somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২-এর ফিক্সার তৈরি ও ড্র এবং খেলাধুলাপ্রিয় বাঙালিদের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ পোস্টটা পাবলিশ করার দরকার ছিল বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার আগে। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উন্মাদনা আর গানের ডামাডোল নিয়া এতই উন্মত্ত ছিলাম যে, এ পোস্ট লিখতে লিখতে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুই হইয়া গেল। তবে, বিষয়টা খুবই ইন্টারেস্টিং এবং সার্বজনীন, যে-কোনো সময়ই এটা আগ্রহ সৃষ্টি করবে, আপনারাও পড়ে মজা পাবেন।

এ পোস্ট পড়ার আগে-পরে ফুটবল সংক্রান্ত আমার নীচের পোস্টগুলোও পড়ে দেখতে পারেন :

১। বিশ্বকাপ ফুটবল-২০১৪-এর ড্র ও ফিকশ্চার যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল

২। বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪-এর প্রেডিকশন - একটি মজার খেলা এবং প্রিয়দলকে ভালোবাসা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

৩। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বাদ পড়ে যাক। নতুন নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে চাই

যে-কোনো টুর্নামেন্টের ড্র ও ফিক্সশ্চার তৈরি একটা অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং কিন্তু জটিল বিষয়। একটা নিখুঁত ড্র সম্পন্ন করতে চাইলে এর পদ্ধতিটা জেনে নেয়া ভালো।

যে কোনো টুর্নামেন্টের ড্র ও ফিকশ্চার তৈরি করে আমি প্রচুর আনন্দ পেয়ে থাকি। আগের দিনে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ড্র-এর আগে নিছক মজা ও আনন্দ করার উদ্দেশ্যে আমি আমার নিজস্ব ড্র করে ২৪ বা ৩২ টিমের গ্রুপিং তৈরি করতাম। ফাইনাল ড্র-এর সাথে মিল-অমিলের তালিকা বানিয়েও অনেক মজা পেতাম যদিও এ তালিকা মূল তালিকার সাথে জীবনেও মিলবে না। মিলে যাবার সম্ভাব্যতা কত তা অঙ্ক কষে বের করতে গেলে এখন আমার ব্রেইনে আগুন ধরে যাবে। ম্যাভেরিক বা আরইউ বা সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়েরা এ হিসাব করে দেখতে পারেন। তবে, ৩২ টিমের লটারির কতগুলো অপশন হতে পারে, তা আমি অনলাইন ক্যালকুলেশন চেপে বের করলাম, যা হবে মিনিমাম 32!=2.6313084e+35. এ সংখ্যাটা কত? দেখি, কবি শায়মাবীন্দ্রনাথ অপ্‌সরা বলতে পারেন কিনা। আমি পারছি না :) পারমুটেশন-কম্বিনেশনের অঙ্ক আর কী :)

মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। বর্তমান কালে, বা আগের দিনের ফুটবলেরও, বিশ্বকাপের ড্র ও ফিকশচার কীভাবে করা হয়, তা জানার আগ্রহ যাদের আছে, তারা এ পোস্টে ঢুকুন। যারা অংকে ভালো, খেলাধূলা বোঝেন ও পছন্দ করেন, তারাও এ পোস্ট ভালো বুঝবেন। ঢুকে পড়ুন। অংকে যাদের ভয়, তারা ভিতরে না ঢুকে বাদাম খান, খামাখা মাথা হ্যাং কইরেন না।

