আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই
পাব না, জানি
তাই তো তোমার নামে কবিতা ও গান লিখে
তোমারই নেশায় আমি বেঁচে থাকি
কত পথ হেঁটে গেছি, কত যে খুঁজেছি তোমায়
খুঁজেছি তোমার হৃদয়ের অলিগলি পথ
পুরোটা জীবন
তুমি তো তোমার পাষাণ হৃদয় থেকে সেই কবে
মুছে দিয়েছ আমার এ নামখানি
এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি
কীভাবে সেদিন শোধ দেবে বলো, আমি যে তোমায়
ভালোবেসে হয়েছি বিলীন
আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই
পাব না, জানি
তাই তো তোমার নামে কবিতা ও গান লিখে
তোমারই নেশায় আমি বেঁচে থাকি
২৩ ডিসেম্বর ২০২২
কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের লিংক : আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই পাব না, জানি
অথবা, নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
এ গানটি এর আগেও ব্লগে শেয়ার করা হয়েছিল, প্রায় এক বছর এক মাস আগে। তোমাকেই কোনোদিনই পাব না, জানি, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন যে, গল্প, কবিতা, সাহিত্যিক মেটারিয়াল এডিট করার মতো আগে তৈরি করা গানগুলোও আমি ক্রমাগত এডিট করতে থাকি। আমার প্রতিটা প্রথম ভার্সনের গানগুলো থাকে অনেক লম্বা। গাওয়ার সময় একটা গানের যতগুলো সুরের ভার্সন ও টার্নিং থাকে, সবগুলোই প্রথম ভার্সনে থাকে। দিন যত যায়, সুর যেমন রিফাইন বা রি-ডিফাইন করি, মিউজিক কম্পোজিশনেও অনেক চেঞ্জ আনা হয়। কখনো-বা সম্পূর্ণ নতুন করে মিউজিক তৈরি করা হয়। একটা গানের সুর তৈরি করা সহজ, গাওয়াও সহজ, কিন্তু মিউজিক কম্পোজিশন ও সিনক্রোনাইজেশনের জন্য অনেক কোর্ডিনেশনের প্রয়োজন পড়ে। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। প্রখ্যাত মিউজিশিয়ানদের ব্যাপারগুলো আমার অজানা।
এ গানটার প্রথম ভার্সন মোটামুটি ভালো ছিল। তারপরও এটাকে আমার সেরা সুরের একটা মনে হওয়ায় এ গানটার মিউজিক আরেকটু রিফাইন করলাম। আগের ভার্সন দেখা যাবে নীচের লিংক থেকে।
গানের লিংক : আজীবন ভালোবেসে তোমাকে কোনোদিনই পাব না, জানি
অথবা, নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
প্রতিটি গান তৈরির পরই একটা অনুভূতি কাজ করে। কোনো কোনো গানের শেষে মনে হয়, এটাই আমার সেরা সুর, তৃপ্তিটা এরকম থাকে। এবং এতদিনে নিজেকে বুঝে গেছি, যেদিন অনুভূতিটা এরকম হয়, সেদিন ধরে নিই, এ সুরটা দারুণ হয়েছে।
আমার সুর সৃষ্টির কৌশলের ব্যাপারেও আগে এক-আধটু বলেছি। সুরগুলো খুব ইন্সট্যান্টলি আসে, মনে হয় হা বা হো করলেই সুর তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ সুর সৃষ্টির সময়ই তাৎক্ষণিকভাবে যে কথাগুলো মুখে চলে আসে, বেশিরভাগ সময় ওটাই আমার গানের মুখরা হয়ে থাকে। সুরের সাথে সাথে আবোল তাবোল কথা যাই বলি না কেন, এ কথাগুলোই পরবর্তীতে ফাইনাল করি।
একদিন আগে তৈরি করা একটা সুরের লিরিক ফাইনাল করতে যেয়েই দেখি, তার নীচে লেখা আছে :
এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি
কয়েকদিন আগে এ লাইনগুলো মনে আসায় লিরিকের রাফখাতায় এটা লিখে রেখেছিলাম। এবং এ কথাগুলোতে সুর দিতে যেয়েই যে সুরটা পেয়ে গেলাম, ওটাই অন্তরার সুর। শুরুতে যে সুরটা পেয়ে গেলাম, ওটাই রয়ে গেছে। এবং অন্তরার ফিনিশিং থেকেই মুখরা তৈরি হয়ে গেল।
এ গানের সুরটা তৈরি হওয়ার পর আমার এমন অনুভূতি হলো - এটাই আমার সেরা সুর।
গানের শিল্পী না, অর্থাৎ, আমি কখনো কণ্ঠশিল্পী নই, শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য নিজের কণ্ঠে গাইছি। সুরটা কেমন হলো, লিরিকটা কেমন, কেউ জানালে, কোনো পরামর্শ থাকলে, তা বললে ভালো লাগবে।
আরেকটা কথা হয়ত ব্লগে বা ফেইসবুকে বলেছি। আমার অনেকগুলো গান আছে আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা। স্ত্রীকে কখনো বলি নি। ২ ছেলে আর আমার গানের চেঁচামেচিতে বেচারী এমনিতেই অতীষ্ঠ, সংসারের ঝামেলা শেষে রোমান্টিক মুডে পাশে বসে যে আমার 'কালজয়ী' গানগুলো শুনবে, এখন তা তেমন সময় হয় না। হলে হয়ত অনেক গানেই সে কিছু একটা টের পেত, যেমন এ গানটা। একদিন স্ত্রীর সাথে মান-অভিমান চলছিল। আমার মন খুবই খারাপ হয়েছিল, ঐ সময়ে গানের রাফখাতায় টুকে রেখেছিলাম :
এইদিন চলে যাবে, একদিন বুঝবে ঠিকই
কেউ যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে
সে শুধু আমি