একদা সন্তানাদিগকে শিক্ষা লইবার তরে গুরু আসরে পাঠানো হইতো - তথায় অক্ষরজ্ঞান হইতে শুরু করিয়া আদব-কায়দা সমেত নানাবিধ শিক্ষা প্রদান করিয়া থাকিতেন গুরুসকল। পরবর্তীতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়া সেই গুরুবিদ্যার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আমরা দেখিয়াছি তাহাও বহুকাল হইয়া গেল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেইসকল গুরুগণের গুণগত এত পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে যাহাতে গুরু শব্দখানির রুপ সামান্য পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে বটে যাহা ভদ্রসমাজে উচ্চারণে শরমবোধ হইতে পারে। এই পরিবর্তিত রুপ পূর্বে নজরে না আসিলেও তাহা নজরে আসিলো উৎসবের দিনে। নির্বাচনী উৎসব। প্রত্যুষে উঠিয়া নির্বাচনী কেন্দ্রে গমনের পর দেখিলাম সাজ সাজ রবে নির্বাচনী উৎসব চলিতেছে এবং তাহাতে যেই নাটিকা চলিতেছিলো তাহা লিখিতে বড়ই শরম করিতেছে যেহেতু সেই প্রকান্ড কান্ডে কোনরূপ উচ্চবাচ্য না করিয়া কেবল লজ্জিত হইয়া অধোবদনে ফেরৎ আসিয়াছিলাম। চুরিবিদ্যা যে অতি মহান বিদ্যা তাহা কোন এক বিদগ্ধব্যক্তি বলিয়াছিলেন বটে কিন্তু সেই ব্যক্তি সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণরুপে ইহার পর বলিয়াছিলেন -“ যদি ধরা না পড়ে!!!”। কালের পরিক্রমায় সেই সতর্কীকরণের প্রয়োজন ফুরাইয়া গিয়াছে বটে।
কেন্দ্রসমুহের কর্মকর্তা নিয়োজিত হইয়াছেন প্রধানতঃ শিক্ষক সমাজ হইতে। তাহার পর হইতে বড়ই মনোকষ্টে আছি। যেই সমাজে শিক্ষকগণ প্রত্যক্ষ চুরির সহযোগিতায় লিপ্ত থাকেন সেইখানে ছাত্রগণ তবে কি শিখিবেন!!! মানব সম্প্রদায়ের বোধ করি অমানব হইতে শিক্ষাগ্রহণ করাই সমীচিন হইবে। তাহাতে আর যাই ঘটুক না কেন অমানব যন্তর তো আর কুমন্তর শিখাইতে পারিবেন না। তবে মানবগণের কি হইবে??? কেন? তাহারা বাতাবীনেবুর অধিক ফলনে মনোযোগী হইয়া দেশের তথা পৃথিবীর বুকে পুণঃ পুণঃ নজীর সৃষ্টি করিয়াই থামিবেন না, এই সাফল্য সৌরজগতে ছড়াইয়া দিতে কঠোর প্রচেষ্টা চালাইয়া যাইতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০২