গোটা পাঁচেক ফুটবল, হকি ও ভলিবল টুর্নামেন্টের ড্র পরিচালনা ও খেলা আয়োজনের অভিজ্ঞতা. আমার ঝুলিতে জমা রয়েছে, যেখানে ২২ থেকে ২৯টা দলকে ৬ থেকে ৮টা দলে ভাগ করে গ্রুপিং করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি যেমন গর্ব করি, খানিকটা অহংকারও করি মাঝে মাঝে :) ড্র শুরু করার আগে আমি ক্লিয়ার টার্মস অ্যান্ড ভয়েসে বলে নিতাম, আমি লটারি বা ড্র-এর কনসেপ্ট অনেক ভালো বুঝি। আমি শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে ড্র করবো, দয়া কইরা কেউ ভেজাল কইরেন না। আর কেউ যদি মনে করেন, শুধু আপনি না, বাংলাদেশে আমার চাইতে কেউ অনেক ভালো বোঝেন ড্র, আমার সামনে/পাশে এসে বসেন, দয়া করিয়া আমাকে হেল্পান। তো, থ্রেট খাইয়া আর সামনে আগাইবার সাহস পাইত না কেউ। ড্র-এর কনসেপ্ট বুঝলে ড্র করা সহজ, ড্র-এর ভুলটাও সহজে বুঝে ফেলা সহজ। ২০০০ সালে কোনো এক টুর্নামেন্টে এক অর্গানাইজিং বডি ড্র-তে বিরাট একটা কারচুপি করে তার দুর্বল দলটা যাতে সহজেই ফাইনালে যেতে পারে, আর আমার শিরোপাপ্রত্যাশী শক্তিশালী ভলিবল দল যাতে শিরোপাধারী দলের সাথে সেমিফাইনালে মুখোমুখী হয়, এমন দুরভিসন্ধিমূলক একটা ফিকশচার আগেই বানিয়ে রাখে। ওটা দেখামাত্রই আমি ভুলটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেই। আমার আপত্তি অগ্রাহ্য করে ড্র সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে করতে আমার জান শেষ হইয়া যায়, যদিও, টেকনিক্যাল কারণে ঐ ড্র বাতিল করা সম্ভব হয় নাই। ভাগ্যের কী নির্মম প্রতিশোধ। তাদের দল সেমি-ফাইনালে হেরে যায় অন্য এক দুর্বল দলের সাথে। আমার দল সেমিফাইনালে টাফ ফাইট দিয়া জিতে যায়। ফাইনালে আমার দল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই খুব সহজে জিতে যায়।

ড্র-য়ের গীত গাইতে এসে নিজের গীত গাইলাম।

ড্র-য়ের মূলসূত্র হলো- একই গ্রুপের দুটি দল লিগ পর্যায়ের পর ফাইনালের আগে আর মুখোমুখি হবে না। কিন্তু মনে করে দেখুন, ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর টার্কি একই গ্রুপে ছিল, আবার তারা সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। এটা কীভাবে সম্ভব? সেবার পুরো ৩২টা দলকে আগেই নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে দুইটি ডিভিশনে ভাগ করে ফেলা হয়েছিল। প্রতি ডিভিশনের চ্যাম্পিয়ন ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যে-গ্রুপে ব্রাজিল ও টার্কি ছিল, মনে করে দেখুন, ব্রাজিল ও টার্কি ঐ ডিভিশনে সেমি-ফাইনালের আগে কিন্তু আর মুখোমুখি হয় নি।

আরেকটা সূত্র হলো, আগেই ফিকশচার তৈরি করে নিতে হবে। অর্থাৎ, A1 এর সাথে B2, নাকি H2 খেলবে, C1 এর সাথে D2, নাকি G2 খেলবে, পরের রাউন্ডগুলোতে কে, কার সাথে খেলবে, এটা আগে সাজিয়ে নিতে হবে। কোন খেলাটা কোন মাঠে কোন সময়ে হবে, সেই শিডিউলও যথাসম্ভব আগেই ফিক্স করে নেয়া হয়। তবে, বিশ্বকাপের মতো বড়ো আসরে ভেনু, দর্শক, হোম গ্রাউন্ড ফ্যাসিলিটিস, ইত্যাদি বিবেচনা করে কিছু কিছু শিডিউল ড্র-এর পরেও ফিক্স করা হয়। ছোটো ছোটো টুর্নামেন্টে ক্যাচাল লাগে অনেক বেশি। সেখানে আগেই গ্রাউন্ড, খেলার টাইম, ইত্যাদি কঠোরভাবে ফিক্স করে নেয়া হয়।

বর্তমান বিশ্বকাপের ড্র ০১ এপ্রিল ২০২২-এ দোহায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ড্র কীভাবে করা হয়েছিল, চলুন, এবার তা আলোচনা করা যাক। এটি বোঝার জন্য আপনারা এ ভিডিওটির ৪৮ মিনিটের পর থেকে দেখে নিতে পারেন : Final Draw - FIFA World Cup Qatar 2022



দেখুন এই ছবিটিও।



আমরা জানি, কোন কোন দল এবারের বিশ্বকাপে খেলছে। তবু একনজরে দলগুলো দেখে নিন। লক্ষ করুন, প্রতিটা দলের নামের পাশে ব্র্যাকেটে সংখ্যা দেয়া আছে, এটি হলো ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে দলগুলোর ফিফা র্যাং কিং। ঐ র্যা ঙ্কিঙের সাথে বর্তমান র্যা ঙ্কিঙের কিন্তু মিল নেই।

