বেশ কেটেছে এই কয়েকটা দিন। অনেকগুলা প্রতিমা আর মন্ডপ দেখেছি এবাবের পুজায়। প্রতিটিই ছিলো এক একটি গল্প। অনেক শিল্পীর পরিশ্রম, মেধা, আবেগ আর সময় দিয়ে গড়া। যতটা সম্ভব নিখুঁত করে তোলার চেস্টা। দশমীর সন্ধ্যায় দেখছিলাম সুরমা নদীতে প্রতিমার বিসর্জন। মনে হচ্ছিলো এক-একটি মহামুল্যবান শিল্পকর্মের প্রস্থান। ভাবছিলাম - এভাবেই কি প্রতিবছর এ রকম অমুল্য শিল্প আমরা জলে ভাসাই!!!!
বাসায় আসলাম, দেখলাম অংশু আর তনু কাগজ কেটে নানারকম নকশা তৈরি করছে। কি করছো জিজ্ঞেস করতে বললো, মন্ডপের নকশার মতো করে কাগজ কাটছে- যেরকমটি তারা দেখেছে পুজায় ঘুরে। অংশু তার বাবার মোবাইলে অনেক মন্ডপের বিভিন্ন বিষয়ের অনেক গুলো ছবি তুলে নিয়েছিল যেগুলো তার পছন্দের। একেকটা দেখে দেখে পরের দিন তার নিজের আর্টের খাতায় আকার চেস্টা করছে। একটা ছবি তো সে এমনভাবে আকলো যেটা আসল ছবির থেকেও অনেক সুন্দর। ছোট্ট অংশু আমাকে বললো- “আমি বড় হলে এরকমই একটা মুর্তি বানাবো”।
আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। আমরাও তো পুজার পরে এভাবেই নানান জিনিস তৈরি করতে চেস্টা করতাম...... দুর্গা, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী, হাতি, ঘোড়া, নৌকা...... নকশা... মনের মতোন......
বিসর্জন তাহলে কোথায় হলো!! প্রতিটা বিসর্জনই তো তাহলে নতুন সম্ভাবনাকে জাগিয়ে দিয়ে গেলো...... নতুন শিল্পবোধ, নতুন উন্মাদনা, সৃষ্টির প্রেরনা, নতুন কল্পনা- আগামীকে আরো সুন্দর করে তোলার।
পুজা প্রতিটা পরিবারে এভাবেই সৃষ্টি আর বিকশিত করে যায় নতুন প্রতিভার, নতুন সম্ভাবনার। নতুন প্রজন্ম হয়ে উঠে সৃষ্টিশীল আর উন্নত রুচিবোধের সুনাগরিক।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০২