মোবাইল চুরির বেপারটা আজকাল খুব অহরহ শুনা যায়। আমাদের খানিক সচেতনতায় এই চুরি কিছুটা রোধ সম্ভব কিন্তু পুরো পুরি না। তবে খুব সহজে এবং জাতীয়ভাবেই এটা বন্ধ করা সম্ভব। আমাদের সরকারের খানিকটা সদিচ্ছা এবং একটা ছোট্ট আদেশ ই যথেষ্ট।
আমরা যারা কম দামে, হাই প্রোফাইল স্মার্ট অথবা যে কোন মোবাইল কিনতে আগ্রহী, এই আমরাই কিন্তু চোর দের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আমরা আবার সেকেন্ড হ্যান্ড ভেবেই এই মোবাইল গুলো কিনি। কারন চোর রা স্মার্ট ফোনের চাইতেও স্মার্ট অভিনয় জানে। কিছু ভালমানসি কথাবার্তা আর কিছু নকল কাগজ পত্রের ভুজং ভাজং আমাদের মন যায় গলে। কম দামে ভালো স্মার্ট ফোন পেলে কে না কিনবে! তাই এইটা কোন ভাবে বন্ধ করা সম্ভব না, যৌক্তিকও হবে না। কারন অনেকেই নিজের সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বিক্রি করে নতুন মডেলের ফোন কিনে। সবাইত আর চোর না। তাহলে উপায়!!!
খুবই সাভাবিক যে প্রত্যেকটা চোর ই চুরি করে টাকার জন্য। এদের সাথে আবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও জড়িত থাকে। ইদানিং চোরদের আবার দোকানদারের শরণাপন্নয় হতে হয় না। অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার ওয়েব সাইটগুলো এদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই সাইট গুলোতেই চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন বিক্রয় এর বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। দোকানদারকে ভাগ দিতে হয় না। অপারেটিং এক্সপেন্স কম, লাভ বেশি। রিস্ক ও তুলনামূলক অনেক কম।
উন্নত, অনুন্নত অনেক দেশেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন সেদেশের কোনো অপারেটরই তাদের নেটওয়ার্কে ঢুকতে বা ব্যবহার হতে দেয় না। বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা এখনো কেন চালু হচ্ছেনা? যতদূর জানি IMEI নাম্বার blacklist করা তেমন জটিল কিছু না কোনো অপারেটরের জন্য। BTRC এই বেপারে একটু নজর দিলেই চোরাই মোবাইল জনিত যে অনৈতিক বাণিজ্য এবং পেশা গড়ে উঠেছে তা পুরাপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। আর পুলিশকেও অযথা সময় অপচয় করা লাগে না চুরি যাওয়া মোবাইলের জন্য।
কাস্টমার যখন দেখবে তার মোবাইল কোনো নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না, তখন নিশ্চয় সে আর ওই মোবাইল কিনবে না। এতে মোবাইল চুরি নিরুৎসাহিত হবে।
সাধারন নাগরিক হিসেবে BTRC এর কাছে আমরা এই দাবি কি রাখতে পারি না? এটা এখন আমার দাবি না, সময়েরও দাবি বটে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০