AFC (6)
• Iran (21)
• Japan (23)
• South Korea (29)
• Australia (42)
• Saudi Arabia (49)
• Qatar (51) (hosts)

CAF (5)
• Senegal (20)
• Morocco (24)
• Tunisia (35)
• Cameroon (37)
• Ghana (61)

CONCACAF (4)
• Mexico (9)
• United States (15)
• Costa Rica (31)
• Canada (38)

CONMEBOL (4)
• Brazil (1)
• Argentina (4)
• Uruguay (13)
• Ecuador (46)

UEFA (13)
• Belgium (2)
• France (3)
• England (5)
• Spain (7)
• Portugal (8)
• Netherlands (10)
• Denmark (11)
• Germany (12)
• Switzerland (14)
• Croatia (16)
• Wales (18)
• Serbia (25)
• Poland (26)

সিডিং বা শীর্ষদল নির্বাচন (Selection of Seeds)

মোট গ্রুপের সংখ্যা হলো ৮টা। ৮টা দলের সেরা দলকে প্রতিদলের শীর্ষদল বা সিড (Seed) বলা হয়। স্বাগতিক কাতারকে অটোম্যাটিক্যালি একটি শীর্ষদল হিসাবে এবং ১ নম্বর (এ) গ্রুপের শীর্ষদল ও ১ নাম্বার (এ-১) দল হিসাবে নির্বাচন করা হয়। এরপর ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে ফিফা র্যা ঙ্কিঙের শীর্ষ ৭টি দলকে (যে-দলগুলো ২০২২ বিশ্বকাপ খেলার জন্য কোয়ালিফাই করেছে) বাকি ৭টি গ্রুপের শীর্ষদল বা ‘সিড’ (Seed) হিসাবে নির্বাচন করা হয়। উপরে দলগুলোর তালিকা ও পাশে উল্লেখিত র্যা ঙ্কিং থেকে সহজেই এদেরকে বের করা যায়। কাতারসহ ৮টি শীর্ষ দল হলো :

Qatar (51) (hosts)
Brazil (1)
Belgium (2)
France (3)
Argentina (4)
England (5)
Spain (7)
Portugal (8)

নীচের ছবিতে উপস্থাপকগণের বাম পাশে যথাক্রমে 1, 2, 3 ও 4 নাম্বার লিখিত স্টিকারসহ ৪টি পট বা পাত্র বা কাচের জার রাখা আছে। এগুলোর প্রতিটিতে ৮টি করে লটারি রাখা আছে। লটারিগুলো ইন্টারেস্টিং। প্রতিটা টিমের নাম একটা রঙ্গিন ফিতায় লিখে ফিতাটা মুড়িয়ে একটা বল-আকৃতির বস্তুর ভিতর রাখা হয়েছে। এগুলোই লটারি। ৩২টি টিমের জন্য এরূপ ৩২টি বল সমান ৪ ভাগে ভাগ করে পনীচের বর্ণনা মোতাবেক ৪টি পটে রাখা হয়েছে।



১। পট নাম্বার-১। সিডভুক্ত ৮টি দলকে রাখা হয় ১ নাম্বার পটে। উপরে একবার বলেছি, বোঝার জন্য আবারও বলি। স্বাগতিক হিসাবে কাতারকে ১ নাম্বার গ্রুপের (এ গ্রুপের) সিড ধরা হয়। বাকি ৩১টা দল থেকে ফিফা র্যা ঙ্কিঙের শীর্ষ ৭টি দলকে বাকি ৭টা গ্রুপের সিড নির্বাচন করা হয়। এ ৮টা দলের লটারি রাখা হয় ১ নাম্বার পটে। দলগুলোর তালিকাও উপরে একবার দেয়া হয়েছে, আবারও নীচে দেখুন।

Qatar (51) (hosts)
Brazil (1)
Belgium (2)
France (3)
Argentina (4)
England (5)
Spain (7)
Portugal (8)

২। পট নাম্বার-২। বাকি ২৪টি দলের মধ্যে ফিফা র্যাং কিঙে থাকা পরের ৮টা দলকে (৮-১৫) রাখা হয় ২ নাম্বার পটে। এরা হলেন :

Mexico (9)
Netherlands (10)
Denmark (11)
Germany (12)
Uruguay (13)
Switzerland (14)
United States (15)
Croatia (16)

