বিএনপির নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক জ্ঞানের গভীরতা পাওয়া যায় তাদের রাজনৈতিক কৌশল জ্ঞান দেখলেই.
মোদী পাশ করার পর যেভাবে লাফানো শুরু করেছিলেন অনেক বিএনপি নেতা ও ফেবু একটিভিস্ট, মনে হইছিল মোদিকেই তাদের পিতা(মুজিবকে যেমন লিগ মনে করে) বানিয়ে ফেলেছিল.
একটা পিওর জাতীয়তাবাদী দলের ঐসব সোকোল্ড নেতাদের বান্দর নাচ দেখে করুনা জন্মেছিল তাদের প্রতি.
মনে পরে তখন একটি স্টাটাসে লিখেছিলাম, মোদিকে নিয়ে আমোদিত হওয়ার কিছু নাই. মোদী তার দেশকেই দেখবে আগে. আর ঐতিহ্যগত ভাবেই ইন্ডিয়ান দলগুলো বিএনপির বিরুধী.
আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মোদিকে নিউট্রাল করা, নিজেদের আয়ত্বে আনার জন্য তার গোলাম হওয়া নয়, মোদিকে দিয়ে তার গোয়েন্দা সংস্থা র এর আওয়ামী সাপোর্ট বন্ধ করানো.ি ন্তু কোন মতেই নিজেদেরকে তাদের হাতে সমর্পণ করে নয়. আর এটা হবেও না.
অনেকেই তখন ভুল বুঝেছিল
আশা করি আমাদের রাজনৈতিক অজ্ঞ নেতারা বুঝ পেয়েছেন ইন্ডিয়া কি চিজ.
গতকাল থেকে আরেকটি জিনিস নিয়েই অনেকেই লাফাচ্ছেন. লিগে নাকি কোন্দল শুরু হইছে! লিগে ভিতরে অনেক চাপা অসন্তোষ আছে এটা সত্য, কিন্তু হাসিনার বিরুদ্ধে কোন্দল করার মত কোন নেতাই লিগে নাই এই মুহুর্তে.
আশরাফকে সরানো নিয়ে জাতীয়তাবাদী ভাইদের অনেকেই খুশিতে আটখানা হয়ে যাচ্ছেন. যারা এটা করতেছেন তারা আসলেই হাসিনার রাজনীতি সম্পর্কেই জানেন না.
জাতীয় চারনেতার কোন সন্তানই রাজনীতিতে ভাল করুক সেটা হাসিনা চাননা.
খেয়াল করে দেখুন তাজউদ্দিন পরিবারের নেতাদের কি করুন ভাবেই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে . তাজ উদ্দিন এর ভাই, ছেলেরাই উদাহরণ. মনসুরের ছেলে নাসিম এর প্রতিটি জেলার নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ আছে. কিন্তু তারপরও তাকে অতীতে ভাল কোন পোস্ট দেওয়া হয়নি দলে. প্রথম সদস্য করে রাখা হত. (রাজনীতির ট্রাক চেঞ্জ করে চামচামি করে এখন অবশ্য ভাগ্য ফিরিয়েছেন ). কামরুর ছেলে লিটনকে তো জাতীয় রাজনীতিতেই সুযোগ দেওয়া হয়নি. রাজশাহীতেই রাখা হয়েছে.
আর নজরুলের ছেলে আশরাফ এই সেদিনও দলের তিন নাম্বার যুগ্ম-সম্পাদক ছিল.
এক নাম্বার কাদের জেলে যাওয়াতে ও দুই নাম্বার মুকুল বোস পল্টি মারাতেই ডিজিএফআই ও র কানেকশন দেখিয়ে রেহানার মাধ্যমে দেশে এসে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হয় বোতল আশরাফ.
তারপর তার মাধ্যমেই আর্মির সাথে ২০০৮ এর ডিল হয় (গহর রিজভিও ওই ডিল এ জড়িত ছিল.)
সেই থেকেই তাকে হাসিনার গুরুত্ব দেওয়া শুরু, কিন্তু ভিতরে ভিতরে আশরাফকে পছন্দ করত না. আশরাফও তার এজেন্সী শক্তির জন্য হাসিনাকে তেমন তোয়াজ করত না. কিন্তু দলের অনুগত একজন হিসেবে হাসিনার সব মেনেই চলত.
সেই একমাত্র ব্যক্তি যে ইচ্ছা করলেই হাসিনার কল রিসিভ না করার সাহস দেখাত. এগুলো হাসিনাকে রাগান্বিত করত. কিন্তু raw ও dgfi লবি তাকে ঠিকিয়ে রেখেছিল.
সাম্প্রতিক সময়ে রদবদলে র সেটাপে কিছু চেঞ্জ হয়, আর dgfi এ নিজের বিশ্স্থরাই এখন সব পজিশনে. এই সুযোগেই হাসিনার ইঙ্গিতে একনেক সভায় এক দুজন আশরাফের অনুপস্তিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে, আর সেটা লুফে নিয়েই দলের ২য় নেতাকে অব্যাহতি দিতে নির্দেশ করে হাসিনা.
পরে রেহানা কানেকশনে মন্ত্রনালয় গেলেও মন্ত্রীত্ব ঠিকে যায়. কিন্তু দলের সব জায়গায় হাসিনা সিগনাল দিয়ে দিল আশরাফকে ক্ষমতাহীন করে দেওয়া হল. যেমন জলিলকে করা হয়েছিল.
এটা কোন কোন্দল নয় বরং হাসিনার ক্ষমতা আরও নিরংকুশ করা হয়েছে মাত্র, অনেকেই হাসিনার পর আশরাফকে ক্ষমতাধর মনে করত, হাসিনা দেখিয়ে দিল তার রাজ্যে সে একাই রাজা. বাকিরা গোলাম. তাই আমাদের লাফিয়ে লাভ নেই.
#ফাহিম #Fahim
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৪