উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ভালো একটি চাকুরি পাওয়ার স্বপ্ন প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রীই দেখে। এজন্য মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নেয় ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো একটি সাবজেক্ট। গ্লোবালাইজেশনের যুগে প্রতিযোগিতার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত ।
আমাদের সংবিধানের ২৮(৩) নং অনুচ্ছেদ বলছে,“কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাবে না।”
এছাড়া ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ এ শিক্ষার ৩০টি ‘উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য’ এর ৮ নং ধাপে বলাহয়েছে,“বৈষম্যহীন সমাজ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী স্থানিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা লাভের সমান সুযোগ-সুবিধা অবারিত করা। শিক্ষাকে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য হিসেবে ব্যবহার না করা।”
কিন্তু সংবিধান বা শিক্ষানীতিতে যাই থাকুক না কেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে অহেতুক শর্তারোপ করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করা এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫-২০১৬ সেশনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি স্টাডিজ ছাড়া অন্যকোনো সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারবেন না মাদ্রাসা থেকে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনার্স ভর্তির আবেদন করার সময় মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামি স্টাডিজ ছাড়া অন্য কোনো বিষয় পছন্দ করার অপশন দিচ্ছে না ! (Click This Link)
বাংলাদেশে চাকুরির বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত। ডাক্তার এএসপি হচ্ছে , ইঞ্জিনিয়ার প্রশাসনে , কৃষিবিদ ব্যাংকে ! মেধার স্বাক্ষর রেখে চাকুরির বাজার যেখানে উন্মুক্ত , মেধা বিকাশের যায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কেন মাদ্রাসা ছাত্রদের বন্চিত করা হচ্ছে ??
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