somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিক ভুজিচিচ – অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যাস্ত "বিকলঙ্গ" মানুষটা

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়টা ১৯৮২ সালের ৪ ডিসেম্বর । অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে টেট্রা-এমেলিয়া সিনড্রোমে আক্রান্ত এক শিশু জন্মগ্রহণ করেন । যার দুই হাত এবং দুই পা কোনটাই ছিল না জন্মের সময় । যেখানে পৃথিবীতে নতুন প্রাণ আগমনের সময় জন্মদাত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর নিয়ম , সেখানে এই বাচ্চাটার মা কে অভিনন্দন জানানোর জন্য হসপিটালে কেউ আসার প্রয়োজন বোধ করেননি । পৃথিবী হয়তো এই বিকলঙ্গ বাচ্চার কোন ভবিষ্যৎ দেখেনি । হয়তো না দেখাটাই স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়ে । যে মানুষটার দুই হাত কিংবা দুই পা কোনটাই নেয়, তাকে বোঝা হিসাবে গন্য করা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ।
বাচ্চাটার নাম রাখা হয় "নিকোলাস জেমস ভুজিচিচ" । বর্তমানে তিনি "নিক ভুজিচিচ" নামে অধিক পরিচিত ।


নিকের বাবা মা ছিলেন ক্রিচিয়ান । মেলবোর্নের একটা চার্চে নিয়মিত যাওয়া আসা ছিল তাঁদের । স্রষ্টার কাছে এতো করে চাওয়ার পরেও তাঁদের প্রথম সন্তানের এই পরিণতি মানতে পারছিলেন না কেউই । নিকের জন্মের পর নার্স যখন নিককে কোলে নিয়ে ছিলেন তখন নিকের মা চাচ্ছিলেন না তাঁদের নবাগত সন্তানের মুখ দেখতে । কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন তিনি । পরে হসপিটালের ফুলের দোকান থেকে একটা ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন নিকের বাবা । নিকের মায়ের কানে ফিসফিস করে বলেন, আমাদের ছেলেটা দেখতে খুব সুন্দর । তুমি ওর মুখের দিকে তাকিয়েই দেখো একবার ।


ছবি – ছোটবেলায় নিক ভুজিচিচ ।
ঈশ্বরে বিশ্বাসী দুইটা মানুষ ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না, কেন ঈশ্বর তাঁদের কাছে এমন একটা সন্তানকে পাঠালেন ? তবে তাঁরা গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন, স্রষ্টার অবশ্যই কোন একটা বিশেষ পরিকল্পনা আছে এই বাচ্চাটাকে নিয়ে । তিনি পরিকল্পনাহীন কোন কাজ করেন না । আর ভুল করা তো স্রষ্টার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার । এই বাচ্চাটাকে তাঁরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন । বড় করতে থাকেন এই বাচ্চাটাকে ।
নিকের জন্মের সময় পা ছিল না , ব্যাপারটা কিছুটা ভুল । তার শরীরের নীচের অংশে খুব ছোট ছোট দুইটা পা ছিল । যার একটাতে কয়েকটা আঙুল জোড়া লাগানো ছিল এবং পরবর্তীতে সেই আঙুলগুলা অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা হয় । এই আঙুল দিয়ে নিক তাঁর হুয়িল চেয়ার চালানো শেখেন , বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানো শেখেন এবং সর্বপোরি এই আঙুল দিয়ে তিনি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন চালানো শেখেন ।


বাবা মায়ের সাথে নিক ভুজিচিচ ।
নিকের বাবা মা নিককে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চান । নিককে তাঁরা স্কুলে পাঠানো শুরু করেন । এমন একটা বিকলঙ্গ ছেলের জন্য স্কুল জীবন খুব একটা সুখকর ছিল না । প্রায়ই নিক তাঁর সহপাঠীদের দেখতেন তাঁকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে । একটা বাচ্চা ছেলের জন্য ডিপ্রেশনে পড়ার হইতো আর খুব একটা কারণ লাগে না । সহপাঠীদের সাথে একটা সাধারণ শৈশব চেয়েছিলেন তিনি । স্কুলে থাকতেই আর ১০ টা ছেলের মত নিক সাঁতার শেখেন , স্কেটিং করেন শুধুমাত্র সবার সাথে একটু মিশতে পাবার জন্য । কিন্তু তাঁর আশেপাশের মানুষজন তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা বাদ দিতে পারতো না ।


