বিপুল জনসমুদ্রের মাঝখানে বিরাটকায় এক বাঘ
কীভাবে, কখন ঢুকে পড়েছে, কেউ জানে না
ভয়ে কাতর মানুষের কণ্ঠে ভাষা নেই, আতঙ্কে অস্থির
এরই মধ্যে সাবাড় করেছে ক'জনের কলজে,
হিংস্র থাবায় প্রাণও গেছে অনেকগুলোর, অথচ
লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এতটা সাহসী
একটা মানুষও নেই এ তল্লাটে
দোর্দণ্ড প্রতাপে গোঁফ নাচাচ্ছে বাঘ, কী তার তেজ
একেকটা চাহনি, একেকটা অঙ্গভঙ্গিতে ছিটকে পড়ছে
থরে থরে ত্রাস
কিন্তু কীভাবে এলো এ চক্রাপাক্রা বাঘ, সুদূর সুন্দরবন থেকে!
কেউ জানে না!
মাঠের মাঝখানে শুয়ে পড়েছে সে; বলা ভালো, সে বসে আছে
লেজ দোলাচ্ছে। ঘাড় দোলাচ্ছে। চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা
উৎসাহী দর্শককূল দু চোখ বড়ো করে যেন দেখছে সার্কাস।
মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়ে সন্ত্রাসী বাঘ, অমনি চমকে দৌড়ে
পেছনে গিয়ে আবার স্থির দাঁড়িয়ে পড়ে বড্ড কাপুরুষের দল।
লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘায়েল করবে, এতটা সাহসী
একটা মানুষও নেই এ তল্লাটে।
কয়েক দফায় ঘাড় মটকে আরো ক'জনকে খেয়ে নিল
মানুষখেকো বাঘ। কেউ তাকে তাড়াচ্ছে না।
তাড়াবার নামও নেই কারো মুখে।
অবশেষে কিছু বুদ্ধিমান লোক বাঘের সাথে আলাপ-সালাপ করে
একটা চুক্তি করে নিল। এভাবে যখন-তখন যাকে-তাকে ধরে
খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ৩-বেলা পালা করে
নিজেরাই একজন করে বাঘের মুখে নিজেদের সঁপে দেব।
ব্যস, মানুষের শান্তি - সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হলো না
বাঘেরও শান্তি, দাবড়িয়ে শিকার ধরার কষ্ট রইল না তার।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