৩। পট নাম্বার-৩। বাকি দলগুলোর মধ্য থেকে অনুরূপভাবে ফিফা র্যা ঙ্কিঙের পরের ৮টা দলকে (১৬-২৩) ৩ নাম্বার পটে রাখা হয়। দলগুলো :

Senegal (20)
Iran (21)
Japan (23)
Morocco (24)
Serbia (25)
Poland (26)
South Korea (29)
Tunisia (35)

নোট : Wales (18), Costa Rica (31) ও Australia (42)-এর র্যা ঙ্কিং এখানে বিবেচনায় নেয়া হয় নি। এ ৩টি দল বিভিন্ন প্লে-অফ ম্যাচ খেলে কোয়ালিফাই করেছে। এদের রাখা হয়েছে ৪ নাম্বার পটে। ড্র-এর সময় অবশ্য এ দলগুলোর নাম চূড়ান্ত হয় নি, কারণ, এদের খেলা তখনো বাকি ছিল।

৪। ৪ নাম্বার পট। Wales (18), Costa Rica (31) ও Australia (42) সহ ফিফা র্যা ঙ্কিঙের বাকিদলগুলো।

Cameroon (37)
Canada (38)
Ecuador (46)
Saudi Arabia (49)
Ghana (60)
Wales (18)
Costa Rica (31)
Australia (42)

উপস্থাপকগণের ডানপাশে অনুরূপ আরো ৮টা পট বা কাচের জার রাখা আছে। এদের প্রতিটিতে ৪টি করে বল-আকৃতির লটারি আছে। এ বলগুলোর ভিতরে গ্রুপের ইংলিশ লেটারের সাথে ১, ২, ৩ ও ৪ সংখ্যাগুলো যুক্ত করে নাম্বারিং করা হয়েছে; যেমন A গ্রুপের জন্য A-1, A-2, A-3 ও A-4, B গ্রুপের জন্য B-1, B-2, B-3 ও B-4, এভাবে H গ্রুপ পর্যন্ত সকল গ্রুপের নাম্বারিং করা হয়েছে।

সিড বা শীর্ষদলের ড্র

প্রথমেই শীর্ষদলগুলো কে কোন গ্রুপের শীর্ষদল হবে,তার ড্র হয়। আগেই বলা হয়েছে, কাতার স্বাগতিক দেশ হওয়ায় কাতারকে শুরুতেই এ গ্রুপের শীর্ষদল, শুধু তাই নয়, ১ নাম্বার দল বা এ-১ হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে।

ড্র কীভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে, তা এই ভিডিওতে দেখতে পাবেন ৪৮ মিনিটের পর থেকে। যারা আগ্রহী, তারা ক্লিক করুন ভিডিওটি : Final Draw - FIFA World Cup Qatar 2022



সেই সাথে আবার লক্ষ করুন নীচের ছবিটিও।



ছবিতে উপস্থাপকগণের ডানপাশে A থেকে H পর্যন্ত ৮টা পট বা কাচের জার দেখতে পাচ্ছেন। তাদের বাম পাশে 1-4 পর্যন্ত ৪টা পট বা কাচের জার দেখতে পাচ্ছেন।

পট বা জার থেকে একটা একটা করে লটারি তোলা হয়।

প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ।

এটি পড়ার সময় জটিল মনে হতে পারে, তবে এটাই সবচাইতে ইন্টারেস্টিং ও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। বোঝার জন্য পড়া এবং ভিডিও দেখা একসাথে করলে অ্যাসিমিলেশন বেটার হবে।

১। প্রথমে এক ব্যক্তি ১ নাম্বার পট থেকে প্রথম লটারিটি তোলেন (বল-আকৃতির লটারি, যা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে)। কাতার যাতে প্রথম লটারিতে ওঠে, এজন্য কাতারের লটারিটার রঙ থাকে ডিপ মেরুন বা পিংক কালারের, যাতে সহজেই চেনা যায়। বাকিগুলোর রঙ সাদা, গায়ে বিভিন্ন কালারের দাগ। আগেই প্ল্যান করা থাকে যে, কাতারের লটারিটিই সবার আগে তোলা হবে। উক্ত ব্যক্তি বলাকৃতির লটারিটি খুলে ভেতর থেকে পেঁচানো ফিতাটি বের করে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। ইংরেজিতে নাম লেখা দেখা যাচ্ছে – QATAR. কাতার চলে যাবে A গ্রুপে।

