
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?
* মহাজগতের শুরুতে শক্তি সমূহ ওতপ্রতভাবে মিশে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হলেন এবং তখন বস্তু সমূহ ওতপ্রতভাবে মিশে ছিলো।তখন সর্বশক্তিমান বস্তু সমূহকে আসমান ও জমিনে আলাদা করে দিলেন।তারপর তিনি বিদ্যমাণ পানি থেকে প্রাণবান সকল কিছু সৃষ্টি করলেন।
বস্তু সমূহ ওতপ্রতভাবে মিশে থাকায় তাদের আলাদা অস্ত্বিত্ব ছিলো না।সর্বশক্তিমান তাদেরকে আলাদা করে আলাদা অস্তিত্ব প্রদান করায় তিনি তাদের সৃষ্টিকর্তা হলেন। তিনি পানিকে আলাদা অস্তিত্বে এনে পানি থেকে সকল প্রাণী সৃষ্টি করলেন।
বস্তু সমূহ ওতপ্রতভাবে মিশার কারণ বস্তু নিকটস্থ্য বস্তুর দিকে ধাবিত হয়। নিকটস্থ্য বস্তুর দিকে ধাবিত হতে হতে সকল বস্তু ওতপ্রতভাবে একত্রিত হয়ে গিয়েছিলো। তারপর সর্বশক্তিমান তাঁর শক্তির প্রভাবে সকল বস্তুর আলাদা অস্তিত্ব প্রদান করলেন। বস্তুর দেহ আছে তাই তারা একত্রে মিশে ওতপ্রতভাবে জড়িয়েগেল। কিন্তু দেহহীন শক্তি কিভাবে ওতপ্রতভাবে মিশে গেল?
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* শক্তির গতি বেশী থাকায় পদার্থের আগে শক্তির যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে শক্তিপেল এক অসীম শূণ্য স্থান। দেহহীন শক্তি সেই অসীম শূণ্যস্থানে বিলিন হয়ে ওতপ্রতভাবে মিশে অসীম সর্বশক্তিমান। তারপর তিনি বস্তু সমূহের ওতপ্রতভাবে মিশা অবস্থা দেখলেন।
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* ওতপ্রতভাবে মিশে থাকা বস্তু সমূহ সর্বশক্তিমান আল্লাহর সমতুল্য হতে পারেনি কারণ তাদের প্রাণ ছিলো না। কিন্তু সর্বশক্তিমান জীবন্ত ছিলেন। সেজন্য তিনি ছিলেন যোগ্যতম। যোগ্যতমের জয় হিসাবে তিনি হয়ে গেলেন বস্তু সমূহের মালিক। মালিকানা সত্ত্বে সর্বশক্তিমান বস্তুতে শক্তির প্রয়োগে মহাজগৎ সাজিয়ে তুললেন এবং এর নিয়ন্ত্রণ দায়িত্ব পালন করছেন। এখন মহাজগতে তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছুই হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




