somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা গেদু চাচার আরেকটা চিঠি!!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আজকেই শুধু নয়; বিগত বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই দেখলাম রাস্তায় অসহায় পুলিশের মাথা থেতলে দিচ্ছে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। আমার জানতে ইচ্ছা হয় এদের এই সাহসের পেছেনে আসলে কে দায়ী? আপনি? আপনার ব্যার্থ প্রশাসন? নাকি আপনার ভুল প্রতিশ্রুতি? একজন সুস্থ্য সাভাবিক মানুষ হয়ে আপনি এই দৃশ্যগুলি দেখেন?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
সাহার খাতুনের মত দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরে আপনি সেই আসনে বসালেন এক কথায় মদ্যপ একজন কে। বাংলাদেশ বোধহয় দুনিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়েছে তার পুর্বের বক্তব্যের জন্যে। হাস্যকর এই মানুষকে আপনি মনের ভুলে আসনে বসাতে পারেন তবে তার কাজ কি চোখে দেখেন না?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমরা খুব আবেগপ্রবণ জাতী। আমরা মানুষের কান্না দেখলে মন খারাপ করে ফেলি। মানুষের কান্না দেখলে আমরাও কেদে ফেলি। তবে এখন কোন রাজনীতিবীদের কান্না দেখে মন খারাপ হয় না কারওরই। আপনি আবেগের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছেন। যেইসব যুধ্যপরাধীদের বিচার করা যেত ৯ মাসে তাকে ঝুলিয়ে পেচিয়ে আপনি ৫ বছরের এনে এখন আমাদের রাঙ্গামুলা সামনে ধরেছেন। আপনার কাছে প্রশ্ন ট্রাইবুন্যালে কি হচ্ছে? কারা যায়? আপনি জানেন? আপনি কি জানেন এই আন্তর্জাতীক ট্রাইবুন্যালে নিয়োগপাওয়া আইনজীবিরা অন্য কোন মামলায় লড়তে পারবেনা এই শর্ত থাকার পরেই তারা দেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর আন্তর্জাতীক ট্রাইবুন্যালের ঐ জায়গাতেই রাষ্ট্রের খরচে পালিত কর্মচারীদের দিয়ে অন্য মামলার আসামীদের ডেকে ব্যবসা চালাচ্ছে? আপনি কি জানেন একজন ব্যক্তি ৯ মাস আদালতের ধারে কাছে না যেয়েও তার বসার কক্ষটি দখলে রেখে আর যারা নিয়মিত তাদের কষ্ট দিচ্ছেন? আপনি জানেন...কারণ এটি কোন উপজেলার আদালত না যেটা জানার মধ্যে গুরুত্ব দেবার কিছু নেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনি গণতন্ত্রের কথা বলে এরশাদকে নামাতে জামায়াতের সাথে বসেছিলেন ৯০ সালে। মানুষ ভুলে যায়নি। আমরা অতীতকে ভুলিনা তবে একটা সুযোগ ঠিকই দেই। আপনি আমাদের কে ইশ্তেহার দিলেন যুধ্যপরাধীদের বিচার হবে। আমরা নিশ্চয় ভোট দিয়ে মস্ত কোন ভুল করিনাই। তবে দেশের পরিস্থিতি কেনো খারাপ হলো? কেনো স্কুলে পড়তে যাওয়া অন্তুর চোখে স্প্লিন্টার বিদ্ধ্য হয়? কেনো স্কুলে ঢুকে হরতালকারীরা বাচ্চাদের সহ শিক্ষকদের পেটাতে সাহস পায়? আমি কি তাহলে ভেবে নেবো আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিন একটু বেশিই গিলেছিলেন? আপনি কি শুধু ঢাকাকেই চোখে দেখেন?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
দেশের স্মরণকালের সেরা ব্যাংক জালীয়াতীর পরেও আপনার মহাজ্ঞানী অর্থমন্ত্রী তাতে দোষ খুজে পাননা। আমরা অনেক দিয়েছি। এই জালিয়াতীতে আপনার উপদেষ্টা মোদাসসেরের নাম ছিলো। সেই নাম তো এখন নেইই...সেই দেশে আছে কিনা আমরা জানিনা। এখন সেই হলমার্ক কে পুনর্জাগরণের গল্প আমাদের গেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখে সততার কথা বলে ভেতরে চোরেরে সাথে ভাওবাজির জবাব কি মনে করেন আপনাকে দিতে হবেনা?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আমরা সহ্য করতে করতে এতদুরে এসেছি। আমরা আগামিতে কোন প্রতিশ্রুতির মোহ জালে যে জড়াবোনা সেটা একজন বালকও বুঝে। আপনার কাছে একটাই অনুরোধ...অবিলম্বে এই সংঘাতকে বন্ধ করুন। আপনারা যা কামিয়েছেন নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেন। লাগলে আমরা দেশবাসী টাকা তুলে বিমান ভাড়া দেবো...তারপরেও আল্লাহ্‌র দোহাই লাগে আপনারা বিদায় হন। আপনি, আপনার দলের লোক সহ সব রাজনীতিবিদেররা। আমরা বাচতে চাই এই ঝামেলা থেকে।

(ctrl+c & ctrl+v)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×