এইটা আসলে কোন নিয়ম না, এইটাকে আমি ক্রিকেটের কাপুরুষ বলে আখ্যায়িত করতে চাই।
ব্যাপার টা হইলো, পাড়ার ক্রিকেটে আমরা মাঝে মধ্যে কাউকে আউট করতে না পারলে সে নন-স্ট্রাইক এ থাকলে দাগ এর বাইরে থাকার সময় স্ট্যামপ এ লাগাইয়া দিয়া জোড়ের উপর আউট নিয়া নেই না?? ঐটাই... ক্রিকেটের ভদ্রলোকেরা কয় ম্যনকাডিং।
ঘটনার সূত্রপাত কিন্তু দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে ভদ্র গোষ্ঠী ভারতীয়দের দ্বারাই ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া খেলতে গেসিল অস্ট্রেলিয়া তে। টেস্ট ম্যাচের মধ্যে বিনোদ মানকার হঠাত করে বল করার আগেই নন-স্ট্রাইকিং এন্ড এর স্ট্যাম্প ভেংগে দেন। দাবি করেন আইট এর!! ব্যাটসম্যান বিল ব্রাউন ও ছিলেন দাগের বাইরে। আম্পায়ার রা বেশ অবাক হন, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত দেন আউট এর... ঐ ট্যুর এই অস্ট্রেলিয়া একাদশ এর সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি একই কাজ করেছিলেন।
এই ঘটনার পর ক্রিকেটের নিয়ম-কানুন আরো সুস্পষ্ট হবার প্রশ্ন ওঠে। এই বিতর্কিত ব্যাপারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আসে, এধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যাটসম্যান কে আগে একবার সতর্ক করতে হবে। কিন্তু তার প্রয়োগ পরবর্তিতে দেখা যায়নি। তাই এ ঘটনাটি বিতর্কিত ই থেকে যায় এখন পর্যন্ত...
এই ঘটনাকে বিদ্বান রা নাম দেয় "Mankadding"...
সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটে আজকে, যুব বিশ্বকাপের জিম্বাবুয়ে বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের জিতার জন্য রান লাগতো মাত্র ২, উইকেট হাতে ১টা। ওভার বাকি ১টাই... বোলার বল করতে গেলেন, কিন্তু তিনি বল না কইরা দিলেন নন-স্ট্রাইক এর স্ট্যাম্প ভাইঙ্গা। জিম্বাবুইয়ের কোয়ার্টার ফাইনাল এর স্বপ্ন ভাংলো কাপুরুষতায়।
এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কথা বার্তা হচ্ছে। অন্ততঃ এই অবস্থায় ম্যানকাডিং করা ঠিক হয়নি। কথা সত্য, এর চেয়ে হীনতা অবলম্বন করার আর কোন উপায় আছে বলে ক্রিকেটে আমার মনে হয়না।
আবার অনেকে সাপোর্ট ও দিচ্ছে, যেহেতু ম্যানকাডিং আছে, তো লাস্ট বল আর অন্য বল কি? এই কথাও সত্য। এই ব্যাপার নিয়ে যখন কথা উঠসে, আইসিসি'র ভাবা উচিত এই নিয়ম নিয়ে।
কিছু বিখ্যাত ম্যানকাডিং এবং আজকের ঘটনা...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