ছবি – সাম্প্রতিক সময়ে সার্ফিং করছেন নিক ভুজিচিচ । ছবিসুত্র – midweek.com


ছবি – সাতার কাটছেন নিক ভুজিচিচ । ছবিসুত্র – BBC

একাকী নিক চিন্তা করতেন, স্রষ্টা আসলে তাঁকে দিয়ে কি করানোর পরিকল্পনা করছেন । বেশিরভাগ সময় কোন সমধান খুঁজে পেতেন না তিনি । তাঁর বাবা মা তাঁকে পুর্নাঙ্গ সহযোগীতা করেন এই সময়টাতে । তাঁর ভাই বোন কিংবা কাজিনরা কখনই তাঁকে বোঝার সুযোগ দিতো না, সে একা । প্রায়ই তাঁর মা তাঁকে এমন কিছু পেপার কাটিং দেখাতেন যেখানে কোন বিকলঙ্গ মানুষের সম্পর্কে আর্টিকেল থাকতো । হইত তিনি চাইতেন নিক বুঝতে পারুক, সে একা না । পৃথিবীতে তাঁর মত আরো অনেকেই আছে ।
ডিপ্রেশন বা লোকজনের হাসি ঠাট্টা নিককে বিরত রাখতে পারেনি তাঁর লক্ষ্য থেকে । পড়ালেখা চালিয়ে গেলেন তিনি এবং ২১ বছর বয়সে গ্রিফফিত ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন । ব্যাবসা প্রশাসনে গ্রাজুয়েশন করার সময় তাঁর দুইটা মেজর ছিল । একাউন্টিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং ।
আসলে BBA তে গ্রাজুয়েশন করার সময় তিনি চিন্তা করতে থাকেন , সব মানুষ যে পথে আগায়, তাঁর জন্য সে পথে আগানো সম্ভব না । তিনি গভীরভাবে উপলব্ধী করতেন আলাদা কিছু করার ।যখন তাঁর বয়স ১৯ বছর (২০০৫ সালে) তখন তিনি তখন আন্তর্জাতিক একটা সংস্থা খোলেন । নাম রাখেন , “Life withhout limbs” । বিকলঙ্গ লোকজনদের নিয়ে কাজ করা তাঁর প্রধান পরিকল্পনা ছিল ।
পৃথিবীতে মানুষ কত কষ্ট করে থাকতে পারে, সেটা বোঝার জন্যই তিনি বেশ কিছু দরিদ্র বস্তিতে গিয়ে থেকেছেন । মিশরের কায়রোর একপ্রান্তে "আবর্জনার শহর" তাঁদের মধ্যে একটা । এইখানে থাকার সময় তিনি বুঝতে শেখেন তারচেয়ে অনেক কষ্টে মানুষ এখানে বেঁচে থাকে । স্রষ্টা কেন তাঁকে অন্তত একটা হাত দেননি সেটা নিয়ে আফসোস থাকে না আর । বরং বস্তির মানুষের ভাঙাচোরা ঘরে থাকা , খুব কষ্টে খবার সংগ্রহ করা, পানির সমস্যা এইগুলা দেখে তাঁর মনে হতে থাকে, এই মানুষগুলার তিনি জীবনে বেশি সুবিধা পেয়েছেন । বস্তি থেকে বিদায় নেবার সময় তিনি যখন বস্তির কয়েকটা পরিবারকে চাল, ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাবার দিয়ে সাহায্য করেন , তাঁর ধারণা ছিল না এতো অল্পে মানুষ খুশি হতে পারে ।
নিক জীবনের সবচেয়ে বড় যে উপলব্ধিটা পান, সেটা হচ্ছে পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ ডিপ্রেসড । হতাশা কাটিয়ে ওঠার চেয়ে তাঁরা আরো বেশি হতাশায় ডুবে যায় । যেহেতু সারাজীবন এই হতাশার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই কাটছে তাঁর , সেহেতু এই হতাশাগ্রস্থ মানুষগুলাকে আশা দেয়ার জন্য ২০০৭ সালে তিনি একটা মোটিভেশনাল স্পিকিং কোম্পানি খোলেন । নাম রাখেন “ATTITUDE IS ATTITUDE” । তাঁর বাবা মা আসলে বুঝতে পারছিলেন না , নিক কেন তাঁর পড়ালেখা অনুযায়ী জীবন চালাচ্ছে না । মোটিভেশনাল স্পিকিং কোম্পানি আসলেই নিককে কোন ভবিষ্যৎ দিবে এটা ভাবেননি তাঁরা


