
অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য সাংসদগণকে ভোট ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এর জন্য দায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদের নির্বাচন হওয়া। দূর্জনেরা বলছে তিনি অসমাপ্ত খাওন সমাপ্ত করার জন্য ভোট চান। দুষ্ট লোকেরা বলে তিনি তিনি নিজ পকেটের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ভোট চান। কেউ কেউ তাঁর হাঁটে হাঁড়ি ভাঙ্গে। তাতে করে কেউ বলে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেল। তারমানে তিনি থলে পেঁচিয়ে বিড়াল রাখলেন হাঁড়ির ভিতরে। দুষ্ট লোক সেই হাঁড়ি হাঁটে ভাঙ্গায় থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। ভদ্রলোক সাংসদদের বিরুদ্ধে দুষ্ট লোকদেরকে এত্ত সুযোগ দেওয়ার দরকার কি? আমরা দেশটা স্বাধীন করেছিকি দুষ্ট লোকদের দুষ্টামির জন্য? সাংসদ কি জনগণের বাইরের কেউ? তাঁর পকেটের উন্নয়ন কি জনগণের উন্নয়ন নয়। একজন জনপ্রতিনিধির মা বললেন, টাকার বস্তার মুখ খুলে দিয়েছি। ভোটে জিতলে আবার টাকা কুড়িয়ে বস্তা ভরব। এসব মুরব্বী গণকে এত কষ্ট দেওয়ার কি দরকার? তারচে টাকা বস্তা ভরাই থাকুক। নতুন টাকা এলে তিনি আবার টাকা বস্তা ভরে রাখবেন। টাকা যদি বস্তা থেকে বেরিয়ে পড়ে তবে তো টাকায় ধুলা-বালি লাগবে। এদিকে লোকেরা রাতের ভোটের কথা বলে। রাত জেগে নেতা-কর্মীদের ভোট দেওয়ার কষ্ট কেন করতে হলো? এরজন্য তো পাঁচ বছর পর পর ভোট হওয়াই দায়ী। প্রথম বারই যদি আইন করা হতো পাঁচ বছর পর পর আর ভোট হবে না। ভোট হবে সাংসদ মারা গেলে। তাহলে দিনের ভোট রাতে করার দরকার হত কি?
সাংসদ মারা যাওয়ার পর ভোট হতে হতে বিরোধী দল যদি দেখে সরকারের আর সংখ্যা গরিষ্ঠতা সংসদে নাই তখন বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে অসনাস্তা প্রস্তাব আনবে। তখন সরকার পরিবর্তন হবে। কেউ হয়ত বলতে পারেন এমন অবস্থায় শত বছরেও সরকার বদলাবে না। তাতে কি হয়েছে? আব্বাসীয় সরকার তো সাড়ে সাতশত বছর সরকারে ছিলো তাতে কি কারো নুন পানি হয়েছে? আমি ইতিহাসের ছাত্র আমি এসব জানি। বিশ্বের বহু দেশে একেক দলের সরকার শতশত বছর ছিলো। এমন ঘটনা এ বঙ্গভূমিতেও ঘটেছে। এমন ঘটনা এ ভূ-ভারতেও ঘটেছে। দাসেরা, মোগলেরা, ইংরেজরা শত শত বছর ক্ষমতায় ছিলো। কই দাসেরা যে মনিবের মনিব হয়েছে তাতে কেউ তো কিছু বলেনি। বাপের পর পুত, তারপর নাতিপুতি মিলে চৌদ্দ পুরুষ রাজত্ব করেছে তাতেও কেউ কিছু বলেনি। আমি হয়ত সাংসদের আমৃত্যু সাংসদ থাকার কথা বলেছি, তাতে এমন দোষের কথা কি বলেছি? তাতেও হয়ত কেউ কেউ আমার লজিক নিয়ে কটাক্ষ করতে পারে। এদেশে আসলে উচিত কথার ভাত নেই।
সাংসদ আমৃত্যু স্বপদে বহাল থাকলে তো গণতন্ত্র বানের জলে ভেসে যাচ্ছে না। তাঁর মৃত্যূর পর তো সেখানে ভোট হচ্ছে। তাতেই তো সরকার ঠিক থাকছে। বঙ্গবন্ধু জাতির মঙ্গলের জন্য বাকশাল করতে চাইলেন। তাতে করে ভোট প্রেমিদের মনে চিনচিনে পিনপিনে ব্যাথা হলো।অবশেষে পথভ্রষ্ট লোকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বসলো। অত:পর জেনারেলরা গণভোট দিলেন। ভোট দাতাগণ তৃপ্তি সহকারে ভোট দিলেন। তারপর আরো বহু রকমের ভোট হলো। কিন্তু কিছুতেই ভোট দাতাগণকে খুশী রাখা যায় না। নির্বাচন কমিশন বলে নির্বাচন সুষ্ট হয়েছে, অথচ দুষ্ট লোকেরা বলে ভোট সুষ্ঠ হয় নাই। এত যোগ-অভিযোগ কত আর শুনা যায়। সেজন্য আর কি ভোট ব্যবস্থার একটুখানি সংস্কারের কথা বললাম।
সরকার বদলের ভোটে বহু সাইবোর্ড পরিবর্তন হতে দেখেছি। যে দেশে এমন কান্ড ঘটে সেদেশে সরকার বদলের দরকার আছে বলে মনে করি না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




