somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পকণিকা - শাস্তি

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটার বয়স আর কতই বা হবে- ১৩ বা ১৪, বড় জোর ১৫ বছর। বেশিও হতে পারে- ১৭, ১৮, ১৯। গাঁয়ের কোন মেয়ে কখন জন্ম নিল, কীভাবে বড় হয়ে গেলো, তারপর একদিন বিয়ে- এখন কি আর এসবের খোঁজ রাখা সাজে! সেই যে একটা সময় ছিল- তরুণ কালে, বাড়ন্ত যৌবনে। ভাবতে ভাবতে মহব্বত মিয়া পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকায়, ডান হাত উঠিয়ে চোখে ছায়া দেয়। দিন পড়ে যাচ্ছে।
‘ও চাচা, কী করো?’
মহব্বত মিয়া সম্বিৎ ফিরে পায়। ‘পেয়ারা খাইবা?’ বলেই হনুফা সদ্য গাছ থেকে পাড়া একটা টসটসে পেয়ারা মহব্বত মিয়ার হাতে তুলে দেয়। মহব্বত মিয়া পেয়ারা হাতে নিয়ে ফুঁ দিয়ে পরিষ্কার করে, তারপর দাঁত বসিয়ে ঘচসঘচ করে পেয়ারা খেতে থাকে।
‘খুব মিডা না?’ বলে হনুফা খুব মিষ্টি করে হাসে।
‘হ। জব্বর মিডা রে!’
‘তয় নেও, আরো একটা খাও।’ বলেই আরেকটা পেয়ারা মহব্বত মিয়ার হাতে গুঁজে দেয় সে। মহব্বত মিয়া পেয়ারা নেয়ার সময় এক ঝলক হনুফার বুকের দিকে তাকায়। হলুদ রঙের শাড়ির নীচে লাল ব্লাউজের ‘ভি’ থেকে খুব ধীরে ধীরে সে আরো গভীরে ঢুকে পড়ে। আস্তে আস্তে নেমে আসে নাভি বরাবর। কী সুন্দর একটা গর্ত!
‘ছিঃ। ঐবাবে তাকাই আছাও ক্যা?’ একটা ঝামটা দিয়ে হনুফা চলে যেতে থাকে। মহব্বত মিয়ার ধ্যান ভঙ্গ হয়। যেতে যেতে হনুফার কোমর দুলছিল। কোমরের দু পাশে ধবল মাংসল চামড়ার দিকে একধ্যানে তাকিয়ে থাকে মহব্বত মিয়া। যতবার হনুফাকে দেখেছে, ততবারই পেটিকোটের দাগ বরাবর সরু কোমরের সাদা অংশটুকু মাখনের মত লোভনীয় হয়ে উঠেছে। তার শুধু চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে।

....

‘হনুফা। ও হনুফা।’ রাত গভীর হলে হনুফার খুপরির দরজায় আস্তে ঠেলা দিয়ে ফিস ফিস করে ডাকতে থাকে মহব্বত মিয়া।
‘কে?’ হনুফা জবাব দেয়। হনুফা কি রাতে ঘুমায় না? নাকি অল্প শব্দেই ওর ঘুম ভেঙে যায়?
‘আমি। আমি মহব্বত মিয়া। ঝাপটা একটু খোল।’ মহব্বত মিয়া নিচু স্বরে বলে।
হনুফা ঝাপ খুলে দেয়। ‘এত রাইত্রে আবার কী অইল তোমার?’
‘তোরে একটু দ্যাকপার মন চাইল। ভিতরে আহি?’
হনুফা খিল খিল করে হেসে ওঠে। ‘ভিতরে আইফা? আহো।’
ঘরে ঢুকে মহব্বত মিয়া হনুফার কাছ ঘেঁষে শোয়। আস্তে আস্তে তার বুকের আঁচল সরিয়ে ব্লাউজের বোতাম খোলে। ঝুঁকে পড়ে স্তনের বোঁটায় ঠোঁট রাখতেই অলৌকিক ঘটনাটা ঘটে গেলো। ‘ওয়াআ ওয়াআ’ স্নিগ্ধ কান্নায় হনুফার ঘর ভরে যেতে থাকে।

পরদিন সকালবেলা গাঁয়ের মানুষ দেখলো, মা-হারা আধা-পাগলা হনুফা একটা সদ্যোজাত শিশু কোলে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লোকজন অবাক হয়ে বলছে, ‘ও হনু, তর তো বিয়া অয় নাই, বাচ্চা পাইলি কই?’ হনুফা সুন্দর করে হাসে আর বলে, ‘আল্লায় দিছে।’

ঐ রাতের পর গ্রামবাসীরা আর কোনোদিনই মহব্বত মিয়াকে দেখতে পায় নি।

২৪ জুলাই ২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৭
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×