২। উপস্থাপকের ডানদিকে রাখা A-H পর্যন্ত পটে ৪টি করে লটারি আছে। প্রতি পটের ১ নাম্বার লটারিটি ডিপ মেরুন/পিংক কালারের, বাকিগুলো সাদা রঙের, গায়ে বিভিন্ন রঙের দাগ। এখানেও প্ল্যান করা থাকে যে, শীর্ষদলের লটারি করার সময় ক্রমিক অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পটের পিংক কালারের লটারিটি তোলা হবে।

৩। ১ নাম্বার পট থেকে কাতারের লটারি তোলার পর এবার অন্য এক ব্যক্তি A নাম্বার পট থেকে পিংক কালারের লটারিটি তোলেন। এটিতে লেখা থাকে A1, অতঃপর কাতারকে A গ্রুপের A1 দল হিসাবে সিলেক্ট করা হয়।

৪। এরপর, আরেক ব্যক্তি পুনরায় ১ নাম্বার পট থেকে ১টি লটারি তোলেন, যেখানে ১টি শীর্ষদলের নাম পাওয়া যায়। এ দলটি হবে B গ্রুপের B1 দল। ফরমালিটি অনুযায়ী আরেক ব্যক্তি B নাম্বার পট থেকে পিংক কালারের লটারিটি তোলেন, যেটিতে স্বভাবতই B1 লেখা থাকে। এবার এ দলটিকে B গ্রুপের B1 দল হিসাবে সিলেক্ট করা হয়।

৫। এভাবে একে একে ১ নাম্বার পট থেকে বাকি ৬টি শীর্ষদলের লটারি তোলা হয় এবং পর্যায়ক্রমে C, D, E, F, G ও H গ্রপের শীর্ষদলগুলোকে নিজ নিজ গ্রুপের ১ নাম্বার দল হিসাবে নির্বাচন করা হয়।

এভাবে ৮টি গ্রুপের ৮টি শীর্ষদল বা সিড নির্বাচনের লটারি শেষ হয়। ১ নাম্বার পটের পর এবার ২ নাম্বার পট থেকে লটারি তোলার পালা।

৬। জনৈক ব্যক্তি ২ নাম্বার পট থেকে প্রথম লটারিটি তোলেন। এটি A গ্রুপের মধ্যে পড়বে। এভাবে ২ নাম্বার পট থেকে একে একে বাকি ৭টি লটারি তোলা হয়, যেগুলো পর্যায়ক্রমে B, C, D, E, F, G ও H গ্রুপের মধ্যে ফেলা হয়। আরো খোলসা করে নীচে বলছি।

৭। ২ নাম্বার পট থেকে প্রথম লটারিটি তোলা হলো, যা A গ্রুপের মধ্যে পড়বে। অন্য এক ব্যক্তি A নাম্বার পট থেকে ১টা লটারি তোলেন। শীর্ষদলের নাম্বার A1 আগেই তোলা হয়েছে, কাজেই বাকি আছে A2, A3, ও A4; এখন যে নাম্বারটি লটারিতে উঠবে, সে অনুযায়ী এ দলটির অবস্থান হবে।

এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ফর্মুলা আছে। একই গ্রুপে একই কোয়ালিফিকেশন জোন বা কনফেডারেশন থেকে কোয়ালিফাই করা ২টা টিম থাকতে পারবে না। অর্থাৎ, একই গ্রুপে এশিয়া মহাদেশের ২টা টিম, বা আফ্রিকা অঞ্চলের ২টা টিম থাকতে পারবে না। তবে, ইউরোপিয়ান অঞ্চলের টিম একই গ্রুপে সর্বোচ্চ ২টা থাকতে পারবে।

এটা কীভাবে নিশ্চিত বা সম্পন্ন করা হয়? যখন দেখা যায় যে লটারিতে ওঠা দলটা যে কোয়ালিফিকেশন জোনের, সিকোয়েন্সে পড়া ওই গ্রুপে অলরেডি ঐ জোনের আরেকটা টিম আছে (ইউরোপের ক্ষেত্রে ২টা), তখন ঐ গ্রুপটা স্কিপ করে পরের গ্রুপে যাওয়া হয়। পরের গ্রুপে ওটা ফেলার পর তার পরের লটারিটা আবার আগের স্কিপ করা গ্রুপে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে, এবারও যদি আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, তবে, এবারও স্কিপ করে পরের গ্রুপে যাওয়া হয়, এবং ওটা শেষ করে আবার স্কিপ করা গ্রুপের লটারি সম্পন্ন করা হয়।

