somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এরশাদ ও একটি চুমু সমাচার

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এরশাদ শেষ পর্যন্ত মহাজোটেই থেকে যাচ্ছে এবং আজমতউল্লাহকে সমর্থন দিয়েছে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি দেখে কনফার্ম হওয়ার পর শেখ হাছিনা এরশাদ কে সুধা সদনে ডেকে পাঠালেন। এরশাদ গিয়ে সেখানে অপু উকিল এবং কবরি সারওয়ার কে আবিস্কার করলেন। এরশাদের বুজতে বাকি রইল না খালেদা জিয়া কে নিয়ে কবরি রচিত কোন সিনেমেটিক গল্প অপু কে দিয়ে সংসদে পরিবেশন করার জন্য এই বৈঠক।

চিন্তিত এরশাদ।

তাহলে তাকে কেন ডাকা হয়েছে। একটু পর গোলাম মাওলা রনি সেখানে উপস্থিত হলেন। এরশাদ বুজতে পারল নমিনেশন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তাই তদবির করতে এসেছে।

বিচক্ষণ এরশাদ।

শেখ হাসিনা এরশাদ কে চিন্তা মুক্ত করলেন। বললেন, "গাসিক নির্বাচনে আজমতুল্লাহর অবস্থা বেশ খারাপ। বিশেষ করে এরশাদ নগর এলাকায়। আপনাকে সেখানে যেতে হবে প্রচারনা চালানোর জন্য।"

চিন্তামুক্ত এরশাদ।

লুইস এরশাদের মনোযোগ পরল অপু আর কবরির দিকে। কায়দা করে বলল, "ঠিক আছে মহাজোট নেত্রি, আমি যাচ্ছি, তবে আপনি জানেন আমাকে লোকজন আর আগের মত পছন্দ করে না। তাই আমার মনে হয় সেখানে কবরি কে নিয়ে গেলে লোক সমাগম বেশি হবে। আর অপু উকিল একজন সুবক্তা, সেও আমার সাথে গেলে ভালো হয়।"

উল্লসিত এরশাদ।

শেখ হাসিনা সম্মতি দিলেন। চালাক রনি সবকিছু ভালো করে খেয়াল করছিলেন। বিশেষ করে এরশাদের কুদৃষ্টি। তিনিও গো ধরে বসলেন বস্লেন তিনিও যাবেন। শেখ হাসিনা তাকেও এলাও করলেন।

বিব্রত এরশাদ।

কেম্পেইন শেষে রাতে ফেরার সময় তার কেটে গাড়ির লাইট নিভে গেল। সাথে সাথে সবাই প্রথমে একটা চুমু ও তার সাথে সাথে একটা থাপ্পরের আওয়াজ শুনতে পেল। পকেট থেকে সবাই মোবাইল বের করে অন করল। কেও কোন কথা বলছেনা। শুধু এরশাদ তার গালে হাত দিয়ে চুপ করে বসে আছে। আবছা আলোয় বুজা যাচ্ছে গালটা লাল হয়ে গেছে।

রাগান্বিত এরশাদ।

কবরি ভাবছে: নিশ্চই এরশাদ অপুকে চুমু খেতে গিয়ে চড় খেয়েছে !! নাহ বেটা এই বয়সেও ভাল হল না !!

অপু উকিল ভাবছে: এরশাদ আঙ্কেল মনে হয় আমাকে চুমু খেতে গিয়ে ভুলে কবরি আপাকে চুমু খেয়ে ফেলেছে। তাই কবরি আপা বেটাকে কষে দিয়েছে এক থাপ্পর !! ভালো কাজ করেছে !!

এরশাদ ভাবছেন: বিটলা রনি মনে হয় অপু উকিল কে চুমু দিছে !! আর শালি অন্ধকারে থাপ্পর মেরেছে আমাকে !! নাহ তরুণদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা। কোথায় রেখে এসেছি দেশটা কে এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! রসাতলে গেছে !!




গোলাম মাওলা রনি ভাবছেন: আল্লাহ এইরকম চান্স আবার পেলে চুমুর শব্দ করে কষে আরেকটা চড় মারতে পারতাম!! আগের বার বেশি জোড়ে দিতে পারি নাই।

উৎস ঃ facebook
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×