somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাসূলের (সা.) অনুসরন করতে তাঁর নামে প্রচারিত হাদিসের প্রয়োজন আছে কি?

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

* আল্লাহ রাসূলকে (সা.) মানতে বলেছেন। রাসূল (সা.) ওহীর বাইরে কোন কথা বলেননি। সেজন্য আল্লাহ তিনি এবং তাঁর আয়াতের বাইরে কোন হাদিসে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন।আল্লাহর আয়াতে কি আছে?

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

* আল্লাহর আয়াতে আছে তাঁর পথে ডাকতে হবে হিকমাত ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। ইবাদতের নিয়মের ক্ষেত্রে সেটি হলো ফিকাহ। কারণ আল্লাহ ফিকাহ দিয়ে ভয় দেখাতে ও সাবধান হতে বলেছেন। সুতরাং রাসূলের (সা.) অনুসরন হবে ফিকাহের মাধ্যমে, তাঁর অনুসরন তাঁর নামে প্রচারিত হাদিসের মাধ্যমে হবে না। কারণ কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকলেও আল্লাহর সুন্নাত ফিকায় কোন মানসুখ নাই। সেজন্য এতে কোন পরিবর্তন ও ব্যাতিক্রম নাই। রাসূলকে (সা.) আল্লাহর সুন্নাত প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের সুন্নাত প্রতিষ্ঠিত করা তাঁর দায়িত্ব নয়।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।

* ফিকাহ সংকলন না করে আমির কর্তৃক তা’ অনুমোদন না করায় সাহাবা ও তাবেঈগণ নিজেদের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার মহাফিতনায় আক্রান্ত হন। তাতে তাবেঈ দাবীদার শিয়া খোলফায়ে রাশেদার তৃতীয় খলিফাকে শহীদ করে। তাঁর শহীদ হওয়ার পর চতুর্থ খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করের দুই দল সাহাবা (রা.)। একদল সাহাবা(রা.) তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকেন। অবশেষে তাবেঈ দাবিদার খারেজীরা তাঁকে শহীদ করে।একজন সাহাবাকে (রা.) শহীদ করে মক্কার রাজপথে তাঁর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। কারবালায় তাবেঈ দাবীদার একদল লোক জান্নাতের যুব নেতা ইমাম হোসেনের (রা.) মাথাকেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। তাতে আবার সে আনন্দ প্রকাশ করে।জান্নাতের যুব নেতার কাটা মাথা দেখে যে আনন্দ প্রকাশ করে সে নাকি আবার খলিফা। কি অদ্ভুত বিষয় এটা!

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

সহিহ আল বোখারী, ২৪৬২ নং হাদিসের (শাহাদাত অধ্যায়) অনুবাদ-
২৪৬২। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, আমার যুগের লোক তোমাদের মধ্যে উত্তম। এরপর এ যুগের পরবর্তী যুগের লোকেরা। এরপর এ যুগের পরবর্তী যুগের লোকেরা। এমরান (রা.) বলেন, জানি না নবি করিম (সা.) দুটি যুগ কি তিনটি যুগের কথা বলার পর পরবর্তী কথা উল্লেখ করেছেন। নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পরের মানব গোষ্ঠী হবে, যারা খেয়ানত করবে।তাদের মধ্যে আমানতদারী থাকবে না। তারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের সাক্ষ্য চাওয়া হবে না, বা মানত করবে কিন্তু তা’ পূরণ করবে না। আর তাদের মধ্যে মেদবহুল লোক দেখা যাবে।

সহিহ আল বোখারী, ২৪৬৩ নং হাদিসের (শাহাদাত অধ্যায়) অনুবাদ-
২৪৬৩।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.)বলেছেন, আমার যুগের লোক উত্তম লোক।অতঃপর এমন লোক হবে, যারা কসমের পূর্বে সাক্ষ্য দেবে এবং সাক্ষ্যের পূর্বে কসম করবে। ইব্রাহীম (নখয়ী) বলেছেন, সাক্ষ ও শপথ একসাথে করলে আমাদেরকে প্রহার করা হত।

