somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মামা, মেটাল শুনো! সব অস্হির

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাইরে ঠান্ডা, কেমুন ঠান্ডা সেইটার একটু ব্যাখ্যা করি। ঘুরতে যাওনের সময় কন কনে বাতাস যখন কানের কাছে ফিস ফিস কইরা কইতাছিলো,"কি ঠান্ডা, মারো ডান্ডা!" তখন হাতের ফান্টাটা রাস্তায় প্রকৃতির ছুটো ডাকে সাড়া দিতে খাড়াইলাম। কুনো মতে ডাক সাইড়া যখন ফান্টা হাতে উঠাইয়া মুখে চুমুক মারি দেখি ভিতর থিকা ফান্টা বাইর হয় না! লে হালুয়া, ১২০ টাকার ফান্টা কই গেলো? পরে বুঝলাম জইমা গেছে! ফান্টা তো দূরের কথা, একটু হাইটা সীবীচে খাড়াইয়া দেখি পুরা বাল্টিক সাগর জইমা গেছে! ও আচ্ছা, দীর্ঘ এক বছর পর জানতে পারলাম এই সাগরের নাম বাল্টিক সাগর, পরানের বাল্টিক!

ধর্ম কর্ম নিয়া বড়ই ঝামেলায় গেছে, মনে হইতাছে রোজা রাখনের এমুন ফ্যাকড়া জানলে সারা বছর খাইয়া ওজন ১০০ কেজি কইরা পরে ফুল রোজা রাখি! বাংলাদেশের মাঘ মাসের শীতের মতোন যখন এইখানে ফুল সামার থাকে সেই সময় এইখানে রোজা অনুষ্ঠিত হয়, এইখানে ধরা যায় রোজা একখান অনুষ্ঠানই। কারন বুঝাইয়া কই, আপনে রাইতের বেলা কাম কাইজ সাইরা পড়ালেখা কইরা যেইনা ঘুমাইতে যাইবেন অমনি দেখবেন কোপা সামছুর মতো সূর্য্য জানালায় হাসাহাসি করতাছে। ঘড়িতে চাইয়া দেখবেন রাইত ১টা। রাইত ১ টার সময় ফকফকা দিন, মানে শুরু হইলো রোজা রাখা। অখন সারা দিন তক্কে তক্কে থাকি কখন সূর্য মামা ডুববো। যাই হোউক যখন বিকাল ৬ টা বাজবো তখন দেখবো সূর্য মামা আইলসাগো মতো হপায় মাথার উপরে উঠছে ক্লাইম্ব মারছে, মানে উপরে উঠছে আর যদি সেদিন রোইদ থাকে, তাইলে তো পাংখা, পুরা ঠান্ডা। যাই হোউক ৯:৩০ টা বাজলে তখন নেট খুইলা দেখবেন আর মোটে ১০-১৫ মিনিট পর ইফতারী, মানে মাগরিবের টাইম। তয় এইখানে আরো একখান প্রবলেম, ১০:১০ এ মাগরিব পইড়া বইতে না বইতেই পৌনে এগারোটায় তারাবী সহ এশা। তারাবি পড়তে পড়তে যখন ১২ টা বাজে, তখন দেখা যায় ইফতারী হজম নাই, মাগার আর ১ ঘন্টা পর সেহেরীর টাইম শেষ! তাইলে বুঝেন পেটে পাথর বাইন্ধা রোজা রাখন লাগবো।

ভাবতাছি সামনের বছর মসলা কমিটি গঠন কইরা সেই কমিটির পক্ষ থিকা চান্দা উঠাইয়া সূর্যমামারে ঘুষ দিমু, মাগার আফসুস কেউ রাজী হইতাছে না, মাগার কিছুতো একটা করতে হইবো!

যাই হোউক, পুরানরা দিনের কথা মনে কইরা আজাইড়া একখান পোস্ট দিলাম। এই পোস্ট দেওনের উদ্দেশ্য ছিলো মেটাল গান শুননের নেমন্তন্য।


আজকার আলোচনার টপিকস হইলো একখান মেটালকোর ব্যান্ড নাম All That Remains যারা এই বছর তাগো পন্ঞ্চম স্টুডিও এলবাম বাইর করছে নাম For We Are Many। তকমা এখনো দিমু কিনা বুঝতাছি না কারন ক্রিসমাস এখনো বাকি তয় আমার মনে হইতাছে এই বছরের সেরা মেটালকোর এলবাম। ডিস্টার্বড শুনলাম, রব জম্বি, ড্রাউনিং পুল, অল্টার ব্রীজের নতুন এলবাম গুলান শুনলান, এমনকি আয়রন মেইডেন, কর্নও (যদিও এগুলান ন্যু আর অল্টার), মেটালের মধ্যে এই এলবামের কাজগুলান জোশ।

তো এই ব্যান্ডের হিস্টোরী শুনি!





