
সেকালের জাতীয় যুব দিবসে একটা গেঞ্জি উপহার পেয়েছি, যেটার পিঠে লেখা ছিল “দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গ বন্ধুর বাংলাদেশ”। গেঞ্জিটা গায়ে দিয়ে কম্পাউন্ডের ভিতরে ঘুরাঘুরি করছিলাম। আওয়ামী পরিবারের কলিগের এস এস সি পরিক্ষার্থীনী মেয়ে বলল, আংকেল এ গেঞ্জি পরে বাইরে বের হলে আপনাকে পিটিয়ে রাখবে না।অবশ্য সেই গেঞ্জি পরে আমি সাধারণত কম্পাউন্ডের বাইরে যাই না। ওটা কম্পাউন্ডের ভিতরেই পরে থাকি।
আওয়ামী লীগ উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে উঠিয়ে দেশের যুবদেরকে কিরকম দক্ষ করলো যে তারা তাদেরকে দেশ থেকেই তাড়িয়ে দিল? তারপর তারা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তাঁর বাড়ী খানাই থাকতে দিল না। চেংগিস খান তলোয়ার নিয়ে এসে বললেন, এরা পাকি প্রশিক্ষিত আমেরিকার ভাড়া করা যুব। তাহলে আওয়ামী লীগের তৈরী করা দক্ষ যুবরা সব গেল কই? তারা পাকি প্রশিক্ষিত আমেরিকার ভাড়া করা জঙ্গিদের সাথে পেরে উঠতে পারল না কেন? আসলে আওয়ামী লীগ যাদেরকে দক্ষ বলেছে তারা ছিল চরম অদক্ষ। তাদের চোখের সামনে দিয়ে আপাকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো আর তারা আপার জন্য কিছুই করতে পারলো না।উল্টা আপার সাথে তারাও পালিয়ে গেল।এখন আমার সাধের গেঞ্জি পরে বের হলে পিটুনি খাওয়ার দশা। দক্ষ যুবদের আজকাল জাতীয় শ্লোগান “জয় বাংলা” ভুলার অবস্থা। রবীন্দ্র নাথের ক্ষুধীত পাশান গল্পে পাগলা মেহের আলী বলতো- সব ঝুট হ্যায় তফাত যাও। আজকাল আওয়ামী লীগের পক্ষে রানুর বলা অনেক কথা আমার কেন যেন ঝুট মনে হয়।
রানুর বক্তব্য অনুযায়ী চেংগিসখান হলেন সেরা ব্লগার। তাঁর সেরা মন্তব্য ব্লগাররা ঠিক নিতে পারে না বিধায় তিনি কমান্ড ব্লকে আছেন। তাঁর তীব্র বিরোধীতার একখানা পোষ্টও ইতমধ্যে নজরে এলো। আসলে আমাদের অনুন্নত দেশে এসব উন্নত মন্তব্য অচল। আমরা এসবের মর্ম বুঝি না। অনুন্নত হওয়ার কারণে আমরা আমাদের কথাও জনাব চেংগিস খানকে বুঝাতে পারি না। এদিকে আওয়ামী লীগ বুঝাতে চায় তারা ধোয়া তুলসী পাতা। কিন্তু তারা জেনজির ভোট চোর। সেজন্য জেনজি তাদেরকে ধাওয়া দিয়েছে। তাদের সাথে জেনারেশন আলফাকেও যোগ হতে দেখেছি। তথাপি তারা আশা করছে তাদের সুদিন ফিরবে। মোদী-ট্রাম্প এর দিকে তাকাতে তাকাতে তাদের চোখ ঘোলা হয়ে আসছে। মডুর ভয়ে চেংগিস খান ইন্তিজার। চেংগিস একটা হায়না ছিল বলে শুনেছি।
জেনজি ও জেনারেশন আলফা একসাথে বিদ্যমান। আলফা যুব হয়ে উঠবে কিছুকালের মধ্যে। আমার তিন কন্যাই জেনজি। পিতা হিসাবে এদেরকে কোন কথা হজম করানো যায় না। এদের সাথে মেপে মেপে কথা বলতে হয়। সঠিক কথা বললে এরা গ্রহণ করে, সঠিক কথা না হলে এরা গ্রহণ করে না। চেংগিস খান এদেরকে অবমূল্যায়ন করছে বলে মনে হয়। এদেরকে অবমূল্যায়ন করলে চেংগিসকেও তাড়া খেতে হবে। তখন রানু চেংগিসের হাত ধরেও টেনে ধরে রাখতে পারবে না। জেনারেশন একাত্তর এখন অনেক দূরের বাদ্য। এখন জেনারেশন একাত্তরের সাথে জেনজি ও আলাফাকে যোগ করে ভাবতে হবে। জেনজি ও আলফা থেকে একাত্তর বিয়োগ করলেও অংকের হিসাব ভালো হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




