আওয়ামী লীগ তাদের অনেক নেতাকে মনোনয়ন দিতে পারেনি তাদের মধ্যে যাদের জনসমর্থন ভালো আছে তাদেরকে দিয়ে একটা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্যজোট গঠন করে তারা একটা জমজমাট নির্বাচন উপহার দিতে পারে। যারা নির্বাচনে আসেনি তাদের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না আসলে নির্বাচনে ভোটর উপস্থিতি কম হবে। আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন পায়নি তাদের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না আসলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরো কম হবে। তারচে আওয়ামী লীগ যদি তাদের মনোনয়ন বঞ্চিত শক্তিশালী প্রার্থীদেরকে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী র্ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেয় তাহলে নির্বাচনে তুলনা মূলক ভোটার উপস্থিতি বেশী হতে পারে। এতে যদি তাদের অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে যায় তাহলে তারা জাতীয় সংসদে একটা বিরোধী দল পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ৩০০ জন যদি নির্বাচনে জিতে যায় তাহলে জাতীয় সংসদে কোন বিরোধী দল থাকবে না।
বর্তমান অবস্থায় আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী কি ভোটে হারতে চাইবে? এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী জিতার আশা করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের আরেক সেট প্রার্থী থাকলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হওয়ায় জাতীয় পার্টির কিছু লোক হয়ত জিতে আসবে। তাতেও আওয়ামী লীগ একটা বিরোধী দল পেতে পারে। বিরোধী দল যদি একেবারেই না থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ কেমন হয়? ঘটনা যদি এমন হয় যে আওয়ামী লীগের তিনশত জনই জিতে যায় তাহলে ঘটনা কেমন হবে। তখন জাতীয় সংসদ হবে আওয়ামী রীগের একটা আড্ডা ক্লাব।
বিরোধীদলের অবোরোধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন কিছুতেই থামাতে পারছে না। সুতরাং ধরে নিচ্ছি নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে নির্বাচনে আসলে কি হতে যাচ্ছে? আওয়ামী লীগের কোন অভাগা কি সে নির্বাচনে হারবে? তলে তলে কি ঠিক হয়েছে কে জানে? এ দেশে এখন রাজনীতি জনগণের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এক বুক আশা নিয়ে আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী হয়েছে তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। দেশের ও জনগণের যা হয় হোক এমপি হতে পারলে তাদের তো ভলো হবে। কামিনী রায়ের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই। পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন-মন সকলি দাও, তারমত সুখ কোথাও কি আছে, আপনার কথা ভুলিয়া যাও। আমাদের জনগণ এখন নিজেদের কথা ভুলে আওয়ামী লীগের মঙ্গল চিন্তায় বিভোর। কারণ আর যাই হোক বিএনপি-জামায়াত তো ঠেঁকানো গেল। সেটাইবা কম পাওয়া কিসে? জনগণ মূলত তাতেই খুশী।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