শেওলার ডোয়া লেপে বিকেলের বৃষ্টির কাছে সময় চেয়ে নিই- আরেকটু সবুর করো, আরো কিছুপর বৈঠকখানার মেজবানিতে কলাপাতায় শাদা শিন্নি আর বাতাসা খাওয়াবো বলে। আমাদের উলঙ্গ আর হাভাতে শিশুরা শীর্ণ শরীরে হাওয়ায় ভর করে দৌড়ে এসে ভিড় করে চিকন চৌহদ্দির সরুপেড়ে কুঁড়েঘরের দাওয়াখানায়। কী আনন্দ ওদের!
একদিন মরা সূর্যের নিষ্প্রভ হাসি দেখে কেঁদেছিলে। গাঁয়ের ছেলেরা ভুলে গিয়েছিল ঘুড়ি উড়ানোর কথা, আর নবীন জোয়ারে ভেসে বেড়ানোর খেলা। অদ্ভুত ইতিহাস ফুঁড়ে এক বিস্ময়বালকের গান তুলে দিলে দেবশিশুদের মুখে। ওরা গেয়ে উঠলো, তুমি আবারও কেঁদেছিলে।
তোমার জন্য প্রতীক্ষায় থাকা হয় না আর; মনে নেই কখন ভুলে গেছি, কীভাবে। প্রতি বৈশাখে ডোয়া লেপি, তকতকে বিছানা পাতি নতুন মেঝেতে; শিন্নি আর ন্যাংটো শিশুদের উল্লাসে আমার আঙিনা হয়ে ওঠে বেহেশতি সরাইখানা। অদৃশ্যে তোমার গান বাজে অপূর্ব মল্লারে। তোমার জন্য প্রতীক্ষায় থেকে কী লাভ?
তোমার জন্য অপেক্ষা - একটা মৃত সরোবর।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