ফিলিপ লেবন্টে ম্যাসাচুসেটসে পয়দা হওন এক পোলা, পড়ালেখার খবর নাই , সারা দিন গান গাই টাইপের পোলা আরকি প্রথমে পার্পাচুয়াল ডুমে জয়েন করে সাইড কিক ভোকাল হিসাবে। ঐ ছুটোখাটো ব্যান্ড তখন ডেথ মেটালের পাগল আছিলো আর ভোকালিস্টি আছিলো স্কট স্টেটস। সবগুলানই তখন টিন এজার। ১৯৯৩ সালে স্কট যখন নেভি তে জয়েন করে তখন লেবন্টে ফুলটাইম ভোকাল দেওন শুরু করে যদিও ততদিনে সে গীটারও ধইরা ফেলাইছে। এইভাবেই দিন চলতে চলতে ঐ একই বছর মামারে ইউএস মেরিন কপস থিকা ডাক দেয়। মামা পল্টিবাজ গান বাদ্যর সাধনা ছাইরা ডান্ডা বেড়ি আর মাইক লইয়া চইলা যায়।পার্পাচুয়াল ডুম পুরা মাঠে বইসা যায় টানা ৯ মাসের লিগা।
কিন্তু মামার মনে যেই তাম্বুরা কুটিকাল থিকা বাজতাছিলো, মামা সেইটারে ইগনোর করতে পারে নাই, তাম্বুরা থুক্কু লীড গীটারের টানে ১৯৯৪ এর জুন মাসে চাকরীর কপালে উষ্টা মাইরা পার্পাচুয়াল ডুমে জয়েন মারে। আসেন বলি শুকুরআল হামদুলিল্লাহ!
সেই ধুমাইয়া গান লেখা গান গাওয়া ফাটাইয়া জ্যাম মারা ছিলো তখনকার ফরজে আইনের মতো কাজ। ব্যান্ড ম্যামবার গুলান ছিলো পুচকে কেন রবার্ট যে এখন স্প্লিট শিফটের গিটারিস্ট, ভোকাল; বিল ব্রোলট বেস গীটারিস্ট সেও এখন স্প্লিট শিফটে আর ড্রামার স্টিভ গনজালেস! ১৯৯৫ সালে সরোস এন্ড ৭ টা ট্রাকের ডেমো বাইর করে!

কিন্তু এলবাম হিট হয় না, টাকা পয়সার টানাটানি, নানা কারনে লেবন্টে মামা পুরা নতুন লাইন আপের ব্যান্ড শ্যডোস ফলে চইলা যায় লীড ভোকালিস্ট হইয়া। তয় মামা ঐখানে লীড গীটার বাজাইতো না।ওর প্রথম কাজ হয় ঐখানে পুরা নতুন লাইন আপে সেট হওনের লিগা। ১৯৯৭ সালে অনেক খাটা খাটনির পর তাগো ডেব্যু এলবাম বাইর করে সম্বার আইস টু দ্যা স্কাই। এই এলবামটা আছিলো মেলোডিক ডেথ মেটাল আর রেকর্ড কোম্পানি আছিলো লাইফলেস রেকর্ডস! তবে এই পুরা ব্যান্ডটার লেবেলের স্বত্বাধিকারী আছিলো এই ব্যান্ডের গীটারিস্ট ম্যাট বাচান্ডের।

লেবন্টের মিউজিক নিয়া অন্যরকম কনসেপ্ট আছিলো সেইটা নিয়া সারা দিন খিচুড়ি পাকান শুরু করলো নিজের মধ্যে। এর কারনে দুয়েক সময় ছোট খাটো বিতর্ক থিকা একদিন বলা হইলো,"মামা, গাইলে গাও নাইলে যাও!" তখন তারে হটাই দেয়া আরেক ভোকালিস্ট ব্রায়ান ফেয়াররে ফুলটাইম ভোকালের জায়গা দেয়া হয়। শ্যাডোস ফলের এই একটা এলবামেই লেবন্টের গলা আছে।
শ্যাডোস ফল ছাড়নের পর অল দ্যাট রিমেইন ছিলো তার একখান প্রজেক্ট যেইটা তখন তার প্রথম প্রায়োরিটি।সাথে যোগ দেয় ক্রিস বার্টলেট, ড্যান ইগ্যান, মাইকেল বার্টলেট। বাইর করে তাগো প্রথম মহাকাব্যিক জেনেরিক ডেথ মেটালের বিহাইন্ড সায়েন্স এন্ড সলিচুড এলবাম প্রোসথেটিক রেকর্ডসের ব্যানারে।সময়টা ছিলে ২৬ শে মার্চ ২০০২!

যারা এই এলবামটা শুনছিলেন তারা নিশ্চয়ই একখান কথা কইবেন: পুরা এলবামটা ছিলো ক্লিন ভোকাল আর জেনেরিক ডেথ মেটালের মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিয়াই ট্রাকগুলান সাজানো হইছে।



২০০৪ সালে লেবন্টের একখান ডায়লগ আছিলো কথাটা বাংলায় করুম না, পুরাই তুইলা দেই:

“People have a certain idea of what this band is, and when they hear the new stuff...it’s a new approach to our style,It’s almost like a new way to look at an old friend.”

মনে হয় তার নিগ্রহের গল্পটার উত্তর এটাই! এখন ২০১০, আর এখন শুনছি তাগো নয়া এলবাম, আমার অবজারভেশন:

পুরাই মেটাল কোর, ক্রিপ গ্রোলের বা ডেথ গ্রোউলের উপর এমন অন্যন্য কাজ এভাবে সাটানো যায় সেরকম আইডিয়া আগে কখনো কেউ দেয় নি। অনন্য মেলোডিক ডেথ মেটালের বৈশিষ্ট্য! ব্রেকডাউনস সলোসের ৮০ র দশকের গীটারের সেই ডেথ মেটালের কাজ! অসাম!



এপ্রিলে মুক্তি পাওয়া এলবামটার ডাউনলোড লিংক!


(মন খান ভালা না, তাই কয়দিন টানা মেটাল শুনুম, একস্ট্রিম মেটাল। ফিজিক্স, প্রকৌশল, ফান সব সিরিজের ধারাবাহিক লেখা আপাতত স্হগিত!)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×