উদাহরণ। বিষয়টা একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। শেয়ার করা ভিডিওটির ১.০৪.৪৪-এ দেখুন। G গ্রুপের লটারিতে উঠেছে উরুগুয়ের নাম। G গ্রুপের শীর্ষদল হলো ব্রাজিল। ব্রাজিল এবং উরুগুয়ে একই কোয়ালিফিকেশন জোন CONMEBOL-এর অন্তর্ভুক্ত বিধায় উরুগুয়েকে G গ্রুপে না দিয়ে পরের গ্রুপ H-এ দেয়া হলো, যেখানে শীর্ষদল হলো পর্তুগাল, যা অন্য কোয়ালিফিকেশন জোন UEFA-এর অন্তর্গত। পরের লটারিতে ওঠে সুইজারল্যান্ড, ওটিকে ফেলা হয় আগে স্কিপ করে যাওয়া G গ্রুপে।

৩। এভাবেই ৩ ও ৪ নাম্বার পটের লটারি সম্পন্ন করা হয়।



ফিকশ্চার তৈরি

এবার ফিকশ্চার কীভাবে তৈরি হয় তার উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করছি। ড্র-এর আগেই ফিকশ্চার তৈরি করে নিতে হবে। ড্র-এর পর নম্বরযুক্ত ইংলিশ লেটারগুলো, যথা, A1, A2, B3, G-4, ইত্যাদির বিপরীতে যে-নামগুলো পাওয়া গেল, সেগুলো লিখে ফেলতে হবে।

৩২-দল টুর্নামেন্টের জন্য ৮টি গ্রুপ করাই উত্তম, অন্যথায় খেলার সংখ্যা বেড়ে যাবে। ১ম গ্রুপকে এ গ্রুপ, ২য় গ্রুপকে বি গ্রুপ, এভাবে বাকি গ্রুপগুলোকে যথাক্রমে সি থেকে এইচ পর্যন্ত চিহ্নিত করতে হবে। আবার একই গ্রুপের ভিতর শীর্ষ বাছাইকে ১ নম্বর (এ গ্রুপের হলে এ-১, বি গ্রুপের হলে বি-১, ইত্যাদি) এবং বাকিগুলোকে যথাক্রমে ২, ৩ ও ৪ নম্বর দল হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে (এ গ্রুপের ক্ষেত্রে এ-১, এ-২, এ-৩ ও এ-৪। বাকিগুলোও এভাবেই হবে)।

ফিকশ্চার তৈরির জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। একটি পদ্ধতি আলোচনা করছি। এ পদ্ধতির মূলসূত্র হলো গ্রুপ লিগের পরে ফাইনাল খেলা ছাড়া একই গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে মাঝপথে আর মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা থাকবে না। ব্যতিক্রম হিসাবে শুরুতেই আমি ২০০২ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করেছি।

ধরে নিই প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল ২য় রাউন্ডে যাবে। এ প্রসঙ্গে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিই আগের দিনের কথা যখন ২৪টি দল খেলতো। ঐ সময়ে ২৪টি দলকে ৬ গ্রুপে ভাগ করা হতো, ১৬টি দল ২য় রাউন্ডে উঠতো। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার মিলে হতো ১২টি দল, আর ৬টি ৩য় স্থান লাভকারী দলের মধ্য থেকে সেরা ৪টি ২য় স্থান লাভকারী দল ২য় রাউন্ডে উঠবার সুযোগ পেতো। ঐ ফিকশ্চার তৈরি বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি জটিল ছিল। তবে গ্রুপ অব ডেথ তখন বর্তমানের মতো এত মুষড়ে পড়তো না, কেননা কোনো শক্তিশালী দল দুর্ভাগ্যক্রমে গ্রুপে ৩য় স্থান লাভ করলেও সেরা ৪টি ৩য় স্থান লাভকারী হবার আশায় শেষ পর্যন্ত খেলা ধরে রাখতো।

