somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০টি খারাপ অভ্যাস যা ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিনিয়ত অভ্যাসবশত আমরা কিছু কাজ করে থাকি যা আমাদের ব্রেইনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই ব্রেইনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সতর্ক হবার জন্য জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো।

১। সকালে নাশতা না করাঃ আমরা অনেকেই ব্যস্ততার কারনে সকালের নাশতা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে যাই। কিন্তু এই অভ্যাসটা খুব খারাপ। কারণ সকালে নাশতা না করলে নিম্ন রক্ত শর্করার কারণে আমাদের ব্রেইনে পর্যাপ্ত শর্করা তথা পুষ্টি পায়না। এতে করে ধীরে ধীরে ব্রেইন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই ব্যস্ততা সত্ত্বেও সকালের নাশতা করতে ভুলে যাবেননা।

২। অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণঃ অনেক সময় আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণ করি। ধারণা করা হয় মাঝে মাঝে এরকম অতিরিক্ত ডায়েটে কি আর হবে! কিন্তু ধারণাটা ভুল। কারণ অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণের অভ্যাস আমাদের ব্রেইনের রক্তনালীর ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয় ফলস্বরূপ অনেক ধরনের মানসিক সমস্যার উৎপত্তি হয়। তাই সর্বদা সচেতন হোন এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণে বিরত থাকুন।

৩। ধূমপানঃ ধূমপান নানা রোগের অন্যতম কারন। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব বলে শেষ করে যাবেনা। তাই যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য সতর্কবার্তা ধূমপানে কেবল ফুসফুস ক্যান্সার নয় বরং এতে করে ব্রেইন সংকুচিত হয়ে যায় ফলস্বরুপ আলঝেইমার নামক স্মৃতিবিলোপকারি রোগের উদ্ভব হয়।

৪। অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণঃ অনেকের ধারণা মিষ্টি বেশি খেলে ব্রেইন ভাল হয়। কিন্তু আসলে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে সেটা আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাক; শোষনে বাধা সৃষ্টি করে যা ব্রেইনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং ব্রেইনের বিকাশ সাধনের অন্তরায়। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি নয় পর্যাপ্ত ও পরিমিত মিষ্টি গ্রহন করুন।

৫। বায়ু দূষনঃ বায়ু দূষনের জন্য আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। কারণ বায়ু দূষনের ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমাদের ব্রেইনে যেতে পারে না। ফলে ব্রেইন ধীরে ধীরে পুষ্টির অভাবজনিত কারণে স্বাভাবিক কার্যকারি ক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই বায়ু দূষণ যুক্ত পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন এবং বায়ু দূষন রোধে নিজে ও অন্যকে সচেতন করুন।

৬। নিদ্রাহীনতাঃ ঘুম আমাদের ব্রেইনের বিশ্রামের জন্য জরুরি। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ব্রেইন কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন কিংবা কাজের ব্যস্ত্যতার জন্য ঘুমানোর সময় পাচ্ছেননা তাদের জন্য বলছি, নিদ্রাহীনতা আমাদের ব্রেইনের কোষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুমকে কেবল সময় নষ্ট হিসেবে নয় বরং ব্রেইনের বিশ্রামের জন্য দরকারি হিসেবে নিন।

৭। ঘুমানোর সময় মাথা আবৃত করাঃ ঘুমাতে যাবার পূর্বে মাথা খোলা রেখে ঘুমানো ব্রেইনের জন্য উপকারি। কারণ মাথা আবৃত করে ঘুমালে কার্বনডাই অক্সাইড এর পরিমান ঘনীভূত হয় এবং অক্সিজেনের পরিমান কমে যায় যা পরবর্তিতে ব্রেইনের মারাত্বক ক্ষতিসাধন করে।

৮। অসুস্থতার সময় অতিরিক্ত কাজঃ যখন আমরা অসুস্থ হই তখন আমাদের উচিত কোন পরিশ্রমি কাজ অথবা পড়াশুনা থেকে বিরত থেকে আমাদের ব্রেইন কে বিশ্রাম দেয়া। তা না হলে অসুস্থতার সময় অতিরিক্ত চাপ আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় ফলস্বরূপ ব্রেইনের দীর্ঘমেয়াদী মারাত্বক ক্ষতিসাধন হয়।

৯। চিন্তা না করাঃ বেশি বেশি চিন্তা করুন, ব্রেইন কোষের উদ্দীপনার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা অত্যন্ত জরুরি। যত বেশি সৃষ্টিশীল চিন্তায় মনোযগ দিতে পারবেন, ততবেশি আপনার ব্রেইন কোষ উদ্দীপিত হবে। আপনি আরো বেশি দক্ষ ও মনোযোগি হতে পারবেন যেকোন কাজে। আর চিন্তাহীন ব্রেইন ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

১০। কথা না বলাঃ অনেকেই চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত চুপচাপ ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আপনি যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন সেটা আপনার ব্রেইনের স্বাভাবিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারি। তাই চুপচাপ নয় বরং কার্যক্ষেত্রে বেশি বেশি আলোচনায় অংশ নিয়ে আপনার ব্রেইনকে সতেজ রাখুন।


তথ্য সংগ্রহ ও সংকলনে, আরটিএনএন ডটনেট/ইন্টারনেট/প্রতিনিধি/সেজো
Another copy paste post
:D :D :D
source
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
২৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×