-হুজুর, রামাযানে শয়তানকে বেঁধে রাখা হলে মানুষ কেন পাপ করেই যায়? মিথ্যাবাদী মিথ্যা বলেই। গীবতকারী গীবত করেই!
-বলছি। আগে বলো, রামাযানের এতদিন গত হবার পর হঠাৎ কেন এটা জানার আগ্রহ হল?
- না মানে, গত একমাস ছুটিতে দেশে ছিলাম।
-ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে ছুটিতে গেলে কীভাবে? বন্ধ ছিল সব?
- কী যে বলেন! ব্যবসাপাতি বন্ধ রেখে গেলে তো ফেরত আসে ঋণ করে খেতে হতো। দেশে যাওয়ার পূর্বে প্রায় ছয় মাসে একজনকে ট্রেনিং দিয়ে আমার স্হলে ফিট করে তবেই না গেলাম।
-এবার বুঝো। তুমি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে সামান্য কিছু টাকা উপার্জনের জন্য দীর্ঘ ছয় মাস পরিকল্পনা করে, খাটনি খেটে তোমার অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যেতে স্হলাভিষিক্ত করেছো।
আর শয়তান একমাস বন্ধীজীবনের জন্য তার কাজ চালিয়ে যেতে পরিকল্পনা করবে না- যে কী না সমগ্র ফেরেশতাদের শিক্ষক ছিল, যে বান্দাদের পথভ্রান্ত করতে খোদ আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে নেমেছে?
☆ শুনো বৎস! দীর্ঘ এগারো মাসে শয়তান মানুষের অন্তরকে কুকর্মের এতো চার্জ দেয়, রামাযানের একমাস পাপের মধ্যে অনায়াসে চলে যায়।
মাফিয়া ক্রিমিনালরা যেভাবে জেলে যাওয়ার পর নিজেদের ক্রাইম শিষ্য এবং পার্টনারদের দিয়ে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি শয়তান তার মানুষরূপী শিষ্য এবং পার্টনারের সাহায্যে আপন কুকর্ম চালিয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৪