somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাদিস ও সুন্নাহ কি? (পোষ্টটি শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরা: ৭৭ মুরসালাত, ৫০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫০। সুতরাং তারা কোরআনের পরিবর্তে আর কোন হাদিসে বিশ্বাস স্থাপন করবে?

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী সত্যবাদী?

সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।

* আল্লাহর বিবেচনায় হাদিস হলো কোরআন।

হাকেম, ৩১৯ নং হাদিসের অনুবাদ-
৩১৯। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা অবলম্বন করলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। তা’ হলো আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ। হওয আমার নিকট অবতরন না করা পর্যন্ত তা’বিচ্ছিন্ন হবে না।

হাকেম, ৩১৮ নং হাদিসের অনুবাদ-
৩১৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। বিদায়ী হজ্জে আল্লাহর রাসূল (সা.) লোকদের মাঝে খোতবা দিলেন। তাতে তিনি বললেন, শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়ে গেছে যে তোমাদের এ মাটিতে তার উপাসনা হবে। কিন্তু এতদ্বতীত তোমরা যে সমস্ত কর্ম সমূহকে অবজ্ঞা কর, তাতে তার আনুগত্য করা হবে। এ নিয়ে সে সন্তুষ্ট। সুতরাং তোমরা সতর্ক থেকো। অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি যদি তা’ দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাক তবে কখনই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা’ হলো আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবির সুন্নাহ।

* কোরআন ছাড়া মহানবির (সা.) থেকে আমরা আর যা পেয়েছি সেটাকে তিনি সুন্নাহ বলেছেন।

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।

সূরাঃ ২৮ কাসাস, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। আমরা মুসার মায়ের নিকট ওহী পাঠালাম তাকে দুধপান করাতে। যখন তুমি তার বিষয়ে কোন আশংকা করবে তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে। আর ভয় করবে না ও দুঃখ করবে না।আমি অবশ্যই তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দেব।আর তাকে রাসুলদের একজন করব।

* পুরুষের নিকট যেমন ওহী পাঠানো হয়েছে রাসূলের (সা.) নিকট সেরকম পাঠানো ওহী হলো কোরআন এবং মুসার মায়ের (আ.) নিকট যেমন ওহী পাঠানো হয়েছে রাসূলের (সা.) নিকট সেকরম পাঠানো ওহী হলো তাঁর সুন্নাহ। সুন্নাহ মূলত কোরআনের বিবরণ। সুতরাং যে সুন্নাহের কোরআনের সাথে মিল নেই তা’ সুন্নাহ নয়। এমন কিছুকে সুন্নাহ নাম দিয়ে লোকেরা নবির (সা.) নামে মিথ্যা প্রচার করছে।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

* কোনটা সুন্নাহ সেটা বলার দায়্ত্বি আহলে যিকরের। যিকর কি? কারা আহলে যিকর?

সূরাঃ ১৫ হিজর, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯। নিশ্চয়ই আমরা যিকর নাযিল করেছি। আর আমরা উহার হেফাজতকারী।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যিকর হলো কোরআন। এটা যাঁদের মাঝে নাযিল হয়েছে তাঁদের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। তাঁদের আমলে যে সুন্নাহ পাওয়া যাবে সেটা হলো সহিহ সুন্নাহ। কোরআন যাঁদের মাঝে নাযিল হয়েছে তাঁদের পর আহলে যিকর কারা?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকরের আমলে যে সুন্নাহ থাকবে সেটাও সহিহ সুন্নাহ।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।

সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।

মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।

* যারা সুন্নাহ সংকলন তৈরী করেছে তাদের উক্ত সংকলনে আমিরের অনুমোদন গ্রহণ করা জরূরী ছিলো।কিন্তু আমির অনুমোদীত সুন্নাহ সংকলন বিদ্যমাণ নেই। সুতরাং সেই সব সুন্নাহ সংকলনে যা সংকলিত আছে তারমধ্যে যে গুলো আহলে যিকরের আমলে নেই তা’ সুন্নাহ হিসাবে ইসলামে স্বীকৃত হবে না।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলও ইসলামে সহিহ সাব্যস্ত। সুতরাং তাঁদের আমলে থাকা সুন্নাহও সহিহ সাব্যস্ত হবে। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল মানে অধিকাংশ আলেম নয়। আলেমগণ তিহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছেন। যদি তাঁদের সর্ববৃহৎ দল ২০% আলেম হয় এবং বাহাত্তর দলের আলেম ৮০% আলেম হয়। তবে ২০% এর মত গৃহিত হবে ৮০% এর সম্মিলিত মত গৃহিত হবে না। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল হানাফী এবং তারা সংখ্যা গরিষ্ঠ আলেমের দলও। তারমানে অধিকাংশ আলেমও হানাফী। সুতরাং হানাফী আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের আমলে থাকা সুন্নাহ সহিহ সুন্নাহ হিসাবে সাব্যস্ত হবে। এমন সুন্নাহকে কোন লোকের সহিহ নয় বলার সুযোগ নাই।