২য় রাউন্ডের জন্য এবার ফিকশ্চার নীচের মতো করে সাজানঃ

এ-১ বনাম বি-২
সি-১ বনাম ডি-২
ই-১ বনাম এফ-২
জি-১ বনাম এইচ-২

লক্ষ করুন, উপরে কোনো গ্রুপ থেকেই একটির বেশি দল উঠে আসে নি। এবার ১ম ম্যাচবিজয়ী বনাম ২য় ম্যাচবিজয়ী এবং ৩য় ম্যাচবিজয়ী বনাম ৪র্থ ম্যাচবিজয়ী ৩য় রাউন্ডে (কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলবে। এটা অন্যভাবেও সাজানো যায়, যেমন, এবার ১ম ম্যাচবিজয়ী বনাম ৩য় বা ৪র্থ ম্যাচবিজয়ী এবং ২য় ম্যাচবিজয়ী বনাম ৪র্থ বা ৩য় ম্যাচবিজয়ী ৩য় রাউন্ডে (কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলবে। যেহেতু ড্র-এর আগেই ফিকশচার তৈরি হয়, এজন্য কোনো দলেরই জানার উপায় নাই কার সাথে কে, কোন রাউন্ডে মুখোমুখি হবে। এজন্যই এটা লটারি, বা ভাগ্য  এরপর দুই কোয়ার্টার ফাইনাল বিজয়ী খেলবে সেমি-ফাইনাল। সেমি-ফাইনাল বিজয়ী খেলবে ফাইনালে। তাহলে দেখুন, এখানকার কোনো গ্রুপের অপর দলের সাথেই ফাইনালের আগে আর মুখোমুখি হবার সুযোগ থাকছে না।

চলুন দেখা যাক বাকি দলগুলোর ফিকশ্চার।

এ-২ বনাম বি-১
সি-২ বনাম ডি-১
ই-২ বনাম এফ-১
জি-২ বনাম এএইচ-১

এখান থেকেও উপরের নিয়মে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি ফাইনাল খেলার পর বিজয়ী দলটি ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে।

এ তো গেলো ২য় রাউন্ডের ফিকশ্চার। ২য় রাউন্ডে উঠবার আগে একই গ্রুপের ফিকশ্চার কীভাবে করা হয় চলুন তা জেনে নিই। অনেক ভাবেই করা যেতে পারে, তবে সহজ পন্থাটি বলি। আগেই বলেই দলগুলোকে যথাক্রমে এ-১, এ-২, এ-৩ ও এ-৪, এভাবে সাজানো হয়।

এ-১ বনাম এ-২
এ-৩ বনাম এ-৪
এ-১ বনাম এ-৩
এ-২ বনাম এ-৪
এ-১ বনাম এ-৩

এভাবে বাকি গ্রুপের ফিকশ্চার সম্পন্ন করা হয়।

উপরোক্ত ফিকশ্চার হলো একটা সেট ফরম্যাট। প্রতিটা ম্যাচ কোন মাঠে কবে অনুষ্ঠিত হবে তা ড্র-এর আগেই ঠিক করে রাখা হয়; ড্র-এর সময় কেবল দলগুলো বসিয়ে দেয়া হয় জায়গামতো (উপরে যা বর্ণনা করা হয়েছে)। কখনো কখনো দর্শক চাহিদা, হোম গ্রাউন্ড ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কোনো কোনো ম্যাচের মাঠ ও সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপে এ ফ্যাক্টরগুলো বেশি বিবেচনা করা হয়।

এ ছিল ড্র ও ফিকশ্চার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এ বিষয়গুলো বুঝবার জন্য যাদের আগ্রহ আছে কিন্তু আগে জানতেন না, তারা এটা পড়ে খুব মজা পাবেন। যাদের আগ্রহ আছে এবং এ ব্যাপারে বিশদ জ্ঞান রাখেন, তারা এর উপর আরও অপশন কী কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখবেন।

তবে অনেকের কাছেই এ ব্যাপারটা জটিল মনে হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই যথাসম্ভব সহজ নিয়মে ড্র আর ফিকশ্চার তৈরি করার পদ্ধতি বর্ণনা করলাম। কারো যদি একটুখানি ভালো লাগে, আমি খুশি হবো।

