somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখী ভাবনা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা সবাই চাই সুখী হতে। সুখী হওয়ার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন আমরা জানিইনা সুখের ডেফিনেশন কি অথবা কীভাবে সুখী হওয়া যায়? না জানা সত্বেও আমরা সারাজীবন সুখের পিছনে দৌড়ে বেড়াই কিন্তু সুখের নাগাল কোনদিনও পাইনা। কাউকে যদি প্রশ্ন করি কে বেশী সুখী? কেউ বলবে যার অনেক টাকা, দামী বাড়ি, গাড়ী আছে, কেউ বলবে যার অনেক ক্ষমতা আছে, আবার অনেকে বলবে যারা বড় পদে চাকরি করে তারাই সুখী। উপরে যাদেরকে সুখী মনে করা হচ্ছে তাদেরকে প্রশ্ন করে দেখবেন উনারা কেউ বলবেনা যে উনারা সুখী। মোটকথা আমরা কেউ আমাদের নিজেদের অবস্থানে সন্তুষ্ট থাকতে পারিনা। তাই আমরা কখনো সুখীও হতে পারিনা। আমরা সবসময় আমাদের চেয়ে উপরতলার মানুষদের আমাদের চেয়ে বেশী সুখী মনে করি কিন্তু কখনো আমাদের নিচতলার দিকে তাকাইনা। ব্যবসায়ীরা মনে করেন চাকরিজীবীরা কত সুখী। তারা মাস পেরোলেই টাকা পায় আবার চাকরিজীবীরা মনে করে ব্যবসায়ীরা কত সুখী। তাদের কারো অধীনে চলতে হয়না। আমাদের দেশে ডাক্তারদের অনেক সুখী মনে করা হয়। ফেনী শহরের এক বড় ডাক্তারের সাথে কথা হয়েছিল যার রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। আলোচনার এক পর্যায়ে বললাম স্যার আপনিতো অনেক সুখী।কত রোগী, কত টাকা! উনি আমাকে বললেন বাবারে বাইরে থেকে আমাকে দেখে সবাই এরকম ভাবে কিন্তু আমার এটা একটা জীবন হলো? ২৪ ঘন্টাই কাজ। এত টাকা দিয়ে কি হবে? পরিবারকে কোন সময় দিতে পারিনা, তাদের সাথে ঘুরতে পারিনা। এর চেয়ে যদি শিক্ষক হতাম কত ভালো হত। একজন শিক্ষককে প্রশ্ন করেন আপনি কি সুখী? শিক্ষক বলবে আমাদের কি সুখ কপালে আছে? আমাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা কত কম! আমাদের চেয়ে ব্যাংকাররা কতোই সুখে আছে। ব্যাংকারদের প্রশ্ন করলে বলবে ভাই আমরা কিছু পরিমাণ আর্থিক সুবিধা অন্যদের চেয়ে বেশী পেলেও আমাদের যে মানসিক পরিশ্রম করতে হয় তাতে কি আমাদের সুখী বলা যায়? আমাদের চেয়ে পুলিশ বিভাগের লোকেরা বেশী সুখে আছে। পুলিশ ভাইদের একই প্রশ্ন করলে উত্তরে বলবে ভাইরে আমাদের যে কি পরিমান শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রম করতে হয় তা হিসেব করলে সুখের স টাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ঈদের দিনও ডিউটি করতে হয় এর চেয়ে বড় বেদনা আর কি আছে? যে বিদেশে আছে সে ভাবে আহা দেশে থেকে আলু ভর্তা আর কাচা মরিচ দিয়ে যদি ভাত খাইতাম তাও সুখী হইতাম। আর যিনি দেশে আছেন তিনি বলছেন শালার দেশে থেকে জীবনটাই বরবাদ করলাম এর চেয়ে বিদেশে গেলে অনেক সুখে থাকতে পারতাম। তাহলে বোঝা গেলো কেউ আসলে আমরা নিজের পজিসনে সুখী নই। সুখ হচ্ছে একটি বিমূর্ত বিষয়। সুখ আপনার মানসিকতার উপর নির্ভর করে।আপনি যদি মনে করেন আপনি সুখী তাহলে আপনি সত্যি সুখী। তাই সুখী যদি হতে চান সবসময় অল্পে তুষ্ট থাকুন। উপরতলার দিকে না তাকিয়ে আপনার নিচতলার দিকে তাকান। তাহলেই বুঝতে পারবেন যে আসলে আপনি কতো সুখে আছেন। আর উপরতলার দিকে আপনি যত তাকাবেন এবং সে বিষয়ে যত চিন্তা করবেন আপনি ততো বেশী অসুখী হবেন কারন উপরতলার কোন শেষ নেই। আপনি যত উপরতলায় যাবেন তার আরো উপরতলা আছে এবং মরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনার উপরের আকাঙ্খা প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে। পরিণামে সুখের যে মিষ্টি স্বাধ আছে তা আপনি কোনদিন ভোগ করতে পারবেন না। তাহলে আর দেরী কেন এক্ষুণি আপনি আপনার নিচের অবস্থানে যারা আছে তাদের কথা চিন্তা করে আল্লাহর কাছে শোকর করুন যে আল্লাহ আপনাকে অন্যদের চেয়ে কত সুখে রেখেছেন।
====0====
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×