প্রিয় ব্লগাররা আমরা যতই যুক্তি প্রদান করি আর গলাবাজি করি না কেনো জীবনের কঠিণ বাস্তবতাকে কখনও ই কি অস্বীকার বা এড়াতে পারি??
এটা কি কখনো সম্বব যে এমন একটি সমাজ বা রাষ্ট্র গঠিত হবে যেখানে কোন দুষ্ক্রীতীকারী থাকবে না, চোর - বাটপার থাকবে না, আমি মনে করি সম্বব না। কারন নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি আকর্ষন স হজাত প্রবৃত্তি, আর যুবকদের আচরনে এটা আরও প্রকট ভাবে প্রতীয়মান হয়।
সমাজে চোর, বদমাসদের শাস্তি দেয়ার জন্য আইন আছে, দুটো কারনে মানুষ খারাপ কাজ করে না...
১। বিবেক তাকে বলে চুরি করা কারাপ , এ কাজ সভ্য মানুষ করতে পারে না।
২। আইনের ভয় যে চুরি করলে তাকে জেলে যেতে হবে, কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
কিন্তু আমরা যদি একটু চিন্তা করি দেশে ১০০% মানুষ কি বিবেক বান হতে পারে, না কখনোই সম্ভব না, প্রতিটি সমাজে কিছু ভালো কিছু খারাপ মানুষ থাকতে বাধ্য, আর এই খারাপ মানুষদের জন্যই আইন দরকার।
ইভ টিজারদের জন্য কি কোন আইন আছে আমাদের দেশে??
অন্য দৃষ্টিতে আমাদের সমাজে এমন একটা দল থাকতেই হবে যারা মানুষকে ভালো কাজের আহবান জানাবে, খারাপ কাজে ণিষেধ করববে এবং অন্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, যাদেরকে আমরা বলি দায়িলাল্লাহ বা আল্লাহর দল।
এমন কোন দল বা মতের মনুষ কি আমাদের সমাজে আছে, যদি থাকে তাদের কে কি নির্বঘ্নে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে, হচ্ছে না!!!!
আমি একটি উদাহরন দিচ্ছি,
আমি দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যখন ইসলামী সংগঠগুলো কাজ করতো তখন কিন্তু কোন মেয়েকে টিজ করতে কেউ সাহস পেতো না, কারন এই দলটা এর প্রতিবাদ করতো। নাটোরের শিক্ষক মিজানুর রহমান একা না হয়ে যদি সব স্কুল শিক্ষক একত্রে টিজিং এর প্রতিবাদ করতো তাহলে মনে হ্য় এমন করুন পরিনতি হতো না।
একই ভাবে আমাদের সমাজে যে আইন আছে তার পূর্ন প্রয়োগ নেই , আমি যদি ক্ষমতাশীণ কোন মানুষের আত্বীয় বা কাছের মানুষ হই তাহলে আমার সব দোষ মাফ। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অর্ধ পৃথিবীর খলিফা উমর রাঃ এর পুত্রকে মদ্যপানের কারণে এমন সাজা দিয়েছিলেন উমর যে সে মৃত্যুবরণ করেছিল।
আমাদের দেশে কি এমন উদাহরন সম্ভব, জানি সম্ভব না।
তাই আসুন একত্রিত হই ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে এককভাবে নয় , সবাই মিলে।
দশের লাঠি একের বোঝা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


