somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিশ্র - ৫

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শূন্য মিনিট আগে এলে
শূন্য মিনিট পরেও থাকছো
ঠিক শূন্য মিনিট!


দরজা খুলে পেয়েছি তোমাকে হঠাৎ
দরজা বন্ধ করে পেলাম নিবিড় তোমাকে
ঘন ঘুমের মত একান্ত সুখে
মলাট ভাঙা বইয়ের মত
তোমাকে পেয়েছি যেন পোড়ামাটির লাল ছবি
ঘুম ভেঙে দেখলাম তখনো স্বপ্নের কিছু ছায়া পড়ে আছে,
সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস ভেসে আসে,
অপেক্ষায় আছি
একদিন নিজ থেকে যদি দরজাটা খুলে যায় আবারো


যে দিন হবে হাতের সঙ্গে হাতের দেখা
উল্টে নেব এপিঠ ও পিঠ
খয়েরী-সাদা হাতের রেখা

যে দিন পাবো হাতের দেখা
কব্জিপাথর আঁকড়ে ধরে মিথ্যে মিথ্যি ভাগ্য শেখা
পাহাড় চুড়ার আদিম বাড়ি, কৃষ্ণ মঠ
আঙুল খাঁজে আঙুল হবে যানের জট
এ হাত ওকে মুঠোয় নেবে
ও হাত পাটি বিছিয়ে দেবে
ক্লান্ত হয়ে ছিনাল শরীর পদ্মপাতায় ঘুমিয়ে রবে


চুপটি করে চড়াই থামো। শালিক আমার একটু থামো। বিরান মতি। জংলাধারে পা রেখেছি। সেধে সেধে নষ্ট হতে কিচির মিচির মিষ্টি হাসো।


মর্নিং সান যেন ক্যারমের রেড
বিনিদ্র লাল চোখ
সে কি ঘুমিয়েছে?
টুথপেস্ট ঝরে, জল পড়ে - বেসিনের আওয়াজ
সাদা ধপধপে চালের রুটির ঘ্রাণ ভাসে
দরজার হাতলে মোচড় দিয়ে নেমে গেছে কেউ;
ল্যাম্পপোস্টের ছেলেটির দিকে চেয়ে
মুনিয়া উড়ে বসল বারান্দায়


নীল সুর শুনি
অনক্ষর শূন্যতার ছাঁচে
ওষ্ঠের বিভক্তি রেখায় অনুকার ধ্বনি


অন্ধকার পুড়ছে ঘুরে ঘুরে মোরগ কয়েলে
পাখায় পাখায় উড়ে আসা রক্তিম কীট; শোনিত ও জীবন পরষ্পর প্রতিদ্বন্দ্বী; মাঝে মাঝে তন্দ্রাচ্ছন্ন করতালিতে এক একেকটি প্রাণের বিনাশ; ভোরের আলোয় যুদ্ধক্লান্ত ময়দানে
মশারী খুঁড়ে বের হয়ে আছে
পরাজিত এক লাল হাত

*
এভাবে কত কাল তোকে লিখি না। মা।
কত বছর চুমু দিয়েছিলি গলায় পিঠে, মেরুদণ্ডের কোমলাস্থিতে। মারে, এক লক্ষ ভেজা ওষ্ঠ ঋণ দিয়েছিলি পৌষের কনকনে চাঁদে। দিয়ে যেতে তারে কোথা পাই। আমাকে যে জ্বালবেনা, পুড়বে না প্রেমে। ঈর্ষা তো শিখি নি কস্মিনকালে। বয়ঃসন্ধি থেকে অঙ্গে বেড়ে ওঠে বর্ধিষ্ণু পিপাসা। সেই তৃষ্ণার অনুলিপি বিনা সাজায় কয়েদী করেছে। পায়ে পায়ে পোষা হয়ে ঘুরেছি। আশা পেয়েছি। অক্ষরে প্রতিজ্ঞা আজীবন। মাগো তোর বৃক্ষ থেকে হলুদ ঝরিত ফুল খসে পড়ে।

বারংবার বিড়ির ধোঁয়াশা, রুলেটে চাকতি লটারি। মাগো, বিরহ, ত্যাগী অভিসার ঝিনুকের চাকুতে কুড়ে নিয়েছে সুখ। সংসারে দারুচিনির পোড়া বাকল। সেই স্বাদ শাওন বাদলে কষা চুম্বনে শুধু বলে যাই। মা, এই বুক ব্যথার পাটাতন হয়ে অদৃশ্যকে দীপালী জ্বালায়। চক্ষু অন্ধ করে দেয়, মা। ক্ষতগুলো অমৃত ঢেলে ঠায় দাঁড়ায় অপেক্ষাতে। ঠিক তোর মত কেউ নেই। নিকষ অঙ্গারে সুড়ঙ্গের পথে পথে বিভীষিকার দূত। আতঙ্ক। তবু তোরে চাওয়া।

তবে কার জন্য ভেসে থাকি আমি? গাঙ ভাসিয়ে কচুরির ফুল বয়ে আনছে। ময়ূরের পেখম দোলানো শীতলতা। কি যে স্নেহ। রিক্ত যে অনুরাগ। তরণীতে জল ভরে তার ভিতর শুয়ে থাকি, মা। একদা চাঁদ টলমল করে। নাগরদোলায় ঘূর্ণিপাকে ঘুরে শুধু ভেসে আসে জীবনদায়ী কাগজ। পাথরে লাভের হিসাব। মাগো, শুধু বল, কে হবে ভালবাসা, শত্রুহীন, বিরহী নয়। শুধুই প্রেম সোনালী হাতের হিসাব। জ্যোৎস্নায় রেডিয়ামের দ্যুতি অথবা কপালে রাজটিকা জ্বলে। তর্জনীতে জোনাকির বাতি। নিভানি অথবা মরীচিকা আমাকে ডাকছে তোর মত। ভালবেসে, অথবা মোহে। নিরিবিলি, সেও যাবে না কয়, যত পাপ অভিশাপে।

মাগো, পিছনে ফেলে কাগজের অস্থি, অঙ্ক-খতিয়ান, দু:স্বপ্নের কালি, তোর ঋণ থেকে ভালবাসা তুলে দিলাম তাকে পরম বিশ্বাসে।

-----------------
ড্রাফট ১.৩ / ৩, ৪ মাহী ফ্লোরার ব্লগে কমেন্টকৃত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×