somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছি

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০ এপ্রিল ২০১৮, রাত ১১:৩০ মিনিট। সবে মাত্র ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি ফোন, একটু অবাক হলাম। এতো রাত আবার কে ফোন দিল?
ফোন ঘেটে দেখি আরো অনেক গুলো কল এসেছে। বড় মামির কল। ফোন বেক করবো এই মুহুর্তেই আবারো কল আসলো। ফোন রিসিব করলাম আর যা শুনলাম তাতে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলাম না। আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের একজন আমার শ্রদ্ধেয় নানা ভাই দুনিয়ার সকল মায়া ত্যাগ করে মহান আল্লাহর দরবারে পাড়ি দিয়েছেন। তখন কার সময়টা এমন ছিল যে, আমার মামাদের মধ্যে সব চেয়ে রাগি মেঝ মামা যিনি চিৎকার দিয়ে কাঁদছিলে যা দেখে আমরা সকলে আরো ভেঙ্গে পড়ি।
ও একটা কথা বলা হয়নি্। আমার মেঝ মামা চট্টগ্রামে তার পরিবার নিয়ে থাকেন্।সেখানে তিনি নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালান। আমি মামার বাসায় থেকে পড়া লেখা করছি প্রায় তিন বছর। এতো গুলো বছরে ও মামাকে কখনো দেখিনি এতটা ভেঙ্গে পড়তে । যতটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন নানা ভাই এর মৃ্ত্যুর সংবাদে।
আমরা আর একটু ও সময় নেইনি। নানার বাড়ী যাওয়ার জন্য মামার নিজস্ব গাড়ী দিয়েই রাত ১:৩০ মিনিটের দিকে রওনা হলাম। ওইদিন ছিল শুক্রবার রাত্। এর আগের দিন আবার মামার অফিসে ডাকাতি হয় তাই মামার হাতেও তেমন ক্যাস টাকা ছিলনা আমরা অনেক গুলো বুথ চেক করে একটি বুথ থেকে অল্প কিছু টাকা নিয়ে রওনা দিলাম। মাঝে পড়লো আরো তিন ঘন্টা ট্রাফিকজ্যাম। মরার উপর খড়ার ঘা পড়ার মত অবস্থা।
আমরা সকাল ৭ টা বাজে বাড়ী পৌঁছালাম্।……….
এরপর……
এরপর আমরা নানা ভাই এর মৃত্যু কার্যক্রম শেষ করে ২৩ শে মাচ আবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কারো মনই তেমন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলনা এবং থাকার কথা ও নায়। তার মধ্যে আমার মনে একটা ভয় খুব বেশি কাজ করছিলো। তাহলো, এর আগে কখনো আমরা দূরগামী জার্নিতে প্রাইভেট কার এ কখনো উঠিনি। আমার মামি, আমি ও আমার মামাতো বোন হাইস এ করেই সব সময় বাড়ী যেতাম। আর আমার মামা ও মামাতো ভাই যেত মামার কার এ করে। কিন্তু দুরভাগ্য বসত এবার হাইস না পেয়ে সকলে একই গাড়ীতে রওনা হলাম। যা আমার মনে ভয় এর সঞ্চার করছিল। অবশ্য কাউকে তা বুঝতে দেই নি। আমরা বাড়ী থেকে ফেনী আশা পর্যন্ত বিভিন্ন সুরা শুনলাম। কিন্তু একটা পর্যায় এসে আমরা সবাই একদম নিশ্চুপ হয়ে যাই। জানি না কেন……..।
আমরা দুপরে একটা রেস্তরায় নামার কথা ছিল। কিন্তু সেইদিন তাও বন্ধ ছিল। যার কারন আমরা যাত্রায় অবসর না নিয়েই আবার রওনা হলাম। এর মাঝে আমাদের ড্রাইভার ১০০ ত্রিশ কিলোমিটার বেগে গাড়ী চালাচ্ছিল।মামা তাকে তাড়াহুড়ো না করার কথা বার বার বলছিলেন।
ড্রাইভার ও যেন আজ ভাগ্যের মত আমাদের বিপক্ষে চলতে চাইছে।……
আর তখনি ঘটলো সেই মৃত্যু থেকে ফিরে আশার ঘটনা….
আমরা সিতাকুন্ডু চলে আসলাম তখন ও আমরা সবাই চুপচাপ বসে আছি। হঠাৎ….হঠাৎ একটা কাভার্ট ভ্যান আমাদের গাড়ীকে ধাক্কা দিলো। আল্লা আমাদের রক্ষা করুন….আমরা সকলে কিছু বুঝতে পারলাম না। আমি শুনতে পারছিলাম মামা মানি বলছেন আল্লা আমাদের রক্ষা করুন……. এর পর বিকট একটা শব্দ তার পর কিছু বুঝার ক্ষমতা আমার ছিলনা। পরে মামা বলছিলেন আমাদের গাড়ী তিন বার পাল্টি খেয়ে রাস্তার ওপাশে চলেগেছে। আমাদরে গাড়ী কাথ হয়েছিল। আমার এবং সকলের জীবন খুব অল্পের জণ্য বেঁচে গেলাম……।
হয়তো সেদিন সব কিছু আমাদের বিপক্ষে থাকলে ও আল্লা আমাদের পক্ষে ছিলেন।…….
অতপর আল্লাহ তালার অসীম মেহের বাণীতে আমি সকলের মাঝে আবার ফিরে আসতে পারলাম।

সকলে আমার জণ্য দুআ করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×