somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি টিপ খাই। নাবিলার কপালের টিপ।

২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি আসলে অন্তুর আনন্দে চোখে পানি আসার উপক্রম হত! অন্তু যেই রুমে থাকে সেই রুম থেকে বড় রাস্তাটার দূরত্ব ৫০ গজের বেশী হবে না। জানালা দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানির বুক চিরে গাড়িগুলোর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে অন্তু নিজের অন্য আরেকটা জগত তৈরি করতো, তার কেবলই মনে হত কোন এক বৃষ্টি বেলায় জানালার সামনে একটা গাড়ি এসে থামবে।
গাড়ি থেকে নাবিলা বের হয়ে ওর জানালার দিকে আসতে আসতে ভিজে যাবে। অন্তু কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে জিজ্ঞেস করবেঃ তুমি ফিরে এসেছ?
--না ফিরে উপায় কি বল! আর তুমিও! চলে যাবার সময় একটিবারের জন্যও তো থামাতে চাও নি!
--বিশ্বাস কর অনেক চেষ্টা করেছি! একদম পারিনি।
--একদম ঢং করবে না! অনেক রং ঢং করেছ! এখন দরজাটা খুলবে নাকি বাইরে দাড় করিয়ে রাখবে? জাননা, বৃষ্টির পানি আমার একদম সহ্য হয় না!

অন্তু কোন রকম কথা না বাড়িয়ে এক দৌড়ে দরজার কাছে যাবে, দরজা খুলে দেখবে আসলে নাবিলা নাই। কেও নাই। নাবিলারা ফিরে আসার জন্য যায় না, ফিরে না আসার জন্য যায়!

অন্তু এখন আর জানালার পাশে যেয়ে উবু হয়ে শুয়ে থাকে না। চাইলেও পারে না, বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। এই মাসে এতো ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে যে গতকাল তার খুব ইচ্ছে হয়েছিল একবার জানালার পাশে যেয়ে শুয়ে থাকতে। বুকের ব্যাথার সাথে সাথে প্রচণ্ড কাসি শুরু হয়েছিল। তার কাসির শব্দে বাবা এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নাকি আজকাল বাবা খাও?
--বাবা?
--হ্যাঁ! তাইতো শুনেছি।
--বাবা খাওয়া যায় নাকি?
--আমার সাথে মস্করা কর? মাকে বাদ দিয়ে লাভ কি? মা মরে গিয়েছে বলে?
--আমি বাবা খাই না!
--তাহলে কি খাও?

অন্তুর খুব ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে বলতে, আমি টিপ খাই। নাবিলার কপালের টিপ। নাবিলা লাল রঙয়ের যে টিপগুলো পরতো সেগুলো অবিকল ইয়াবার মত দেখতে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×