বহুদিন ধরে সরকার বলছে- সারাদেশ জঙ্গিতে ভরে গেছে। পথে-ঘাটে, মাঠে, মসজিদে, বন-জঙ্গলে, বাসা-বাড়ী আর বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিরা সব গিজ গিজ করছে। তারা সারাদিন বোমা বানায়, বারুদের বস্তা নিয়া ঘুমায় এবং সময় পেলে জেহাদী বই পড়ে। পুলিশ র্যাব ঘটা করে বড় বড় জঙ্গীদেরকে ধরে এবং দেশ বিদেশের সকল সাংবাদিককে জড়ো করে বলে- দ্যাখো আমরা জঙ্গি ধরেছি। তারা প্রায়ই গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, গুলি ইত্যাদির সন্ধান পায় এবং গর্ব করে বিশ্ববাসীকে তাদের সফলতার মাইল ফলক গুলো দেখায়।
আমি এমন দেশ খুব কমই দেখেছি প্রকাশে বলে বেড়াই আমাদের দেশে জঙ্গির উত্থান হইছে জঙ্গিতে ভরে গেছে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার করছে, অবশ্য এ করে তাঁদের সরকারের ভালই লাভ হইছে, কিন্তু ক্ষতি যা হউয়ার তা বাংলাদেশের ভালই হইছে ।
যেখানে আফগানিস্থান,পাকিস্তান সহ আরও কিছু দেশে প্রকাশে জঙ্গি থাকা সত্ত্বেও সে দেশের সরকার কখনও ফলাও করে বিশ্ববাসীর কাছে বলে বেরাইনি । যা আমাদের সরকার প্রচার করছে সারা দুনিয়ার কাছে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ না থাকা সত্ত্বেও। যে ক্ষতি সরকার করেছে তা অপূরণীয়,বাংলাদেশের মানুষের যে ভাব মূর্তি সরকার নষ্ট করতে চাইছে তা সরকারকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।
একটু দেরিতে হলেও জঙ্গিবাদ প্রচারের এই তিক্ত স্বাদ আমরা পেতে যাচ্ছি ।বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের দোহাই দিয়ে আজ আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ গোটা ইউরোপ তাঁদের নাগরিকদের সাবধান করে দিছে বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল এই জঙ্গিবাদের কারণেই বাংলাদেশ সফরে আসছেনা ।
গ্লোবাল টেরর ইন্ডেক্সে পাকিস্তানের অবস্থান ৩, ভারত ৬ বাংলাদেশ ২৩। এই সুবিধা জনক অবস্থানে থেকেও বাংলাদেশকে আজ অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
বাইরের দেশের কথা না একটু বাদ দিলাম ।বাংলাদেশের প্রতিটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতারা জঙ্গিবাদের কথা প্রচার করে বেড়াই মিছিল স্লোগানের মাধ্যমে। এ করে নিজেরাই নিজেদের ভিতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছি।
এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরেই ভারত-আমেরিকা মিলে জংগীবাদ দমনের নামে তাদের ফোর্স দিয়ে আমাদের এই দেশ কন্ট্রোল করবো! তখন আমরা এর পরিনতি বুঝতে পারলেও বড্ড দেরি হয়ে যাবে !!
সংকলিত
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২