যে থাকবার, মাটির ডুয়ায় শ্যাওলা লেপ্টে থাকবার মতোই সে থেকে যায়; চলে যাবার জন্য যারা আসে, বৃষ্টির পানিতে যেভাবে ভেসে যায় উচ্ছিষ্ট পঙ্ক ও আবর্জনা, তারাও তেমনি বেহদিশ হারিয়ে যায়।
যে তোমাকে অকাতর ভক্তি এবং ভালোবাসা দিল, না চাইতেই – তার মান রাখতে শেখো। যে-পথ ভুলে যেতে হলো তোমাদের ভুলে, সে-পথে পুনর্বার পা ফেলি, এতটা হাস্যকর হতে নেই; ভুলের মাশুল নাকখতে শোধ দাও কড়ায়গণ্ডায়, বোশেখের তুমুল হর্ষে আবারও দেখা হবে নাগরদোলায়;
এবং
গোধূলির বালু ও অন্ধকারেরা শোনো, আগে নিজেকে চিনতে শেখো, তবেই
চিনতে পারবে আঁধারের গহনে অনাবিল সোনামুখি ভোর।
এ-কথা মনীষীরা বলেছেন অনেক অনেক কাল আগে।
নিজস্ব এমন একটা বৈশিষ্ট্য থাকা চাই যা তোমাকে আজীবন তোমার কাছে বড়ো করে রাখবে। আমার অভিমান... আমি তাকে সযত্নে লালন করি...
রাগ নয়, অনুরাগ নয়। সময় শ্যেন পাখি। গর্তে ঢুকে যাচ্ছি, কিংবা গহ্বরে। কেউ দেখে না, জানে না, বোঝে না। অভিমান... আমার সম্পদ। আমি তাকে সযত্নে লালন করি।
আমার রক্ত আমাকে শিখিয়েছে – স্বভাবজাত ঋজুরৈখিক, সত্যনিষ্ঠ একরোখা হতে;
কাউকে ধার ধারবার প্রয়োজন পড়ে না।
একদা কে যেন তাকিয়েছিল উঁচু করে ঘাড়, আর তীক্ষ্ণ করে দূষিত চোখ; আমি তাকে অক্রূর বৃদ্ধাঙুল দেখিয়েছিলাম। ওসব ঠুনকো কাঁচ, হালকা হাওয়ায় বেশুমার চুরমার।
আমার কাউকে ধার ধারবার প্রয়োজন পড়ে না; আমি ওভাবেই আকৈশোর তৈরি করেছি নিজেকে।
অতঃপর, চোখের মণিতে দৃষ্টি করো থির; দেখো, কোনো কলঙ্ক নেই;
দেখো, জ্বলজ্বল চোখ তার জ্বলে; নিরুদ্বেগ, পূর্বাপর অ-নতশির-
রক্তবীজ বীর্য বোনে অসীম সাহসীর।
২৯ এপ্রিল ২০১১ রাত ৩:১০
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




