ভালবাসা দিবস বা Valentine's day কে, কি কোথায় কেন, কখন আবিস্কার করেছে; ইসলাম এটাকে সাপোর্ট করে কি না- এসব খুঁজে এখন কোনো ফায়দা আছে বলে মনে হয় না। শফিক রহমানের “যায় যায় দিন” ম্যাগাজিন কিংবা বিটিভিতে তাঁর “লাল গোলাপ” অনুষ্ঠান বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস প্রতিষ্ঠায় কতটুকু ভূমিকা রেখেছে- এগুলো পরিমাপে ফিতা নিয়ে টানাটানি করাও কালক্ষেপণ। জল যে অনেক গড়িয়ে গেছে!
ভালবাসা দিবসটাকে অলরেডি দ্রাবিড় জাতীর রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, এবার শুধু বিভিন্ন রঙে প্রকাশ পাওয়ার অপেক্ষা। কথাটা অতি খারাপ এবং শ্রুতিকটু শোনালেও এটাই বাস্তব যে, এরকম চললে একসময় এটা জাতির প্রতিটি স্তর ছুঁয়ে যাবে। সংস্কৃতিতে কোনো কিছুর সংযুক্তিতে ইতিহাস তা-ই বলে।
ফেসবুকে প্রকাশ্যে চুমুর ইভেন্ট খোলা, তাসলিমা নাসরিনের আরেকটু এগিয়ে এসইএক্স’র কথা বলা- এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করলে চরম গলদ হবে।
বেশ ক’বছর ধরে বাঙলার প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেল এ দিবস উপলক্ষে নাটক, সিনেমা প্রচার করে। আরেকটি গুডনিউজ হচ্ছে, এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, মাত্রা নামক একটি সংগঠন এবং চ্যানেল আই’র যৌথ আয়োজনে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে এবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। আগামীতে সম্ভবত দিবসটি জাতীয় ভাবে আয়োজন হবে।
সুতরাং, সুস্থ সংস্কৃতির এম্ব্যাসেডর বা কর্ণধারদের উচিত, দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে প্রচেষ্টা করা।
এরকম চিন্তার পরিবর্তন তো আমাদের আরো হয়েছে। যেমনঃ একসময় জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা সহ জাতীয় দিবস সমূহের কিছুই মাদরাসা কিংবা হুজুরদের পাশে ঘেঁষা তো দূরে থাক এবিষয়ে কথা বলাও চিন্তাতীত ছিল। আজ! একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে ষোলই ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি দিবসে ইসলামি সঙ্গীতানুষ্ঠান সহ কত রকমের মাহফিল হচ্ছে। কত দেশাত্মবোধ গান গাওয়া হচ্ছে।
তা করতে অসুবিধা না ভাবলেই সুবিধা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০