
সবাই বলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জিতবে। তাহলে আর এত টাকা খরচ করে পূর্ণাঙ্গ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার কি দরকার? বর্তামান জাতীয় সংসদের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানো হবে কি? এ ষিয়ে হ্যাঁ ভোট না ভোট করলে হ্যাঁ ভোট জয়যুক্ত হবে। তাতে সরকার সহজে আরো পাঁচ বছর দেশ পরিচালনার মেন্ডেট পেয়ে যাবে। এরপর কেউ মরলে উপনির্বাচন তো হচ্ছে।
জিয়াউর রহমান হ্যাঁ ভোট না ভোট করেছেন। এরশাদ হ্যাঁ ভোট না ভোট করেছেন। তাহলে শেখ হাসিনা হ্যাঁ ভোট না ভোট করলে দোষের কি আছে? আমাদের জেনারেলগণ আমাদেরকে একটা সুন্দর বিষয়ের তালিম দিয়েছেন। আমরা তাহলে তাঁদের অনুসরন করিছি না কেন? ক্ষমতার বাইরে থাকা প্রধান দু’দল তো তাঁদের দল। শেখ হাসিনা হ্যাঁ ভোট না ভোট করলে আশা করি তাঁরা এর বিরোধীতা করবেন না। কোন দল কি তাদের নিজেদের কাজের বিরোধীতা করতে পারে?
বিএনপি ও জাতীয় পার্টি বাদ দিলে অন্য যে সব দল আছে কেউ বলে না আগামী নির্বাচনে তাদের কোন দল জয়ী হতে পারবে। তাহলে আর কোন লোকদের জন্য আগামী পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন করা দরকার? যারা ক্ষমতায় আছে তারাই যদি আগামী নির্বাচনে জয়ী হয় তাহলে এটা সংক্ষেপে হ্যাঁ ভোট না ভোট করে সারলেই উত্তম হয়।
আমাদের টাকা কম। অহেতুক বড় নির্বাচনের বিলাশিতা আমাদের ক্ষেত্রে খাটে না। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু কতিপয় বুদ্ধিহীন একত্রিত হয়ে তাঁকে মেরে ফেলল। তারপর জেনারেল জিয়া্ আমাদেরকে শিখালেন কিভাবে হ্যাঁ ভোট না ভোট করে সংক্ষেপে ক্ষমতায় থাকতে হয়। এরশাদও আমাদেরকে সেই রাস্তা দেখিয়েছেন। কিন্তু এত বছরেও শেখ হাসিনা আমাদেরকে সেই পথ দেখাতে পারলেন না। পুতিনও এমন একটি ঘটনা ঘটালেন, কিন্তু শেখ হাসিনা এখনো সেটা শিখলেন না। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা হ্যাঁ ভোট না ভোট করে তাঁর ক্ষমতার মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিলে এমনতো অসুবিধার কিছু নেই। আর হিরো আলম ও চরমোনাই পীরের জন্য তো উপনির্বাচন আছে।
শেখ হাসিনাকে মনে হয় তিনি আরো কিছু দিন গণভবনে থাকতে চান। জাতির জনকের কন্যা হিসাবে তিনি জাতির আপুমনি। অনেকেই বলেন শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি কোটি ভাই। তবে বোনের জন্য ভাইয়েরা কি একটা হ্যাঁ ভোট না ভোটের ব্যবস্থা করতে পারে না? অবশ্যই সবাই চাইলে এমন একটা কিছু সহজেই হতে পারে। আর এর মধ্যে গণভবনও হয়ে যাবে একটি উত্তম কৃষি খামার। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে এটা কারো অকাম্য হতে পারে না।
বাকশাল যারা পছন্দ করেনি তাদের প্রিয় জিয়া তাদেরকে গণভোটের গণতন্ত্র উপহার দিলেন। পল্লিবন্ধু এরশাদও জনগণকে গণভোট উপহার দিলেন। পারলেন না শুধু জাতির জনকের কন্যা। তিনি যদি এবার গণভোট দিতে পারেন তাহলেও তিনিও জিয়া ও এরশাদের কাতারে চলে যেতে পারেন। আর এভাবেই গড়ে উঠতে পারে আমাদের জতীয় ঐক্য। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




