বয়স আমার বারো , তোমার তখন আট
বুঝি নাই তখন ভালোবাসার শহর, প্রান্তর, ঘাট।
লাগে নি চোখে, ভালোবাসার সেই, সারি সারি মেঘরাজি
হাসি জাগে মুখে, সে কথা ভেবে, ভালবাসতে আমি রাজী।
পার করেছি ৪ টি বছর, রং লেগেছে মনে
খোজ করিতে রংয়ের ডিবা ঘুরছি জনে জনে।
সাপ-ছক্কা খেলতে গিয়ে মায়ার জালে পড়ি
ঘুরছি বেকার খুজতে ডিবা, রেখে রংয়ের তরী।
সেই যে হল শুরু , প্রেমের খেলায় আমি শিষ্য, তুমি আমার গুরু
কত কথা ফুসুর ফাসুর, কত মিষ্টি গান।
নরম হাতে খাইয়ে দিতে ভালোবাসার পান।
এটাই নাকি ভালোবাসার প্রেমের প্রতি টান।
এরই মাঝে হঠাৎ কাদাও ভাঁঙ্গাও আবার মান
তুমিইই পারো, আমি শুধু করছি প্রেমের ছল
পালিয়ে এলে ঘরটি ছেরে ভেঙ্গে বিয়ের চল।
পারিনি আমি পাশে থাকতে সেদিনের রাতে, সান্তনা সম্মান,
ভালোবাসার কষ্ট ফোয়ারায় করেছো তুমি স্নান।
শূন্য হাতে ফিরলে ঘরে, শান্তনা নিয়ে হবে বিয়ে পরে, ভেবে ভেবে একাকার্।
যারি জন্যে করলে চুরি, সে থাকে নিরিবকার্।
লাঞ্ছনা আর অপমান নিয়ে, বুকে ব্যাথা বুকে চাপিয়ে, করলে একি ছল?
চোখগুলো আজ ঢুলুঢুলু চোখে, তাকাও তুমি এদিক ওদিকে,
ভালোবাসার জন্যে তুমি হয়েছো আজ পাগল।
নিঠুর কালিয়া বোঝে না জ্বালা
খেলে শুধু তার প্রেমী খেলা
করে শুধু নাটিকা অনর্গল
ভালোবাসার জন্যে নাকি হয়েছো আজ পাগল।
চিকিৎসারি অপার কৃপায়,
পাগল প্রেমিকা ভালো হয়ে যায়।
আশায় বাঁধে বুক
কালিয়া তারে ভালোবেসে তাকে ফিরিয়ে দেবে সুখ।
আশা শুধু আশা থেকে যায়
কালিয়া তাকে ভুলে যেতে কয়
কোথায় লুকাই মুখ
কালিয়া আমার কেড়ে নিয়েছে আজন্মি সুখ।
নিঠুর ব্যাথা মনে রেখে
ঘরের কোনে চুপটি থেকে
সদা হাস্য মেঘলা নারী চলে গেছে ধরণী ছাড়ি
ডাকতে এসে কালিয়া দেখে
চক্ষুযুগল বন্ধ রেখে
অভিমানে ডাকা মুখ
এক ছটাক এর ভালোবাসা দেয় পাহাড় সমান দু:খ।