একটা বালিকা দেখে একটু সুনাম করাতে সে গলে গেল
বল্লাম বাদাম খাবে? সে সম্মতি সুচক মাথা ঝুকালে দু’জনে
পার্কের বেঞ্চিতে বসে বাদাম খেলাম আয়েশ করে অনেকক্ষণ
চলে যাওয়ার সময় বললাম কাল আবার এসো। সে চলে এলো
যথা সময়ে দু’জনে আইসক্রিম খেলাম অনেক মজা করে।
জানাগেলো কেউ নেই মেয়েটির তাই পরগাছা হয়ে থাকে
মামার বাসায়।আমার সবাই থাকে বিদেশে। স্ত্রী নেই।
বড় বাসায় একা থাকি। বুড়ি এক বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যায়
ভাগ্য গুনে পাওয়া আর কি! তারপর পুরো সময় হাহা কার।
মেয়েটি খুব খায়। তার হাঁড়ের উপর মাংসের প্রলেপ লাগছে দিন দিন
ওর কাপড় চোপড় সব আমি কিনে দেই। তারপর সে যা চায় তাও
ওর মামার কোন আপত্তি নেই তাতে। বলে ওকে নিয়ে নিন।
আমি বললাম তাতে তো বিয়ে লাগবে। মামা বলেন, লাগলে লাগাবেন।
মেয়ে পক্ষের সর্ব সম্মতিতে বিয়ে হলো। আমি ওদের সবার পিছনে
টাকা ঢালতে থাকলাম। আর তখনি হলো বিপত্তি। ছেলে মেয়ে ও
তাদের স্বামী-স্ত্রীরা বলতে লাগলো। বুড়োটা রাগের মাথায় ওদের সব
শেষ করে ফেল্ল। অথচ এতদিন ওরা আমাকে একটা ফোন পর্যন্ত করেনি।
নতুন সংসারে আমার একটা ছেলে হলো। তাতে আমার ছেলে-মেয়ে ও
তাদের স্বামী-স্ত্রীদের রাগ আরো বেড়ে গেলো। এসব নিয়ে আমি এখন
আর ভাবি না। আমি দু:খি মেয়েটির খুব খেয়াল রাখি। তাতে তার ওজন বাড়ছে
সে দেখতে পরীর মত হয়ে গেছে। অনেক ছোকরাই এখন তাকে নিতে চায়।
আমি এবং তার ছেলেকে ছেড়ে সে কিছুতেই যাবে না। হাজার জন
হাজার কথা বলে। মেয়েটি তার কিছুই গায়ে মাখে না। সে বলে শত
অবহেলায় যে দিলো আদর সে হলো তার সব। বুড়ো বন্ধু বললেন
আমি শুনে গেলাম আর ভাবলাম জীবন এমনও হয় এমন উল্টো স্রোতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