শুভ সন্ধ্যা! কেমন আছেন সবাই? আমার নতুন সিরিজ কুবুদ্ধির ব্লগ এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আমার আজকের টপিক কিভাবে ডিজিটাল ওয়েট স্কেলে ওজনে কম দিবেন, রাতারাতি বড়লোক হবেন।
আপনিও কি এখন আপনার ছোট্ট মুরগীর দোকানটিতে ডিজিটাল ওয়েট স্কেল দিয়ে মুরগী বিক্রয় করছেন? কিন্তু আগের মত বাটখারা,পাথর না থাকার কারণে আর ওজনে কম দিতে পারছেন না? নো চিন্তা ডু ফুর্তি। আমি চলে এলাম আপনাদের জন্য ওজনে কম দেয়ার নতুন কুবুদ্ধি নিয়ে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ক্রেতার চোখের সামনে ওজনে কম দিয়ে দিবেন আর ক্রেতা মনের খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে যাবে।
মাত্র সহজ তিনটি বিষয় মাথায় রাখলেই হচ্ছে:
১। কখনো মুরগীকে সরাসরি ওয়েট স্কেলের উপর রেখে ওজন করবেন না।
২। কখনো ওয়েট স্কেলের উপর আগে ঝুড়ি কিংবা বালতি রেখে তারপর তাতে মুরগী রেখে ওজন করবেন না।
৩। প্রথমে মুরগীকে একটা ঝুড়ি কিংবা বালতিতে রাখুন, তারপর মুরগী সহকারে ঝুড়িটাকে ওয়েট স্কেলের ওপর রাখে ওজন করুন।
চলুন এবার দেখে নেয়া যাক প্রথম দুটো কাজের অসুবিধা আর শেষ কাজের সুবিধা:
আপনি যদি প্রথম পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন অর্থাৎ মুরগিকে সরাসরি ওয়েট স্কেলের উপর রেখে ওজন করে থাকেন। তবে আপনি শুধু মুরগীর ওজনই পাবেন। কোন ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকছে না। তাছাড়া মুরগী যদি স্কেলের উপর হাগুমুতু করে করে দেয়! কি বিপদ!
আপনি যদি দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন অর্থাৎ প্রথমে স্কেলের উপর একটা বালতি বা ঝুড়ি রাখেন এবং তারপর মুরগিটাকে ঝুড়িটাতে বসিয়ে ওজন করেন। তবে হাগুমুতুর যন্ত্রণা থেকে বেঁচে যাবেন কিন্তু আপনার ডিজিটাল ওয়েট স্কেল ঝুড়ির ওজনকে শূন্য ধরে শুধু মাত্র মুরগীর ওজনটাই দেখাবে। আর যদি নাও দেখায় ক্রেতার চোখে সহজেই ধরা পড়বে এখানে ৩২০ গ্রামের একটা ঝুড়ি আগে থেকে ছিল। সুতরাং এভাবেও ওজনে কম দেয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু আপনি যদি আমার কথা মত ৩য় পদ্ধতিটি অনুসরণ করে থাকেন। অর্থাৎ প্রথমে মুরগিটিকে একটি বালতি বা ঝুড়িতে রেখে তারপর ঝুড়িকে মুরগী সহকারে স্কেলের ওপার রেখেন তাহলে আপনি যে ওজনটা দেখতে পাবেন সেটা হবে মুরগীর ওজন আর বালতির ওজনের যোগফলের সমান। মানে বালতির ওজনের টাকাটা পুরোই লাভ! বালতির ওজন যত বেশি তত বেশি লাভ।
সতর্কতা:
১। স্কেল থেকে নামানোর সময়ও ঝুড়িও মুরগী এক সাথে নামাবেন।
২। যথা সম্ভব চেষ্টা করুন মুরগীটাকে দোকান থেকেই জবাই করে দিতে। যাতে করে বাসায় নিয়ে ওজন করে কেউ আপনাকে দোষ দিতে না পারে।
৩। আর যদি কোন সতর্ক ক্রেতার চোখে ধরা পরেও যান সাথে সাথে সরি খেয়াল করি নি বলে উপরের প্রথম দুটো পদ্ধতির যে কোন একটি মেনে ওজন করে দিয়ে দিন। কাহিনী খতম!
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: এই কুবুদ্ধির স্বত্ব আমার নিজের নয়। সুবিদবাজারে মুরগী কিনতে কিনতে অভিজ্ঞতার আলোকে লিখা।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো হাজির হয়ে যাবো। অন্য কোন দিন। অন্য কোন কুবুদ্ধি নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
এই সিরিজের অন্যান্য পর্ব:
কুবুদ্ধির ব্লগ-১। ভিডিও লুপ ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস/মিটিং পালানোর সহজ পদ্ধতি
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১