
গেছদাদা্ মনে করেন পিনাকি আসলে ‘র’ এর এজেন্ট। কারণ ‘র’ তাকে হত্যা করে নাই।শেখ হাসিনা ভারতে গেছিলেন সেখান থেকে শক্তি সঞ্চয় করে আবার ক্ষমতা দখল করার জন্য। কিন্তু তাঁর সে আশায় গুড়ে বালি। তিনি বলেছেন ভারতকে তিনি এমন দিয়েছেন যে তারা কোন দিন ভুলতে পারবে না। বড়দেরকে দান করে এভাবে খোঁটা দিতে হয় না এটা তিনি বুঝতে পারেননি।বড় তো দূর কি বাত ছোটরাও খোঁটা হজম করে না। দানের পর তাঁর ভাবসাবে ‘র’ বিরক্ত থাকায় হয়ত তারা তাঁর পতন চেয়েছে। আর বিএনপির সাথে ‘র’ এর হয়ত সমঝোতা হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও ভারতের প্রতি বাংলাদেশের দান অব্যাহত থাকবে। অবশেষে শেখ হাসিনা ট্রাম্পের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বাইডেনের সাথে শেখ হাসিনার সেলপি তোলার কথা হয়ত ট্রাম্প ভুলতে পারেননি।সেজন্য ট্রাম্প বাংলাদেশ মোদীর হাতে ছেড়ে দিলেন। আর মোদী যদি খোঁটার কারণে শেখ হাসিনার প্রতি বিরক্ত হয়ে থাকেন তবে শেখ হাসিনার টোকায় মোদী ডেপ ডেপ করবেন। ভালো করে বাজবেন না। সেই ডেপ ডেপ বাজার কারণে শেখ হাসিনা এখনো গেস্ট অব ইন্ডিয়া। এর চেয়ে বেশী তাঁর প্রাপ্য হয়নি। সুতরাং গেছদাদা গাছে বসে হিসাব করে যা বললেন তা’ একেবারে ফেলে দেওয়ার মত নয়।
পিনাকি ‘র’ এর এজেন্ট হয়ে থাকলে আওয়ামী লীগের কপালে শনি আছে। এদিকে ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, পরের সরকার আসলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো হবে। সেই সম্পর্ক যতকাল ভালো থাকবে সেই সরকার ততকাল ক্ষমতায় থাকবে ঘটনা এমন হলে সেই সরকার বহুকাল ক্ষমতায় থাকবে। আওয়ামী লীগের একটা তকমা দেওয়া হয়েছে ফ্যাসীবাদ। সেই দোষেই তাদেরকে সহজে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
বিএনপির ট্রাম্পকে ম্যানেজ করার বিষয়টাও দৃশ্যমাণ। এদিকে ক্ষমতার জন্য জামায়াতকে যথেষ্ট দৌড় ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। কিন্তু ম্যানেজের বিষয়ে তারা যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। সুতরাং এবারও তাদের ভাগ্যে ক্ষমতার সিঁকে হয়ত ছিড়বে না। নাহিদ গংদেরও একই দশা।ম্যানেজের বিষয়ে তারাও যথেষ্ট পিছিয়ে আছে।তারা হয়ত কয়টা সীট পেয়ে জাতীয় সংসদে খানিক চিল্লাপাল্লা করবে।ঘটনা এর চেয়ে বেশী দূর গড়াবে না। ছোট দেশগুলোর ক্ষমতায় যেতে ম্যানেজের বিষয়টা লাগে। পাকিস্তান যা চেয়েছে সেটা হয়ত হচ্ছে না। ভারত-আমেরিকা বলয় থেকে হয়ত বাংলাদেশ বের হতে পারছে না। তথাপি পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন যদি কিছু ব্যবসা পায় তবে সেটা সম্ভব হতে পারে। বাংলাদেশ পণ্য বিক্রির একটা বড় বাজার হিসাবে সবাই বাংলাদেশকে সমিহ করে। আর ভারত বাংলাদেশের পণ্য ক্রয়ের বড় বাজার হিসাবে বাংলাদেশ সহজে ভারতকে ঠেলে ফেলে দিতে পারবে না। কারণ ভারত থেকে পন্য আমদানীতে পরিবহন খরচ কম সেটা ছোট পাগলেও বুঝে। সুতরাং মুখস্ত ভারত বিরোধীতা কোন কাজের কিছু না। পণ্য ক্রয়ের বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত; শাসক গুষ্ঠি সেটা না বুঝলে তারা সফল শাসক হতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



