সামনে পরীক্ষা….। একেতো পরীক্ষার চিন্তা তার সাথে পড়ার প্রেসার তো আছেই। জীবন টা সম্পূর্ণ একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই মামী বল্লেন জামা গোছাও আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি। আরে আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিনা…..।
মামী মজা করছেন না তো?
কিন্তু পরোক্ষনেই, মামানী নিশ্চিত করলেন যে আমরা সত্যিই যাচ্ছি। আমিতো খুশিতে আত্নহারা।তবে পরীক্ষার কথা চিন্তা করে একটু দিধাগ্রস্থ হয়ে পড়লাম।তবে তিন দিন বেড়ানোর কথা শুনে রাজি হয়ে গেলাম।যদি ও কক্সবাজারে আগে ও একবার গেছি, কিন্তু সমুদ্র সৈকত ছাড়া ও প্রাকৃতি সুন্দর্যের জন্য ওই স্থান আমার বেশ প্রিয়। আপনারা হতো অনেকে গিয়েছেন।তাদের মজার স্মৃতি গুলো অবশ্যই আমার সাথে সেয়ার করবনে।
এবার আসি মেইন কথায়…..
আমার মামার পরিবার আমি ও তানজু মামরিা, আমরা পরের দিনই কক্সবাজার রওনা হলাম।আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই তানজু মামীর সাথে যিনি এই যা্ত্রায় আমাদের একজন গুরুত্ব পূর্ণ ব্যক্তিত্ব যার জন্য এই জার্নিটা এতো ভালো লেগেছিল।তানজু মামী হলেন আমার মামীর ভাই এর ওয়াইফ সম্পর্কে আমাদের মামী এবং এই যাত্রার পথ প্রদর্শক। তানজু মামীরা কক্সবাজারের স্থানীয় হওয়ায় আমাদের জন্য বেশ সুবিধা হয়েছিল। আমরা কক্সবাজার পৌঁছানোর আগে মর্ধান্য ভোজের জন্য রেস্টুরেন্ট ফোর সিজনে নামলাম। তারপর আবার কক্সজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের পৌঁছাতে মাগরিবের পর হলো। গত বার আমরা উঠেছিলাম হোটেল ওসেন প্যারাডাইসে। কিন্তু এবার তানজু মামীদের নিজস্ব হোটেল, হোটেল মিশুকে উঠলাম যা কক্সবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিচ লাবুনি বিচ এর পাশেই অবস্থিত। আমরা হোটেল মিশুকে ভি.আই.পি গেস্ট হিসেবে ছিলাম। যাইহোক, আমরা পরের দিন সকালেই বিচ এ গেলাম। আমাদের সঙ্গি হলেন হোটেল মিশুকের মালিক শ্রদ্ধেয় নানা ভাই। যিনি বীচে নামার পর আমাদের জিনিস পত্র পাহারা দেওয়ার ভূমিকায় ছিলেন। এত ব্যস্ত একজন ব্যক্তি যে আমাদের এতটা সময় দিবেন তা আমরা ভাবতে ও পারিনি।তাই দিন শুরুর অনুভূতি টা অনেক ভালোই ছিল।
আমরা বীচ থেকে এসে দুপুরের খাবার শেষে একটু বিরতির পর রওনা হলাম লাইভ ফিশ একুরিয়ামে। ওখান থেকে ফিরতে রাত হলো। পরদিন আবার বীচে গেলাম সেখান থেকে সোজা হোটেল সিগালে গেলাম যা একসময় কক্সবাজারের সবচেয়ে দামী হোটেল হিসেবে পরিচিত ছিল। গিয়েই চটফট সুইমিং করতে নেমে গেলাম। যে যার মত সুমিং করছিলাম হঠাৎ ভুল বসত আমার পাঁ একজনের পাঁ এ লেগে গেল। আমি রীতিমত ভয় পেয়ে পিছনের দিকে তাকাতেই আরো হতভম্ব হয়ে গেলাম। আরে ইনি যে মিস্টার ডিফেন্ডেবল!!
কী চিনতে পারলেন? আরে উনিযে বাংলার টাইগারদের একজন ছিলেন। অনেকের প্রিয় খেলোয়ার হাবিবুল বাসার……!!! আমার অনেক প্রিয় একজন খেলোয়ার। আমি তখন কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি শুধু সরি বলা শুরু করলাম। উনি আমার অবস্থা দেখে আমাকে বল্লেন সমস্যা নেই সমস্যা নেই ঠিক আছে। তারপর ওনার উত্তরে আস্বস্থ হয়ে ওনাকে সেফি তোলার অফার করলাম। উনি রাজি হয়ে গেলেন সবাই ছবি তুললাম।পরে দেখতে পেলাম অলক কাপালি সহ বাংলাদেশের সিলেটের সমপূণ টিমই এখানে আছে। সকল কে দেখতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। যা বলে প্রকাশ করতে পারবো না। তবে আগের বার যখন কক্সবাজার এসেছিলাম তখন সাউথ আফ্রিকার নেশনাল ওমেন টিমের খেলোয়ার দের সাথে দেখা হয়েছিল। তখন ও ভালো লেগেছিল তবে এতটা নয়। যতটা ভালো লেগেছিল কাল জয়ী খেলোয়ার হাবিবুল বাসার কে দেখে। আমরা সুইমিং শেষ করে বীল করতে যাই।আমাদের বীল ছিল ৫০০০ হাজার টাকা। বিল পে করতে গিয়ে দেখি আমাদের বীল পে করা হয়ে গেছে। এটা ছিল নানা ভাই এর সারপ্রাইজ। অনেক ভালো লাগলো্। তারপর তানজু মামী ও নানা ভাই এর সুবাদে কক্সবাজারের বর্তমান সময়ের সব চেয়ে উন্নত হোটেল রয়েল টিউলিপে গেলাম। যেখানে মূলত হোটেলে না উঠলে ঢুকতে দেওয়া হয়না। তারপর আরো অনেক যায়গায় গেলাম এবং এভাবেই আমাদের জার্নির সমাপ্তি ঘটলো।
যারা কখনো কক্সবাজারে জাননি তারা আমার মতে একবার হলে ও কক্সবাজারে যাবেন। আর যারা গিয়েছেন তারা তাদের মজার ঘটনা সংক্ষিপ্ত ভাবে কমেন্টে জানাবেন। আমি কিন্তু বাংলাদেশের জন্য উইস হিসেবে নদী পাহাড় চাইবো না আমি যেহেতু ঘুরতে পছন্দ করি আমি চাই আমাদের টুরিস্ট প্লেস গুলো আরো অনেক বেশী উন্নত হোক। দেশের জন্য আপনাদের উইস কি তা বলবেন কিন্তু। আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন।