somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিটি কলেজের আন্দোলন এবং কিছু কথা...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আশা করি সকলেই জেনে গেছেন সিটি কলেজের আন্দোলন সম্পর্কে :P পরশুদিন মিরপুর রোড বন্ধ ছিল আনুমানিক ঘন্টা আটেকের উপরে। এরপর কারো আর না জেনে থাকার কথা না।

এই ব্যাপারে কিছু বলার ইচ্ছা ছিল না। কারণ সিটি কলেজ এ ভর্তি ই হইসি ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে, তাই সিটি নিয়া ফজলুভাই এর তেমন একটা আগ্রহ নাই :(
কিন্তু ব্যাপার টা এমন যে দেশের স্বার্থে কিছু বলা উচিৎ দ্য গ্রেট ফজলুভাই এর ;) :P B-)

ঘটনা টা কি আগে বইলা নেই। সিটি কলেজের সিট পরসে ২০১৬ সালের ইন্টার পরীক্ষার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে, মোহাম্মদপুরে। অন্যান্যবার সিট পরতো কলেজের উল্টাদিকে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে। এখন ব্যাপারটা হইল ঢাকা শহরের মধ্যে ঢাকা কলেজ, নটর ডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ভিকারুননিসা কলেজ, রেসিডেনসিয়াল, রাইফেলস সহ কিছু বড় বড় কলেজ এর কেন্দ্র গুলা কে মানুষ ভয় পায়। ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক-ই বটে... কারণ দেশের মানুষ তো তাকাইয়া থাকে এই কলেজগুলার উপরেই। কারণ হসচ আর সসচ পরিক্ষাই তো দেশের সব। তাই কিনা? ;)
তো এই কলেজের স্যার ম্যাডাম রা তো তাদে ইস্টুডেন্ট দের তৈরি করে যেন তারা দোযখ এ গেলেও এ প্লাস পাইয়া আসে!! ( এটা মানুষের ধারনা আরকি )। কিন্তু সব কলেজ ই তলে তলে সেটিং মারে এটা কারো অজানা না ;) সেটিং মাইরাই সবাই পাচট সেকেণ্ড হয়...
তো এইবার সরকার দিসে সবকিছু উল্টাইয়া। আমার জানামতে(শিউর না) রাইফেলেস পাবলিক কলেজ আর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ নাকি সিট প্ল্যান প্রকাসের পরেরদিন ই সিট চেঞ্জ করে ফেলসে। আর ভিকারুননিসা তো প্রতিবারই তাদের কেন্দ্র চেঞ্জ করার জন্যে কাপঝাপ করে তা বাতাসে খবর পাই আরকি :P

এবার সিটি কলেজের সিট পরসে রেসিডেনসিয়াল এ, নটর ডেম কলেজের সিট পরসে সিটি কলেজে। সিটি কলেজের স্টুডেন্ট রা ২দিন কলেজে গিয়ে দাবি জানাইসে সিট চেঞ্জ করার। দ্বিতীয় দিন স্যার রা তাদের একরকম ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিসে কলেজ থেকে, আমার নিজের চোখের সামনে। নটর ডেম কলেজ ও যে তলে তলে আন্দোলন করতেসে তার ও একটু আওয়াজ পাইসি :P

এবার আসেন আন্দোলন কেন! সিটি কলেজ গত বেশ কয়বছর ধরে কথিত মেধাতালিকাইয় এ প্লাছের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে(স্যার ম্যাডাম রা ক্লাসে এই নিয়াই আলোচনা করে, আমি বেশি কিছু জানিনা) , তো রেসিডেনসিয়াল এ পরলে সমস্যা কই? আরে ভাই রেসিডেনসিয়াল তো মাগনা কলেজ না যে যেমনে ইচ্ছা অমনে পরিক্ষা দেয়া যাবে। আশেপাশের সব বড় বড় কলেজ পরিক্ষা দিবে আরামে সিটি কলেজ কি দোষ করলো? সবচেয়ে বড় ব্যাপার টা আসে সাইন্স বিভাগের ক্ষেত্রে, প্রাকটিকাল এর নাম্বার টা একটা বিশাল ব্যাপার। আর রেসিডেনসিয়াল এ মাগনা নাম্বার পাওয়া যাবেনা প্রাকটিকাল এ। আর আমাদের দেশের প্রাকটিকাল যে কইরা নাম্বার আনার জিনিষ না এটাও সবাই জানার কথা :)
আবার আসেন অধিকাংশের দাবির ব্যাপারে, রেসিডেনসিয়াল নাকি অনেক দূরে। দাবিটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত হলেও অগ্রাহ্যজনক না, যার বাসা নারায়নগঞ্জ, সে মোহাম্মদপুর যাওয়া-আসা করা আর দোযখে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য কই? আর সিটি কলেজের অনেক ছেলেমেয়ে আসে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে। কলেজ চলাকালে অতদূর থেকে আসা আর হসচ পরিক্ষার এত বড় চাপ নিইয়ে দৌড়াদৌড়ি করার মধ্যে পার্থক্য আছে। যাইহোক...

এবার আসেন মিরপুর রোড ব্লক করার কারণে... আগেই বলসি দ্বিতীয় দিন শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। তারা সেদিন কলেজের সামনের রোডে বসে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু পরদিন তাদের কাউকে কলেজেই ঢুকতে দেয়া হয়নি। তারা এক জায়গায় জড়ো হয়ে পরবর্তিতে মিরপুর রোড ব্লক করে। এর পেছনে আরো মানসিক কারন ও আছে। স্যার রা তাদের সাথে নাই, অন্যান্য কলেজের তো সিট নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না, কারণ তারা জানে ঐসব ব্যাপার কলেজ দেখবে। আর সিটি কলেজের অত্যধিক শাসন এর ব্যাপার তো কারো অজানা থাকার কথা না। আর আসল ব্যাপার টা হচ্ছে, সিটী কলেজের স্টুডেন্ট এত বেশি যার কারণে স্যারদের কিছু যায় আসেনা, একটা স্টুডেন্ট এর কিছু হইলে তারা আরেকটা স্টুডেন্ট পাবে ২২,০০০ টাকার দিলেই :)



এইটা হচ্ছে সিটি কলেজের মেইন দাবি!! আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই এমন... তাই কেউ গালি দেয়ার আগে ভাইবেন...



এই ছবি হয়ত অনেকে ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন। ছবির লিঙ্ক হুম, সিটি কলেজের পোলাপান ভাংচুর করসে তাদের কলেজ!! আশ্চর্য হইলেন তো... পোলাপান সেই বেয়াদব। এক্স দের মধ্যে রিতিমত সুনামি লেগে গেছে কেউ ফেসবুকে এই পেজ এ ঢুকে কমেন্ট পড়লেই বুঝবেন |-) যেটাই হোক, কলেজ ভাঙ্গার পক্ষে আমি না। কিন্তু......... পরের ছবিগুলান দেখেন।





দেখলেন?? পুলিশ কি করসে। এই লাঠিপেটার পরেই কিন কিন্তু পোলাপান কলেজে ঢুকে ভাংচুর করসে।
ভাংচুর করাটা ঠিক হয়নাই আবারো বলি।
কিন্তু ভাই পুলিশের কোন ধরনের আচরন এটা?? আর স্যাররা যে স্টুডেন্ট দের সাথে নাই এতেই বোঝা যায়, স্যারদের ইঙ্গিত ছাড়া জীবনে পুলিশ অন্ততঃ কলেজ স্টুডেন্ট দের উপর হাত তুলতো না।

একটা প্রতিষ্ঠান এ পড়বো, সেই প্রতিষ্ঠানের স্যার ম্যাডাম রা কোন দয়া দেখাবে না তো সেই দুঃখে মিরপুর রোড ব্লক করা তো আমার কাছে কমই মনে হয়......
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×