# বোখারী (র.) গংদেরকে অনেকে সহিহ মনে করে। তবে তাঁদের সহিহ হওয়ার কোন প্রমাণ কোরআন ও সুন্নাহে নেই। সুতরাং বোখারী গং কোন কথাকে সহিহ বলেছে এবং কোন কথাকে সহিহ নয় বলেছে সেটা ইসলামে বিবেচ্য হবে না।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

* আল্লাহ বিভিন্ন পথের অনুসরন করতে স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন। অথচ বোখারী (র.) গং তাদের কিতাবের মাধ্যমে বিভিন্ন পথ দেখিয়েছেন।তাহলে এগুলো আর সহিহ হয় কেমন করে?

# বোখারী

* আছরের নামাজের পর নামাজ পড়া

সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।

সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# মুসলিম

* জুমুয়ার নামাজের পরের নামাজ

সহিহ মুসলিম, ১৯০৮ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯০৮। হযরত আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুম’আর নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার পরে চার রাক’আত নামাজ আদায় করে।

সহিহ মুসলিম, ১৯১৭ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯১৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত।নবি করিম (সা.) জুম’আর পর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# আবুদাউদ

* নামাজির সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করা

সহিহ আবুদাউদ, ৭০৪ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭০৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সুতরা ছাড়া নামাজ পড়ে এবং তখন তার সামনে দিয়ে কুকুর, গাধা, শূকর, ইহুদী, অগ্নি উপাসক, এবং মহিলা যাতায়াত করলে তার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। অপর দিকে পাথর নিক্ষেপের সীমার বাইরে দিয়ে গমন করলে তাতে মুসল্লীর নামাজের কোন ক্ষতি হবে না।

সহিহ আবুদাউদ, ৭১৯ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭১৯। হযরত আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন কিছু নামাজের সামনে দিয়ে গমনের কারণে নামাজের কোন ক্ষতি হয় না, তবে তোমরা যথাসম্ভব এরূপ করতে বাধা দিবে। কেননা অতিক্রমকারী একটা শয়তান।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# ইবনে মাজাহ

* যোহরের নামাজ বিলম্বে পড়া

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৭৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট প্রচন্ড গরমের অভিযোগ পেশ করলাম। অথচ তিনি আমাদের আবেদন গ্রহণ করেননি।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৮১ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৮১। হযরত ইবনে ওমর (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা যোহরের নামাজ বিলম্বে আদায় করবে।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# নাসাঈ

* রফেউল ইয়াদাইন

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৫৮ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৫৮। হযরত ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি রাছুলুল্লাহর (সা.) পিছনে নামাজ আদায় করেছি। আমি তাঁকে দেখেছি তিনি হাত উঠাতেন যখন নামাজ আরম্ভ করতেন, আর যখন রুকু করতেন, এবং যখন ‘সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদাহ’ বলতেন। এরূপে কায়স উভয় কানের দিকে ইঙ্গিত করলেন।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৬১ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৬১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা.) ন্যায় নামাজ আদায় করব না? এরপর তিনি নামাজ আদায় করলেন, তখন তিনি একবারের অধিক হাত উঠাননি।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# তিরমিযী

* আজান ও ইকামতের বাক্য সংখ্যা

সহিহ তিরমিযী, ১৮৫ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৫। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলালকে (রা.) আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো এক একবার বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সহিহ তিরমিযী, ১৮৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় ছিল।

* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।

# হাদীসের কিতাব সমূহে এমন কোরআন পরিপন্থি বিভিন্ন পথ দেখানো হাদিস আছে হাজারে হাজারে। তাহলে এগুলো আর সহিহ হয় কেমন করে? সুতরাং এসব কিতাবের যা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের আমলে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সেগুলো সহিহ সাব্যস্ত হবে এবং অন্যগুলো সহিহ নয় সাব্যস্ত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×