ছবি – স্পীচ দেয়ার জন্য দর্শকদের সামনে নিক । ছবিসুত্র – uspressonline.com

শুরুর দিকে নিক বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদের স্কুলে এবং চার্চে যেতেন কথা বলার জন্য । তিনি খেয়াল করেন, তার সামনে দাঁড়ানো মানুষগুলো মুগ্ধ হয়ে তাঁর কথা শুনছে । তিনি মানুষকে শুধু এটাই বোঝাতে চাইতেন , দুই হাত পা না থাকার পরেও তিনি যেভাবে হাসতে পারছেন, সেখানে বাকি মানুষদের আসলে হতাশ হবার কি কোন কারণ আছে ? অন্তত তাঁর থেকে বেশি সুযোগ জীবনে পেয়েছে এই মানুষগুলো । তাঁরা কেন হতাশ থাকবে ? তাঁর মোটিভেশনাল স্পীচগুলা আসলেই কার্যকারী ।

ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে থাকেন নিক । ২০১০ সালে নিজের জীবন নিয়ে লিখে ফেলেন একটা বই । নাম দেন "Life Without Limits" । পৃথিবীর অন্তত ৩০ টা ভাষায় তাঁর এই বইটা প্রকাশিত হয়েছে । এরপরে আরো ৬ টা বই লিখছেন তিনি এ পর্যন্ত । লেখক হিসাবে অসাধারণ তিনি । অন্তত , পাঠকদের কাছে তাঁর সাবলীল ভাষায় জীবন নিয়ে উপলব্ধী সাড়া জাগানোর মত ।
২০১০ সালে "মেথড ফেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে" তিনি "বাটারফ্লাই সার্কাস" শর্টফিল্মের জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসাবে নির্বাচিত হন ।
২০১২ সালে বিবাহিত নিক এখন ২ সন্তানের বাবা ।


ছবি – নিক ভুজিচিচ এবং তাঁর পরিবার ।

বর্তমানে নিকের মোটিভেশনাল স্পীচ শোনার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁকে আমন্ত্রন জানানো হয় । পৃথিবীর বড় বড় স্কুল,কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে গিয়ে একঝাক বিপর্যস্ত মানুষকে শেখান তিনি, কিভাবে বাঁচতে হয় ।কিভাবে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েও হাসতে হয় , কিভাবে জীবনকে ভালবাসতে হয় । তিনি মানুষকে শেখান স্রষ্টা কোন ভুল করতে পারেন না । তিনি প্রতিটা মানুষকে একটা লক্ষ্য নিয়ে পৃথিবীতে পাঠান । আমাদের একটাই কাজ শুধু সেই লক্ষ্যটা খুঁজে বের করা ।
তাঁর লেখা বই "Life Without Limits" এর একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করবো লেখাটা । একটা বাচ্চাদের স্কুলে একবার কথা বলার জন্য নিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । নিক যখন কথা শেষ করেন তখন প্রায় সবাই কাঁদছে আর হাততালি দিচ্ছে । এমন সময় একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বললো,আমি কি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারি । নিকের অবশ্যই উত্তরটা শোনার সাথেসাথেই বাচ্চাটা নিককে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে বলে, "আমি দেখতে সুন্দর না, সবাই আমাকে অন্য চোখে দেখে । এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কস্ট পেতাম আমি । আজ আপনাকে দেখে শিখলাম নিজের মূল্য নিজেই সৃষ্টি করে নিতে হয় পৃথিবীতে । স্রষ্টা হইতো সবসময় সবকিছু শুরুতে দেন না ।"
নিককে এর আগে অনেকেই মেইল করে জানিয়েছে সে কতটা অনুপ্রেরণা দিতে পারে মানুষদের । সামনে দেখে অনেকেই নিককে জড়িয়ে ধরে বলেছেন তাঁকে কতটা ভালোবাসে মানুষজন । কিন্তু এই বাচ্চা মেয়েটার কথা নিক সবসময় মনে রাখবেন । পৃথিবীতে যদি মানুষকে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা দেখানোর জন্যই তাঁর জন্ম, তবে তিনি ভাবেন, ঠিক রাস্তাতেই এগুচ্ছেন তিনি ।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×