এক শ্রেণীর শবেবরাত প্রেমিক কওমী আলেমরা সূরায়ে দুখানের প্রথম আয়াতের তাফসীর করা শুরু করলেন যে, এখানেও শবেবরাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে । এরা অন্দ্ব চোখে শস্যের ফুল দেখছেন ! মূর্খতা কোন্ পর্যায়ে পৌঁছলে এসব অলীক স্বপ্ন গভীর নিদ্রার মাঝে চলে আসতে পারে, বুঝতে আর বাকি নেই ! কওমী সমাজে অন্যতম সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য তাফসীর হলো " মা'আরিফুল কুরআন । " মূল তাফসীরকারক হলেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা মুফতি শফি সাহেব রহ: । বাংলায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা কওমী আলেম ও সুপ্রসিদ্ধ লেখক মাওলানা মুহিউদ্দিন খান রহ: । শবেবরাত প্রেমিক ভায়েরা সূরায়ে দুখানের আয়াতে معارف القران পড়লেই সহজে অনুধাবন করত পারতেন । সেখানে কি বলা হয়েছে ? কিন্তু শবেবরাত পালনকারী অন্দ্ব হুজুররা এ জায়গায় মুফতি শফি রহ:'র তাফসীরও ডাস্টবিনে ছুঁড়ে মারবে ! কারণ শবেবরাত বিরোধী কোন কথায় তো তাঁদের সহ্য হয়না ।
আল্লাহপাক বলেন
حم و الكتاب المبين انا أنزلناه في ليلة مباركة
" সুস্পস্ট এই কুরআনের শপথ , নিশ্চয়ই ইহা আমি একটি অত্যন্ত মোবারক রাত্রীতে অবতীর্ণ করেছি । সূরা দুখান ১
*** মোবারক রাতটি কোন্ মাসের মধ্যে ছিলো তা' সুস্পস্ট করে আল্লাহপাক বলেন
شهر رمضان الذي انزل فيه القران
" পবিত্র মাহে রমজানে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করা হয়।"
সূরা আল্ বাক্বারা ১৮৫
*** সর্বশেষ মোবারক রাতটিকে চূড়ান্তভাবে সুনির্দিষ্ট করে আল্লাহপাক বলেন
انا أنزلناه في ليلة القدر
" এই কুরআন অবতীর্ণ করেছি কদরের রাত্রীতে। "
এখানে প্রদত্ত আয়াতগুলোর মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। যদিও শবেবরাত প্রেমিকদের এসব নিয়ে গবেষণার সময় নেই! তাঁরা অন্দ্ব হয়ে মন গড়া আমল ও তাফসীর নিয়ে মহা ব্যস্ত!
(সংগৃহীত)