* ফিকাহ সংকলন না করে আমির কর্তৃক তা’ অনুমোদন না করায় ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। সেজন্য তথাকতিথ খলিফা জান্নাতের যুব নেতার কাটা মাথা দেখে আনন্দ প্রকাশ করে। অবশেষে আল্লাহ নিজেই ফিকাহ সংকলনের ব্যবস্থা করলেন। তিনি পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (র.) একশত বার দিদার প্রদান করলেন। আর সেই পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (র.) পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে।তারপর সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফা (র.) সংকলিত ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য সেই ফিকাহের সাথে বেয়াদবী করায় আল্লাহ তাদেরকে ইহুদী কর্তৃক লাঞ্চিত করছেন।অবশেষে ইহুদী হানাফী ফিকাহের অনুসারীদের নিকট পরাজিত হবে। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে বিশ্বাসঘাতক লোকেরা হানাফী ফিকাহ থেকে লোকদেরকে সরাতে বিবিধ হাদিস সংকলন করে। হানাফী ফিকাহের বিপরীতে কয়েকটি ফিকাহ সংকলনও তৈরী করা হয়, যা কোন আমির অনুমোদন করেননি। তথাপি লোকেরা অহেতুক সেই সব ফিকাহের অনুসারী হয়ে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। লোকেরা বলে অমুক বলেছেন এ হাদিস সহিহ। আমি বলি সেই অমুককে কে সহিহ বলেছে। তিনি তো বিশ্বাস ঘাতক। আমি অনুমোদীত ফিকাহ থেকে লোকদের দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে তিনি আমিরের অনুমোদন বিহীন হাদিস সংকলন প্রচার করেছেন। এদের অকাজে সময় আল্লাহ আমি র রেখেছেন যেন তাদেরকে পরকালে তাদের বিশ্বাস ঘতকতার শাস্তি দেওয়া যায়।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

* রাহমান নিজেই কোরআনের শিক্ষক। ইমাম আবু হানিফাকে (র.) রহমান দিদার প্রদান করে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং তিনি আলেম। যাদের মুয়াল্লিম (শিক্ষক) আল্লাহ নন তারা আলেম নয়, তারা হলো ত্বলেবে এলেম।ত্বলেবে এলেম আলেমের বিরোধীতা করলে সেঠা সঠিক কাজ হয় না। কিন্তু আমিরের আলেমের বিরোধীতার সুযোগ আছে। সুতরাং আমির অনুমোদীত ফিকাহ হলো সঠিক ফিকাহ। যা আমির অনুমোদীত নয় সেটাকে ফিকাহ বলা হলেও মূলত সেসব ফিকাহ নয়। আমির অনুমোদীত ফিকাহের পরিবর্তে উপস্থাপিত কোন হাদিসে বিশ্বাস করতে আল্লাহ সরাসরি নিষেধ করেছেন। সুতরাং আমির অনুমোদীত ফিকাহের বাইরে অন্য নিয়মে ইবাদত করলে তা আল্লাহর দরবারে গৃহিত হবে না। আমির অনুমোদীত ফিকাহের পূর্বে ফিকাহ না মানা অপারগতা। সেটা আল্লাহ ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমির অনুমোদীত ফিকাহ প্রকাশ পাওয়ার পর তা’ না মানলে ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার কোন সুযোগ নাই।যিনি বলেন হাদিস ছাড়া ইবাদত করা যায় না, তিনি কি কোরআনকে হাদিসের মুখাপেক্ষি মনে করেন? আল্লাহ কি তবে তাঁর রাসূলের (সা.) মুখাপেক্ষি? তাঁরা তো অন্যদের ঈমান না থাকার কথা বলেন, কিন্তু তাঁদের ঈমান কতটুকু আছে? সাহাবা (রা.) হলেন রাসূলের (সা.) অনুসারী। সাহাবার (রা.) অনুসারী হলেন তাবেঈ। যেমন ইমাম আবু হানিফা (র.)। তাবেঈ এর অনুসারী তাবে তাবেঈ যেমন ইমাম আবু ইউসুফ (র.)। তাবে তাবেঈর অনুসারী হলেন ওলামা। ওলামার অনুসারী সাধারণ মুসলিম। ওলামার সঠিকতার কথাও আয়াতে আছে। তাহলে হাদিসের কি প্রয়োজন? সঠিক ওলামার অনুসরনে কি সব ইবাদত করা যায় না? তাহলে পরস্পর বিপরীত কথার হাদিস মেনে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির কি দরকার? ওলামা যে হাদিস মানে আপনি সেটা মানুন। মলাটবদ্ধ বিভেদসৃষ্টিকারী হাদিস বাদ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×