খেলাধুলাপ্রিয় বাঙালি

আমাদের মতো এত খেলাধুলাপ্রিয় জাতি বিশ্বে দ্বিতীয়টি আর আছে কিনা সন্দেহ। তবে, আমার অভিজ্ঞতা বলে, বাংলাদেশের মানুষ খেলাধুলার দর্শক বা সমর্থক হিসাবে খুব উন্নত মানের না। এর প্রকৃত চিত্র ও প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়। কোনো আর্জেন্টিনাদলের সমর্থক যদি জানতে পারেন, আমি ব্রাজিলের সমর্থক, অমনি তার মুখ কালো হয়ে যাবে এবং ভাইসভার্সা। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠির মধ্যে ঝগড়া, খুনাখুনি কেবল বাংলাদেশেই হয়। বিশ্বকাপের সময় এ দেশে যত আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা উড়বে, খোদ আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলেও এত পতাকা উড়বে বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশের মানুষ খেলাধুলা তেমন বোঝে বলেও মনে হয় না। আমরা মূলত হুজুগে গোষ্ঠি। ক্রিকেট খেলা শুরু হলে আমরা চাই বাংলাদেশ প্রতিটা ম্যাচেই জিতবে। প্রতিটা দলকেই হারাবে। আমাদের আশা এত বেশি ও এত বড়ো যে, বাংলাদেশ হেরে গেলে ক্রিকেট টিমকে তখন একহাত দেখে নিতে উঠে পড়ে লাগি।

আমাদের কিছু কিছু দর্শক আছেন, তারা শুধু বাংলাদেশ যখন কোনো খেলায় হারতে থাকে, বেছে বেছে শুধু সেই খেলাগুলো দেখেন। কিছু কিছু দর্শক আছেন, বাংলাদেশ হেরে গেলে তারা খুশি হোন, তখন বাংলাদেশকে নিয়ে ট্রল করার এলিমেন্ট পান অনেক। হেরে যাওয়া ম্যাচেও যে পজিটিভ কিছু থাকতে পারে, তা আমরা কখনো বিবেচনা করি না। এই গতবছরই অস্ট্রলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়েকে গুঁড়া করে দিল বাংলাদেশ। আমরা সেগুলো মনে রাখি নাই। আগামী ওডিআই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলাত দৌড়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে, সুপার লিগের রেজাল্ট দেখুন এই লিংকে।

যে কোনো দল আপনার ফেভারিট হতেই পারে, যেমন আমারও আছে ফেভারিট টিম। আমি সবসময়ই কামনা করবো আমার টিম যেন জিতে। কিন্তু ধরুন, আমি বললাম আজ আমার প্রিয় দল দক্ষিণ কোরিয়া হারাবে আর্জেন্টিনাকে/ব্রাজিলকে, অমনি কিছু সমর্থক তেড়ে আসবে আমাকে খুন করার জন্য। আরে ভাই, আমি বললাম বলেই কি দক্ষিণ কোরিয়া জিতে যাবে? আর দক্ষিণ কোরিয়া যদি জিতে যায়ই, তোমার ভেঙে পড়ার তো কোনো কারণ দেখি না, ভেঙে পড়বে আর্জেন্টাইন/ব্রাজিলিয়ান নাগরিকরা। কিন্তু তারা তোমার মতো এত হীনমন্য মানুষ না। তারা সুশীল, বোঝবান মানুষ। তারা খেলার আনন্দ উপভোগ করতে জানে। রম্য পোস্টের মধ্যে কিছু সিরিয়াস কথা ঢুকে গেল কিছু বালখিল্য সমর্থকের কারণে।

ক্রিকেটে আমার প্রিয় দল আমার দেশ, আর আছে শ্রীলংকা, যাকে আমি বাংলাদেশের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস মনে করি। ফুটবলে জান কোরবান করে দেয়ার মতো কোনো দলকে আমি সাপোর্ট করি না। তবে, সাপোর্টের ক্ষেত্রে আমার একটা বৈশিষ্ট্য আছে, এশিয়ান কোনো টিম যে-কোনো টিমের বিপক্ষেই খেলুক না কেন, আমি তখন এশিয়ান টিমের সাপোর্টার। আমার এ অভ্যাস সেই হদ্যিকাল থেকেই। কারো আগ্রহ থাকলে এ নিয়ে আমার ফেইসবুক স্টেটাস দেখতে পারেন

সবার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

যে-সব সূত্র ব্যবহার করেছি :

১। আমার অভিজ্ঞতা। ১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপের মাত্র ৩টা ম্যাচ, যা টিভিতে দেখিয়েছে, মিস করেছি। ১৯৯৬ থেকে এ পর্যন্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২টার ম্যাচের একটা করে ইনিংস মিস করা ছাড়া আর কোনো ম্যাচ দেখা আমি মিস করি নাই। এগুলো বললাম খেলাধুলায় আমার আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা কী পরিমাণ তা বোঝানোর জন্য 

২। 2022 FIFA World Cup - উইকিপিডিয়া

৩। 2022 FIFA World Cup qualification

৪। 2022 FIFA World Cup seeding

৫। Video on Final Draw - FIFA World Cup Qatar 2022


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×