকে আর দশজন সাধারণ রাজনীতিকের চাইতে আলাদা ভাবে মূল্যায়ণ করবেন।