উইকিপিডিয়ার সংগানুযায়ী পুলিশ (ইংরেজি: Police) একটি দেশের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত আইন কার্য্কর, সম্পত্তি রক্ষা, সামাজিক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। চুরি-ডাকাতি রোধ, ছিনতাই প্রতিরোধ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ইত্যাদি সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ বিভিন্ন জনসভা, নির্বাচনী দায়িত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অংশগ্রহণ করে থাকে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এটি একটি মৌলিক অধিকারও বটে। যুগের পর যুগ শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছে। এ অন্যায় গ্রেপ্তার ও আটকাদেশ সংবিধানের উল্লেখিত বিধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ।ব্রিটিশবিরোধী গণ-আন্দোলন থামাতেই ১৮৯৮ সালে ইংরেজরা সর্বপ্রথম এই আইন তৈরি করে। তারা ওই আইনের ৫৪ ধারা তৈরি করে লাখ লাখ মানুষকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে। ইংরেজ উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে এ ধারা ব্যবহার করা হয়েছিল। পাকিস্তান আমলেও এ ধারা ব্যবহার করে বাঙালিদের গ্রেপ্তার করা হতো।
বলা বাহুল্য, শতবর্ষ আগে এই আইনের জন্ম হয়েছিল জনকল্যাণে নয়, বরং নির্দয় একটি আইন হিসেবে ঔপনিবেশিকতার স্বার্থসিদ্ধির প্রেক্ষাপটে। শতবর্ষের বেশী হলেও হলেও এই নির্দয় একটি আইনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
জনগনের সেবক নাম নিয়ে পুলিশ এই ধারার অপব্যবহার করে সাধারন মানুষের জীবনকে বিষাদময় করে তুলেছে ।দুর্নীতি হয়তো দেশের সব প্রতিষ্ঠানেই আছে। কিন্তু পুলিশের ক্ষেত্রে মানুষের ধারণা হলো যে প্রতিষ্ঠানটির নীচু স্তরের কনস্টেবল থেকে শুরু করে আইজি পর্যন্ত দুর্নীতির একটি চেইন কাজ করে। পুলিশি দুর্নীতি বাংলাদেশে এত সহজে দেখা যায় যে এজন্য কোনো পরিসংখ্যানের প্রয়োজন হয় না।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার বানিজ্য যেন এক নিত্যদিনের খেলা। ঈদ বা বড় কোন আনুষ্ঠানিকতার সময় এই গ্রেপ্তার বানিজ্য আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে!!
পুলিশের এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির উৎসগুলো বন্ধ করা অতি জরুরি। সমগ্র দেশের দুর্নীতিকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু পুলিশের ক্ষেত্রে তা করতে হবে সবার আগে। কারণ তারা দায়িত্বে আছে আইন ও শৃঙ্খলার। সেখানেই যদি দুর্নীতি বাসা বাঁধে তবে বাকী আর কোনো ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি করা সম্ভব হবে না।
প্রয়োজন সম্মিলিত প্রতিবাদ । আজ বিএনপি নাম দিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করছে, আপনি নিরব আছেন । কালকে জামায়াত নাম দিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার বানিজ্য করছে, আপনি চুপ আছেন। কাল যখন আপনার পরিবার-আত্বীয় স্বজনের কেউ এমন পরিস্থিতির স্বীকার হবে তখন বাকী সবাই চুপ থাকবে !!
পুলিশের গ্রেপ্তার বানিজ্যের আরো খবর দেখতে চাইলে লিংকগুলো দেখতে পারেন
http://goo.gl/t547Yk
http://goo.gl/XbKLrk
http://goo.gl/9Ae9Di
http://goo.gl/VOCa8i
http://goo.gl/aq0MeD
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