somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমাকে কোনোদিনই পাব না, জানি

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই
পাব না, জানি
তাই তো তোমার নামে কবিতা ও গান লিখে
তোমারই নেশায় আমি বেঁচে থাকি

কত পথ হেঁটে গেছি, কত যে খুঁজেছি তোমায়
খুঁজেছি তোমার হৃদয়ের অলিগলি পথ
পুরোটা জীবন
তুমি তো তোমার পাষাণ হৃদয় থেকে সেই কবে
মুছে দিয়েছ আমার এ নামখানি

এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি
কীভাবে সেদিন শোধ দেবে বলো, আমি যে তোমায়
ভালোবেসে হয়েছি বিলীন

আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই
পাব না, জানি
তাই তো তোমার নামে কবিতা ও গান লিখে
তোমারই নেশায় আমি বেঁচে থাকি

২৩ ডিসেম্বর ২০২২

কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্‌মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব

গানের লিংক : আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই পাব না, জানি

অথবা, নীচের লিংকে ক্লিক করুন।





এ গানটি এর আগেও ব্লগে শেয়ার করা হয়েছিল, প্রায় এক বছর এক মাস আগে। তোমাকেই কোনোদিনই পাব না, জানি, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন যে, গল্প, কবিতা, সাহিত্যিক মেটারিয়াল এডিট করার মতো আগে তৈরি করা গানগুলোও আমি ক্রমাগত এডিট করতে থাকি। আমার প্রতিটা প্রথম ভার্সনের গানগুলো থাকে অনেক লম্বা। গাওয়ার সময় একটা গানের যতগুলো সুরের ভার্সন ও টার্নিং থাকে, সবগুলোই প্রথম ভার্সনে থাকে। দিন যত যায়, সুর যেমন রিফাইন বা রি-ডিফাইন করি, মিউজিক কম্পোজিশনেও অনেক চেঞ্জ আনা হয়। কখনো-বা সম্পূর্ণ নতুন করে মিউজিক তৈরি করা হয়। একটা গানের সুর তৈরি করা সহজ, গাওয়াও সহজ, কিন্তু মিউজিক কম্পোজিশন ও সিনক্রোনাইজেশনের জন্য অনেক কোর্ডিনেশনের প্রয়োজন পড়ে। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। প্রখ্যাত মিউজিশিয়ানদের ব্যাপারগুলো আমার অজানা।

এ গানটার প্রথম ভার্সন মোটামুটি ভালো ছিল। তারপরও এটাকে আমার সেরা সুরের একটা মনে হওয়ায় এ গানটার মিউজিক আরেকটু রিফাইন করলাম। আগের ভার্সন দেখা যাবে নীচের লিংক থেকে।

গানের লিংক : আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই পাব না, জানি

অথবা, নীচের লিংকে ক্লিক করুন।



প্রতিটি গান তৈরির পরই একটা অনুভূতি কাজ করে। কোনো কোনো গানের শেষে মনে হয়, এটাই আমার সেরা সুর, তৃপ্তিটা এরকম থাকে। এবং এতদিনে নিজেকে বুঝে গেছি, যেদিন অনুভূতিটা এরকম হয়, সেদিন ধরে নিই, এ সুরটা দারুণ হয়েছে।

আমার সুর সৃষ্টির কৌশলের ব্যাপারেও আগে এক-আধটু বলেছি। সুরগুলো খুব ইন্সট্যান্টলি আসে, মনে হয় হা বা হো করলেই সুর তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ সুর সৃষ্টির সময়ই তাৎক্ষণিকভাবে যে কথাগুলো মুখে চলে আসে, বেশিরভাগ সময় ওটাই আমার গানের মুখরা হয়ে থাকে। সুরের সাথে সাথে আবোল তাবোল কথা যাই বলি না কেন, এ কথাগুলোই পরবর্তীতে ফাইনাল করি।

একদিন আগে তৈরি করা একটা সুরের লিরিক ফাইনাল করতে যেয়েই দেখি, তার নীচে লেখা আছে :

এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি


কয়েকদিন আগে এ লাইনগুলো মনে আসায় লিরিকের রাফখাতায় এটা লিখে রেখেছিলাম। এবং এ কথাগুলোতে সুর দিতে যেয়েই যে সুরটা পেয়ে গেলাম, ওটাই অন্তরার সুর। শুরুতে যে সুরটা পেয়ে গেলাম, ওটাই রয়ে গেছে। এবং অন্তরার ফিনিশিং থেকেই মুখরা তৈরি হয়ে গেল।

এ গানের সুরটা তৈরি হওয়ার পর আমার এমন অনুভূতি হলো - এটাই আমার সেরা সুর।

গানের শিল্পী না, অর্থাৎ, আমি কখনো কণ্ঠশিল্পী নই, শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য নিজের কণ্ঠে গাইছি। সুরটা কেমন হলো, লিরিকটা কেমন, কেউ জানালে, কোনো পরামর্শ থাকলে, তা বললে ভালো লাগবে।

আরেকটা কথা হয়ত ব্লগে বা ফেইসবুকে বলেছি। আমার অনেকগুলো গান আছে আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা। স্ত্রীকে কখনো বলি নি। ২ ছেলে আর আমার গানের চেঁচামেচিতে বেচারী এমনিতেই অতীষ্ঠ, সংসারের ঝামেলা শেষে রোমান্টিক মুডে পাশে বসে যে আমার 'কালজয়ী' গানগুলো শুনবে, এখন তা তেমন সময় হয় না। হলে হয়ত অনেক গানেই সে কিছু একটা টের পেত, যেমন এ গানটা। একদিন স্ত্রীর সাথে মান-অভিমান চলছিল। আমার মন খুবই খারাপ হয়েছিল, ঐ সময়ে গানের রাফখাতায় টুকে রেখেছিলাম :


এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২২
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×