somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুবুদ্ধির ব্লগ -২ । ডিজিটাল ওয়েট স্কেলে ওজনে কম দিয়ে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার সহজ পদ্ধতি B-))

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুভ সন্ধ্যা! কেমন আছেন সবাই? আমার নতুন সিরিজ কুবুদ্ধির ব্লগ এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আমার আজকের টপিক কিভাবে ডিজিটাল ওয়েট স্কেলে ওজনে কম দিবেন, রাতারাতি বড়লোক হবেন।

আপনিও কি এখন আপনার ছোট্ট মুরগীর দোকানটিতে ডিজিটাল ওয়েট স্কেল দিয়ে মুরগী বিক্রয় করছেন? কিন্তু আগের মত বাটখারা,পাথর না থাকার কারণে আর ওজনে কম দিতে পারছেন না? নো চিন্তা ডু ফুর্তি। আমি চলে এলাম আপনাদের জন্য ওজনে কম দেয়ার নতুন কুবুদ্ধি নিয়ে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ক্রেতার চোখের সামনে ওজনে কম দিয়ে দিবেন আর ক্রেতা মনের খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়ি চলে যাবে।

মাত্র সহজ তিনটি বিষয় মাথায় রাখলেই হচ্ছে:

১। কখনো মুরগীকে সরাসরি ওয়েট স্কেলের উপর রেখে ওজন করবেন না।

২। কখনো ওয়েট স্কেলের উপর আগে ঝুড়ি কিংবা বালতি রেখে তারপর তাতে মুরগী রেখে ওজন করবেন না।

৩। প্রথমে মুরগীকে একটা ঝুড়ি কিংবা বালতিতে রাখুন, তারপর মুরগী সহকারে ঝুড়িটাকে ওয়েট স্কেলের ওপর রাখে ওজন করুন।

চলুন এবার দেখে নেয়া যাক প্রথম দুটো কাজের অসুবিধা আর শেষ কাজের সুবিধা:

আপনি যদি প্রথম পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন অর্থাৎ মুরগিকে সরাসরি ওয়েট স্কেলের উপর রেখে ওজন করে থাকেন। তবে আপনি শুধু মুরগীর ওজনই পাবেন। কোন ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকছে না। তাছাড়া মুরগী যদি স্কেলের উপর হাগুমুতু করে করে দেয়! কি বিপদ!

আপনি যদি দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন অর্থাৎ প্রথমে স্কেলের উপর একটা বালতি বা ঝুড়ি রাখেন এবং তারপর মুরগিটাকে ঝুড়িটাতে বসিয়ে ওজন করেন। তবে হাগুমুতুর যন্ত্রণা থেকে বেঁচে যাবেন কিন্তু আপনার ডিজিটাল ওয়েট স্কেল ঝুড়ির ওজনকে শূন্য ধরে শুধু মাত্র মুরগীর ওজনটাই দেখাবে। আর যদি নাও দেখায় ক্রেতার চোখে সহজেই ধরা পড়বে এখানে ৩২০ গ্রামের একটা ঝুড়ি আগে থেকে ছিল। সুতরাং এভাবেও ওজনে কম দেয়া যাচ্ছে না।

কিন্তু আপনি যদি আমার কথা মত ৩য় পদ্ধতিটি অনুসরণ করে থাকেন। অর্থাৎ প্রথমে মুরগিটিকে একটি বালতি বা ঝুড়িতে রেখে তারপর ঝুড়িকে মুরগী সহকারে স্কেলের ওপার রেখেন তাহলে আপনি যে ওজনটা দেখতে পাবেন সেটা হবে মুরগীর ওজন আর বালতির ওজনের যোগফলের সমান। মানে বালতির ওজনের টাকাটা পুরোই লাভ! বালতির ওজন যত বেশি তত বেশি লাভ।

সতর্কতা:
১। স্কেল থেকে নামানোর সময়ও ঝুড়িও মুরগী এক সাথে নামাবেন।
২। যথা সম্ভব চেষ্টা করুন মুরগীটাকে দোকান থেকেই জবাই করে দিতে। যাতে করে বাসায় নিয়ে ওজন করে কেউ আপনাকে দোষ দিতে না পারে।
৩। আর যদি কোন সতর্ক ক্রেতার চোখে ধরা পরেও যান সাথে সাথে সরি খেয়াল করি নি বলে উপরের প্রথম দুটো পদ্ধতির যে কোন একটি মেনে ওজন করে দিয়ে দিন। কাহিনী খতম!

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: এই কুবুদ্ধির স্বত্ব আমার নিজের নয়। সুবিদবাজারে মুরগী কিনতে কিনতে অভিজ্ঞতার আলোকে লিখা।

আজ এই পর্যন্তই। আবারো হাজির হয়ে যাবো। অন্য কোন দিন। অন্য কোন কুবুদ্ধি নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এই সিরিজের অন্যান্য পর্ব:
কুবুদ্ধির ব্লগ-১। ভিডিও লুপ ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস/মিটিং পালানোর সহজ পদ্ধতি :-B

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×